দেব (হিন্দুধর্ম): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৬৪ নং লাইন:
পরবর্তীকালের প্রাথমিক [[উপনিষদ]] লেখায় দেখা যায় যে দেব ও অসুর আলোচনা করে এবং বিভিন্ন প্রকারের জ্ঞান লাভ করতে চান। উদাহরণস্বরূপ, একদা তারা তাদের পিতা প্রজাপতির কাছে আত্মজ্ঞান (আত্মা) সম্পর্কে জানতে চান এবং কীভাবে তা অনুভব করা যায় তা জানতে চান। প্রজাপতি প্রথমে সরল উত্তর দেন, অসুররা তা শুনে চলে যায়। কিন্তু ইন্দ্রের নেতৃত্বে আগত দেববৃন্দ এই সংক্ষিপ্ত উত্তরে তৃপ্ত হলেন না কেননা [[ইন্দ্র]] উত্তরের সম্পূর্ণ অর্থ বুঝতে পারেননি এবং উত্তর অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। এডেলম্যান মনে করেন এখানে প্রতীকীভাবে বলা হয়েছে যে মানুষের উচিত হবে বিদ্যমান ধারণাসমূহ নিয়ে নিরন্তর চিন্তা করা, পুরো প্রক্রিয়া শিক্ষালাভ করা এবং প্রচেষ্টার মধ্যেই দেবপ্রকৃতি নিহিত থাকে।
 
==পুরাণ ও ইতিহাস==
পুরাণে, ইতিহাসে ও ভাগবত গীতায় দেবগণ ভাল আর অসুরগণ মন্দ বিষয়ের প্রতিভূ। [[ভগবদ্গীতা]] (১৬.৬-১৬.৭) অনুযায়ী মহাজগতের প্রতিটি সত্তার মাঝেই স্বর্গীয় বৈশিষ্ট্য (দৈবী সম্পদ) ও শয়তানের বৈশিষ্ট্য (আসুরী সম্পদ) রয়েছে। ভগবদগীতার ষোড়শ অধ্যায় অনুসারে বিশুদ্ধ দেবস্বভাব ব্যক্তি আর বিশুদ্ধ আসুরিকভাবসম্পন্ন ব্যক্তি উভয়ই দুর্লভ; অধিকাংশ মানুষই দোষগুণের সমন্বয়ে মিশ্রচরিত্রের অধিকারী। জিনিন ফউলারের মতে গীতায় বলা হয়েছে আকাঙ্ক্ষা, বিরাগ, লোভ, অভাব, আবেগ প্রভৃতি সাধারণ জীবনের বিবিধ রূপ; যখন এসব লালসা, ঘৃণা, উচ্চাশা, অহংকার, দম্ভ, ক্রোধ, রূঢ়তা, কপটতা, হিংসা, ক্রূরতা ও নেতিবাচকতায় রূপ নেয় তখন মনুষ্যচরিত্র আসুরিক স্বভাবে পরিবর্তিত হয়।
একই পিতার ঔরসে জন্ম নেওয়া প্রত্যেকেই প্রথমে অসুর নামে অভিহিত হয়। ‘অসুর হয়ে থাকা অসুর’ বলতে বোঝায় যেসকল শক্তিশালী সত্তা আরও ক্ষমতা, সম্পদ এর জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে, যারা অভিমানী, ক্রোধযুক্ত, নীতিবিহীন, পেশীশক্তিসর্বস্ব ও সহিংস। পক্ষান্তরে ‘দেব হওয়া অসুর’ হল তারা যারা সত্যবাদী, যারা অথপূর্ণভাবে সব বুঝতে চায় এবং সংযম, নীতি, আদর্শ, জ্ঞান ও শৃঙ্খলা পছন্দ করে। উভয়ের এই বিভেদমূলক বৈশিষ্ট্য অধিকাংশ হিন্দু মহাকাব্য ও পুরাণের গল্পগাথার উৎস; তবে বহু রচনায় এই প্রভেদ একমুখী দোষারোপ ব্যতীত নিরপেক্ষভাবে বর্ণিত হয়েছে। এমন কিছু কাহিনি প্রধান প্রধান হিন্দু পার্বণের উৎস যেমন [[রামায়ণ]] এর দেব রাম ও অসুর রাবণের যুদ্ধকাহিনি এবং অসুর [[হিরণ্যকশিপু]] ও দেব বিষ্ণুর([[নরসিংহ]]) যুদ্ধ থেকে পরবর্তীকালে যথাক্রমে [[হোলিকা]] ও [[দোলযাত্রা|হোলি]] নামক বসন্তকালীন উৎসবের জন্ম হয়।
===ভাগবত পুরাণ===
[[ভাগবত পুরাণ]] অনুযায়ী [[ব্রহ্মা]]র দশজন পুত্র ছিল, যথা [[মারীচী]], [[অত্রি]], [[অঙ্গিরা]], [[পুলস্ত্য]], [[পুলহ]], [[ক্রতু]], [[বশিষ্ঠ]], [[দক্ষ]] ও [[নারদ]]। মারীচীর [[কশ্যপ]] নামে এক পুত্র ছিল। কশ্যপের ছিল ১৩ জন স্ত্রী, [[অদিতি]], [[দিতি]], [[দনু]], [[কদ্রু]] প্রভৃতি। অদিতির পুত্রগণ [[আদিত্য]] নামে পরিচিত,দিতির পুত্রগণ [[দৈত্য]] নামে পরিচিত এবং দনুর পুত্রগণ [[দানব]] নামে পরিচিত। অঙ্গিরার পুত্র [[বৃহস্পতি]] দেবতাদের গুরু। ভৃগুমুনির পুত্র [[শুক্রচার্য]] অসুর বা দানবগণের গুরু।
 
==তথ্যসূত্র==