দেব (হিন্দুধর্ম): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৭০ নং লাইন:
===ভাগবত পুরাণ===
[[ভাগবত পুরাণ]] অনুযায়ী [[ব্রহ্মা]]র দশজন পুত্র ছিল, যথা [[মারীচী]], [[অত্রি]], [[অঙ্গিরা]], [[পুলস্ত্য]], [[পুলহ]], [[ক্রতু]], [[বশিষ্ঠ]], [[দক্ষ]] ও [[নারদ]]। মারীচীর [[কশ্যপ]] নামে এক পুত্র ছিল। কশ্যপের ছিল ১৩ জন স্ত্রী, [[অদিতি]], [[দিতি]], [[দনু]], [[কদ্রু]] প্রভৃতি। অদিতির পুত্রগণ [[আদিত্য]] নামে পরিচিত,দিতির পুত্রগণ [[দৈত্য]] নামে পরিচিত এবং দনুর পুত্রগণ [[দানব]] নামে পরিচিত। অঙ্গিরার পুত্র [[বৃহস্পতি]] দেবতাদের গুরু। ভৃগুমুনির পুত্র [[শুক্রচার্য]] অসুর বা দানবগণের গুরু।
 
===রূপক===
এডলম্যান বলেন হিন্দু পৌরাণিক সাহিত্যে উল্লিখিত এসব প্রভেদ মূলত আধ্যাত্মিক ধারণার প্রতীক। উদাহরণস্বরূপ একদা দেব [[ইন্দ্র]] ও অসুর [[বিরোচন]] আত্মজ্ঞান সম্পর্কে এক মুনিকে জিজ্ঞাসা করেন। প্রাথমিক উত্তর পেয়েই বিরোচন মনে করেন তিনি এই জ্ঞানকে অস্ত্ররূপে প্রয়োগ করতে পারবেন এবং চলে যান। পক্ষান্তরে ইন্দ্র মুনিকে পুনঃপুন প্রশ্ন করতে থাকেন, ধারণাগুলোকে আলোচনা করেন এবং অন্তরস্থ সুখ ও ক্ষমতা সম্পর্কে শিক্ষালাভ করেন। এডলম্যান বলেন দেব ও অসুর এই দ্বিবিধ সত্তাকে “মানবহৃদয়ের প্রবণতাসমূহের ব্যাখ্যামূলক চিত্রায়ণ” হিসেবে দেখা যেতে পারে।
 
এডলম্যান আরও মনে করেন দেব ও অসুর প্রতীকীভাবে প্রতিটি ব্যক্তির ব্যক্তিকে চালিত করে এমন সাংঘর্ষিক চিন্তাভাবনাকে প্রকাশ করে, আর এভাবেই দেবাসুর দ্বন্দ্ব কোন সত্তা প্রকাশ না করে একটি আধ্যাত্মিক ধারণা প্রকাশ করে থাকে। ভাগবত পুরাণে, সাধক ও দেবস্বভাব ব্যক্তিকে অসুরকুলে জন্মগ্রহণ করতে দেখা যায় যেমন [[মহাবলী]] ও [[প্রহ্লাদ]]; এটি একধরনের প্রেরণা, বিশ্বাস ও কর্ম প্রকাশ করে, কারও জন্মস্থান, পরিবার বা পারিপার্শ্বিকতা ঠিক করে না যে সে দেবস্বভাব হবে না অসুরস্বভাব হবে।
 
==চিরায়ত হিন্দুবিশ্বাস==
প্রাকৃতিক দেবগণ বিভিন্ন পরিবেশগত উপাদানের দেবতা যেমন আগুন, বাতাস, বৃষ্টি, বৃক্ষ প্রভৃতি- পরবর্তীকালে এমন অধিকাংশ দেবতার ভূমিকা হিন্দুধর্মে গৌণ হয়ে আসে। তবে কতিপয় দেবতা প্রাধান্যলাভ করে। উচ্চশ্রেণির দেবগণ, মহাজাগতিক ক্রিয়াকাণ্ড পরিচালনা ও সৃষ্টিকুলের উৎকর্ষ সাধন প্রভৃতি জটিল কার্য সম্পাদন করে থাকেন। [[ব্রহ্মা]], [[বিষ্ণু]] ও [[শিব]] কে মিলিত করে [[ত্রিমূর্তি]] গঠন করা হয়। (উল্লেখ্য মহাদেব বলতে শিবকে বোঝায়)
 
এছাড়াও হিন্দুধর্মে দেব এর নিম্নশ্রেণিবিশিষ্ট কয়েকটি সত্তা আছে যেমন গন্ধর্ব(স্বর্গের পুরুষ গায়ক) এবং [[অপ্সরা]](স্বর্গের নর্তকী)। তারা পরস্পর বিয়ে করতে পারত।
 
বাতাসের দেবতা [[বায়ু(দেবতা)|বায়ু]]একজন গুরুত্বপূর্ণ দেব। মৃত্যুর দেবতা হলেন [[যম]]। হিন্দুধর্মে দেববৃন্দ অগ্নি, বায়ু প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির নিয়ন্তা।
==সঙ্গম সাহিত্য==
[[তামিল]] ভাষার [[সঙ্গম সাহিত্য|সঙ্গম সাহিত্যে]] (৩০০ খ্রিস্টপূর্ব-৩০০ খ্রিস্টাব্দ) দেবগণের স্তুতি ও অর্ঘ্য বর্ণনা করা হয়েছে। তামিল ভাষার পাঁচটি মহাকাব্যের অন্যতম [[ইলাঙ্গো আদিগল]] বিরচিত [[শিলপদিকরম]] গ্রন্থে চার প্রকার দেবতার জন্য অর্ঘ্যের কথা বলা হয়েছে।
 
==আরও দেখুন==
*[[বিশ্বেদেব]]
*[[একেশ্বরবাদ সম্পর্কে হিন্দু শাস্ত্র]]
*[[ভগবান]]
*[[হিন্দুধর্মে ঈশ্বর এবং লিঙ্গ]]
*[[হিন্দু দেবদেবী]]
*[[দেব (বৌদ্ধধর্ম)]]
*[[দিব্যভাব]]
*[[দেবতা]]
*[[দায়েবা]]
*[[দিওয়াতা]]
*[[দেবী]]
 
==তথ্যসূত্র==