ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[অপরীক্ষিত সংশোধন] | [অপরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
'সম্ভবত' শব্দটির বানান ভুল ছিল। সংশোধন করা হলো। |
তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন |
||
৬৫ নং লাইন:
চার বছর নয় মাস বয়সে ঠাকুরদাস বালক ঈশ্বরচন্দ্রকে গ্রামের সনাতন বিশ্বাসের পাঠশালায় ভর্তি করে দেন। কিন্তু সনাতন বিশ্বাস বিদ্যাদানের চেয়ে শাস্তিদানেই অধিক আনন্দ পেতেন। সেই কারণে রামজয় তর্কভূষণের উদ্যোগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের কালীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নামে এক উৎসাহী যুবক বীরসিংহে একটি নতুন পাঠশালা স্থাপন করেন। আট বছর বয়সে এই পাঠশালায় ভর্তি হন ঈশ্বরচন্দ্র। তাঁর চোখে কালীকান্ত ছিলেন আদর্শ শিক্ষক। কালীকান্তের পাঠশালায় তিনি সেকালের প্রচলিত বাংলা শিক্ষা লাভ করেছিলেন।
১৮২৮ সালের নভেম্বর মাসে পাঠশালার শিক্ষা সমাপ্ত করে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পিতার সঙ্গে কলকাতায় আসেন। তাঁদের সঙ্গে কলকাতায় এসেছিলেন কালীকান্ত ও চাকর আনন্দরাম গুটিও। কথিত আছে, পদব্রজে মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় আসার সময় পথের ধারে মাইলফলকে ইংরেজি সংখ্যাগুলি দেখে তিনি সেগুলি অল্প আয়াসেই আয়ত্ত করেছিলেন। কলকাতার [[বড়বাজার (কলকাতা)|বড়বাজার]] অঞ্চলের বিখ্যাত সিংহ পরিবারে তাঁরা আশ্রয় নেন। এই পরিবারের কর্তা তখন জগদ্দুর্লভ সিংহ। ১৮২৯ সালের ১ জুন সোমবার কলকাতা গভর্নমেন্ট [[সংস্কৃত কলেজ|সংস্কৃত কলেজে]] ( যা বর্তমানে [[সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল]] নামে পরিচিত) ব্যাকরণের তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৮২৪ সালে; অর্থাৎ, ঈশ্বরচন্দ্রের এই কলেজে ভর্তি হওয়ার মাত্র পাঁচ বছর আগে। তাঁর বয়স তখন নয় বছর। এই কলেজে তাঁর সহপাঠী ছিলেন [[মুক্তারাম বিদ্যাবাগীশ]] ও [[নদিয়া জেলা|নদিয়া]]-নিবাসী [[মদনমোহন তর্কালঙ্কার]]। বিদ্যাসাগরের আত্মকথা থেকে জানা যায় মোট সাড়ে তিন বছর তিনি ওই শ্রেণীতে অধ্যয়ন করেন।
ব্যাকরণ পড়ার সময় ১৮৩০ সালে সংস্কৃত কলেজের ইংরেজি শ্রেণীতেও ভর্তি হন ঈশ্বরচন্দ্র। ১৮৩১ সালের মার্চ মাসে বার্ষিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের জন্য মাসিক পাঁচ টাকা হারে বৃত্তি এবং ‘আউট স্টুডেন্ট’ হিসেবে একটি ব্যাকরণ গ্রন্থ ও আট টাকা পারিতোষিক পান। সংস্কৃত কলেজে মাসিক বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রদের ‘পে স্টুডেন্ট’ ও অন্য ছাত্রদের ‘আউট স্টুডেন্ট’ বলা হত। অন্যদিকে তিন বছর ব্যাকরণ শ্রেণীতে পঠনপাঠনের পর বারো বছর বয়সে প্রবেশ করেন কাব্য শ্রেণীতে। সে যুগে এই শ্রেণীর শিক্ষক ছিলেন বিশিষ্ট পণ্ডিত [[জয়গোপাল তর্কালঙ্কার]]। ১৮৩৩ সালে ‘পে স্টুডেন্ট’ হিসেবেও ঈশ্বরচন্দ্র ২ টাকা পেয়েছিলেন। ১৮৩৪ সালে ইংরেজি ষষ্ঠশ্রেণীর ছাত্র ঈশ্বরচন্দ্র বার্ষিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের জন্য ৫ টাকা মূল্যের পুস্তক পারিতোষিক হিসেবে পান। এই বছরই ক্ষীরপাই নিবাসী শত্রুঘ্ন ভট্টাচার্যের কন্যা দীনময়ী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়।
৭৩ নং লাইন:
১৮৩৬ সালে অলংকার পাঠ শেষ করেন। বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ''[[রঘুবংশম্]]'', ''সাহিত্য দর্পণ'', ''কাব্যপ্রকাশ'', ''রত্নাবলী'', ''মালতী মাধব'', ''[[উত্তর রামচরিত]]'', ''[[মুদ্রারাক্ষস]]'', ''[[বিক্রমোর্বশী]]'' ও ''[[মৃচ্ছকটিক]]'' গ্রন্থ পারিতোষিক পান। ১৮৩৭ সালের মে মাসে তাঁর ও মদনমোহনের মাসিক বৃত্তি বেড়ে হয় আট টাকা।
এই বছরই ঈশ্বরচন্দ্র স্মৃতি শ্রেণীতে ভর্তি
=== বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ ===
২৭৫ নং লাইন:
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}
[[শ্রীম কথিত শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত]]
{{বাংলার নবজাগরণ}}
{{বাংলা ভাষার বিষয়সমূহ}}
২৮৮ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ব্যক্তিত্ব]]
[[বিষয়শ্রেণী:সংস্কৃত কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]
[[বিষয়শ্রেণী:সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]
|