বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashekur.atik (আলোচনা | অবদান)
নিবন্ধ সম্প্রসারণ
Ashekur.atik (আলাপ)-এর সম্পাদিত 2554194 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
১ নং লাইন:
[[১৫ আগস্ট]] বাংলাদেশের '''জাতীয় শোক দিবস''' হিসেবে পালন করা হয় ৷
[[১৫ আগস্ট]] বাংলাদেশে '''জাতীয় শোক দিবস''' হিসেবে পালন করা হয়<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://www.ittefaq.com.bd/national/2016/08/15/80442.html|title=জাতীয় শোক দিবস আজ {{!}} বাংলাদেশ {{!}} The Daily Ittefaq|access-date=2017-03-15}}</ref> ৷ প্রতি বছর ১৫ আগস্ট জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের, পালিত হয় জাতীয় শোক দিবস ৷<ref>http://www.kortripokkho.com/জাতীয়-শোক-দিবস-আজ/</ref>
 
== ইতিহাস ==
{{মূল|শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড}}
১৫ আগস্ট ১৯৭৫, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান]] ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন ৷ এখানেই শেষ নয়, নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী-সন্তান, আত্নীয়-স্বজন, নেতা-কর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীসহ মোট ২৬ জনকে।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান]] ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন ৷ সেদিন তিনি ছাড়াও ঘাতকের বুলেটে নিহত হন তাঁর স্ত্রী [[বেগম ফজিলাতুন্নেসা]] ৷ এছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনসহ নিহত হন আরো ২৬ জন ৷
 
১৫ আগস্ট নিহত হন মুজিব পরিবারের সদস্যবৃন্দ: ছেলে [[শেখ কামাল]], [[শেখ জামাল]] ও [[শেখ রাসেল]]; পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী কামাল; ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি ৷ বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসেন কর্নেল জামিলউদ্দীন, তিনিও তখন নিহত হন ৷ দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান জননেত্রী [[শেখ হাসিনা]] ও তার ছোটবোন [[শেখ রেহানা]] ৷
বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী (রেসিডেন্ট পি এ) জনাব আ ফ ম মোহিতুল ইসলাম, তিনি ১৯৭৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর বাড়িতে কর্মরত ছিলেন, ১৪ আগষ্ট (১৯৭৫) রাত আটটা থেকে পরের দিন (১৫ আগষ্ট ) সকাল আটটা পর্যন্ত তিনি ডিউটিতে ছিলেন । ১৪ আগষ্ট রাত বারোটার পর ১৫ আগষ্ট রাত একটায় তিনি তাঁর নির্ধারিত বিছানায় শুতে গিয়েছিলেন<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://blog.bdnews24.com/Ahmadsg/32429|title=আজ শোকাবহ ১৫ আগষ্ট, জাতীয় শোক দিবস। কাঁদো বাঙালী, কাঁদো|newspaper=http://blog.bdnews24.com|language=bn-BD|access-date=2017-03-15}}</ref>। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের সময় জনাব আ ফ ম মোহিতুল ইসলাম এজাহারে বলেন''''', ”তারপর কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম তা খেয়াল নেই। হঠাৎ টেলিফোন মিস্ত্রি আমাকে উঠিয়ে (জাগিয়ে তুলে) বলেন, প্রেসিডেন্ট সাহেব আপনাকে ডাকছেন। তখন সময় ভোর সাড়ে চারটা কী পাঁচটা। চারদিকে আকাশ ফর্সা হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু ফোনে আমাকে বললেন, সেরনিয়াতের বাসায় দুষ্কৃতকারী আক্রমণ করেছে। আমি জলদি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করলাম। অনেক চেষ্টার পরও পুলিশ কন্ট্রোল রুমে লাইন পাচ্ছিলাম না। তারপর গণভবন এক্সচেঞ্জে লাইন লাগানোর চেষ্টা করলাম। এরপর বঙ্গবন্ধু ওপর থেকে নিচে নেমে এসে আমার কাছে জানতে চান পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে কেন কেউ ফোন ধরছে না। এসময় আমি ফোন ধরে হ্যালো হ্যালো বলে চিৎকার করছিলাম। তখন বঙ্গবন্ধু আমার হাত থেকে রিসিভার নিয়ে বললেন আমি প্রেসিডেন্ট বলছি। এসময় দক্ষিণ দিকের জানালা দিয়ে একঝাঁক গুলি এসে ওই কক্ষের দেয়ালে লাগল। তখন অন্য ফোনে চিফ সিকিউরিটি মহিউদ্দিন কথা বলার চেষ্টা করছিলেন। গুলির তান্ডবে কাঁচের আঘাতে আমার ডান হাত দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। এসময় জানালা দিয়ে অনর্গল গুলি আসা শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শুয়ে পড়েন। আমিও শুয়ে পড়ি।কিছুক্ষণ পর সাময়িকভাবে গুলিবর্ষণ বন্ধ হলে বঙ্গবন্ধু উঠে দাঁড়ালেন। আমিও উঠে দাঁড়ালাম। ওপর থেকে কাজের ছেলে সেলিম ওরফে আবদুল বঙ্গবন্ধুর পাঞ্জাবী ও চশমা নিয়ে এলো। পাঞ্জাবী ও চশমা পরে বঙ্গবন্ধু বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) বললেন আর্মি সেন্ট্রি, পুলিশ সেন্ট্রি এত গুলি চলছে তোমরা কি কর? এসময় শেখ কামাল বলল আর্মি ও পুলিশ ভাই আপনারা আমার সঙ্গে আসুন। কালো পোশাক পরা একদল লোক এসে শেখ কামালের সামনে দাঁড়ালো। আমি (মোহিতুল) ও ডিএসপি নূরুল ইসলাম খান শেখ কামালের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। নরুল ইসলাম পেছন দিক থেকে টান দিয়ে আমাকে তার অফিস কক্ষে নিয়ে গেল। আমি ওখান থেকে উঁকি দিয়ে বাইরে দেখতে চেষ্টা করলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আমি গুলির শব্দ শুনলাম। এসময় শেখ কামাল গুলি খেয়ে আমার পায়ের কাছে এসে পড়লেন। কামাল ভাই চিৎকার করে বললেন, আমি শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল, ভাই ওদেরকে বলেন।আক্রমণকারীদের মধ্যে কালো পোশাকধারী ও খাকি পোশাকধারী ছিল। এসময় আবার আমরা গুলির শব্দ শোনার পর দেখি ডিএসপি নূরুল ইসলাম খানের পায়ে গুলি লেগেছে। তখন আমি বুঝতে পারলাম আক্রমণকারীরা আর্মির লোক। হত্যাকান্ডের জন্যই তারা এসেছে। নূরুল ইসলাম যখন আমাদেরকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছিলেন তখন মেজর বজলুল হুদা এসে আমার চুল টেনে ধরলো। বজলুল হুদা আমাদেরকে নিচে নিয়ে গিয়ে লাইনে দাঁড় করালো। কিছুক্ষণ পর নিচে থেকে আমরা বঙ্গবন্ধুর উচ্চকণ্ঠ শুনলাম। বিকট শব্দে গুলি চলার শব্দ শুনতে পেলাম আমরা। শুনতে পেলাম মেয়েদের আত্মচিৎকার, আহাজারি। এরইমধ্যে শেখ রাসেল ও কাজের মেয়ে রুমাকে নিচে নিয়ে আসা হয়। রাসেল আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে, আমাকে মারবেনাতো। আমি বললাম না তোমাকে কিছু বলবে না। আমার ধারণা ছিল অতটুকু বাচ্চাকে তারা কিছু বলবে না। কিছুক্ষণ পর রাসেলকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রুমের মধ্যে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরপর মেজর বজলুল হুদা বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা মেজর ফারুককে বলে, অল আর ফিনিশড।”''''' <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=https://albd.org/index.php/home/37-2013-09-03-17-32-35/2013-09-03-17-34-07/1475-2014-08-14-17-11-49|title=১৫ আগস্টঃ ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায়|language=bn-bd|access-date=2017-03-15}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://blog.bdnews24.com/Ahmadsg/32429|title=আজ শোকাবহ ১৫ আগষ্ট, জাতীয় শোক দিবস। কাঁদো বাঙালী, কাঁদো|newspaper=http://blog.bdnews24.com|language=bn-BD|access-date=2017-03-15}}</ref>
 
প্রতি বছর ১৫ আগস্ট জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের, পালিত হয় জাতীয় শোক দিবস ৷<ref>http://www.kortripokkho.com/জাতীয়-শোক-দিবস-আজ/</ref>
অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল ফারুক রহমানের&nbsp;আত্নস্বীকৃতিতে স্বীকার করেন, '''''খোন্দকার মোশতাকের নির্দেশে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট তিনি বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে অভিযান পরিচালনা করেন। ওই বাসভবনে অভিযানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল রশিদ দায়িত্ব পালন করেছেন বঙ্গভবনে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর ডালিম ছিলেন বেতার কেন্দ্রে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সামরিক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন করেছেন তিনি (ফারুক) নিজেই'''''<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=https://albd.org/index.php/home/37-2013-09-03-17-32-35/2013-09-03-17-34-07/1475-2014-08-14-17-11-49|title=১৫ আগস্টঃ ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায়|language=bn-bd|access-date=2017-03-15}}</ref>'''''।'''''
 
আরো দেখুন [[শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড]]
 
== ১৫ আগস্ট যারা খুন হয়েছিলোঃ ==
{| class="wikitable"
!ক্রমিক নং
!নাম
!বঙ্গবন্ধুর সাথে সম্পর্ক্য
!
|-
|০১
|বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান]]
|
|
|-
|০২
|[[বেগম ফজিলাতুন্নেসা]]
|স্ত্রী
|
|-
|০৩
|[[শেখ কামাল]]
|পুত্র
|
|-
|০৪
|[[শেখ জামাল]]
|পুত্র
|
|-
|০৫
|[[শেখ রাসেল]]
|পুত্র
|
|-
|০৬
|সুলতানা কামাল
|পুত্রবধু
|
|-
|০৭
|রোজী কামাল
|পুত্রবধু
|
|-
|০৮
|শেখ আবু নাসের
|ভাই
|
|-
|০৯
|আব্দুর রব সেরনিয়াবাত
|ভগ্নিপতি
|
|-
|১০
|শেখ ফজলুল হক মণি
|ভাগনে
|
|-
|১১
|বেগম আরজু মণি
|ভাগনেবউ
|
|-
|১২
|
|
|
|-
|১৩
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|-
|
|
|
|
|}
 
== তথ্যসূত্র ==