অনুরাধা গান্ধী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
sutro
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
পূন ব্যবহার
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৬৪ নং লাইন:
 
==রাজনৈতিক কর্মজীবন==
১৯৭০ সালে, মুম্বাইর এলফিনস্টোন কলেজ চরমপন্থী বামপন্থী কর্মীদের জন্য একটি ভরকেন্দ্র ছিল, এবং অনুরাধা সেক্ষেত্রে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করেন। সেই সময়ের যুদ্ধ আক্রান্ত [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] শরণার্থী শিবির দেখে, এবং মহারাষ্ট্রের দুর্ভিক্ষ-আক্রান্ত এলাকাগুলো দেখে, তিনি সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। তারপর তিনি প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ মুভমেন্ট (PROYOM)-এ যোগ দেন, যেখানে তিনি তত্কালীন [[নকশাল আন্দোলন|নকশাল আন্দোলনের]] সাথে সংযুক্ত হন। ১৯৭৪ সালে ওয়রলি দাংগা প্রতিরোধে অংশ নেন। তিনি এফ্রো- আমেরিকান বিপ্লবী সংগঠনের আদলে গড়া ওঠা ১৯৭৫ খৃষ্টাব্দে দলিত পন্থের আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৭৭ সালে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত সিভিল লিবার্টি কনফারেন্সে রাজনৈতিক বন্দীমুক্তির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন তিনি। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সংগঠন CPDR এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের ভেতর তিনি ছিলেন একজন। নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব পড়ানোর কাজে যুক্ত থাকায় বহু ছাত্র ও শিক্ষক তার দ্বারা বিপ্লবী রাজনীতিতে আকৃষ্ট হন। ভারতের জরুরী-অবস্থা পরবর্তীকালে যখন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন তিনি একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৮২ সালে ট্রেড ইউনিয়ন এবং দলিত আন্দোলনে তার আগ্রহের কারণে তাঁকে মুম্বাই থেকে নাগপুরের বিদর্ভ অঞ্চলে পাঠানো হয়। [[নাগপুর]] ছাড়াছাড়াও কাম্পতি, খাপারখোলা, জবলপুর, অমরাবতী এলাকায় বিড়ি, ঠিকা ও রেলশ্রমিকদের সংগঠিত করেছেন। তিনি এই সময় প্রায় বেশ কয়েক বার গ্রেফতার হন, যার ফলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।<ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|title=রাসমনি থেকে অনুরাধা|last=সেইসব শহীদেরা|first=পিনাকী বিশ্বাস|publisher=অতিরিক্ত পাবলিকেশন|year=২০১৪|isbn=978-81-928741-0-4|location=কলকাতা|pages=২৪, ২৫}}</ref>
 
== বিপ্লবী কর্মকান্ড ==
আত্মগোপন থাকাকালীন তাঁর বাস্তারের [[গোন্দ আদিবাসীদেরআদিবাসী]]<nowiki/>দের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের ভেতর তিনবছর থেকে আদিবাসী সমস্যা, জীবনযাত্রা, সংস্কৃতিকে অধ্যয়ন করেন ও তাদের কাছের মানুষ হিসেবে রাজনৈতিক শিবির, শিক্ষা শিবির, স্বাস্থ্য শিবির ইত্যাদির মাধ্যমে সচেতন করতে থাকেন। আদতে তিনি একজন গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন। রাইফেল তৈরীর কাজটিও নিজে হাতে শিখে নিয়েছিলেন। পশ্চিম বস্তারের ন্যাশনাল পার্ক অঞ্চলে তীব্র দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় ১৯৭৭ সালে, তখন তিনি প্রথমবার ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হন। সুস্থ হয়ে পূনরায় বিপ্লবী কাজকর্ম চালান। পাশাপাশি লেখালিখিও করেছেন হিন্দি ইংরেজি মারাঠি ইত্যাদি ভাষায়। স্বনামে ও ছদ্মনামে পিপলস মার্চ, জনসংগ্রাম, কলম পত্রিকায় লিখেছেন। অনুবাদ করেছেন দক্ষিন ভারতের বিপ্লবী কবি চেরবান্দারাজুর কবিতা। ভারতে জাতপাত প্রশ্নে তার পলিসি পেপার পূর্বতন CPI(ML) (Peoples War) পার্টি দলিল হিসেবে গৃহীত হয়।<ref name=":0" /> তিনি পার্টির নারী শাখার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন, এবং তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আত্মগোপনে থেকে কাজ করে গেছেন।<ref name="OPEN" /> ২০০৭ সালের ঐক্য কংগ্রেসে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)র কেন্দ্রীয় কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য হিসেবে যোগ দেন।<ref name=":0" />
 
==ব্যক্তিগত জীবন==