বুধ গ্রহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
FerdousBot (আলোচনা | অবদান)
বানান, replaced: দৈর্ঘ → দৈর্ঘ্য (4)
→‎অভ্যন্তরীক গঠন: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
১৩৫ নং লাইন:
কেন্দ্রের চারপাশে ৬০০ কিমি অঞ্চল জুড়ে রয়েছে [[ম্যানটেল]]। বুধের ইতিহাস ঘেটে যে তথ্য পাওয়া গেছে সে অনুসারে এখন সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, অনেক আগে বুধের সাথে কয়েক কিলোমিটার ব্যাসবিশিষ্ট একটি বস্তুর সংঘর্ষ ঘটেছিল। এই সংঘর্ষে বুধের ম্যানটেলের বেশ কিছু অংশ খসে পড়ে। এ কারণেই বর্তমানে কেন্দ্রের তুলনায় ম্যানটেলের পুরুত্ব এত কম।<ref name="Benz">Benz, W.; Slattery, W. L.; Cameron, A. G. W.; ''Collisional stripping of Mercury’s mantle'', Icarus, Vol. 74 (1988), pp. 516-528</ref> অবশ্য এ বিষয়ে অন্যান্য মতও রয়েছে। ধারণামতে বুধের [[ভূ-ত্বক|ভূ-ত্বকের]] পুরুত্ব ১০০ - ২০০ কিমি-এর মধ্যে। এর পৃষ্ঠতরের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে প্রচুর সরু ridge রয়েছে যার কয়েকটি প্রায় কয়েকশো কিলোমিটার পর্যন্ত প্রলম্বিত। বিশ্বাস করা হয় এগুলো বুধের কেন্দ্র এবং ম্যানটেল হিসেবে গঠিত হয়েছিলো, কিন্তু এগুলো শীতল ও সংকুচিত হওয়ার আগেই বুধের ভূ-ত্বক কঠিন হয়ে যায়। এ কারণে এগুলো ridge হিসেবে রয়ে যায়।<ref>Schenk, P.; Melosh, H. J.; ''Lobate Thrust Scarps and the Thickness of Mercury’s Lithosphere'', Abstracts of the 25th Lunar and Planetary Science Conference (1994), 1994LPI....25.1203S</ref>
 
আমাদের সৌর জগতের অন্যান্য বৃহৎ গ্রহগুলোর যে কোনটির তুলনায় বুধে লৌহের পরিমাণ বেশী। বুধে ধাতুর এই উচ্চ পরিমাণের কারণ ব্যাখ্যার জন্য বেশ কয়েকটি তত্ত্ব প্রস্তাব করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশী গৃহীত তত্ত্বটি হচ্ছে: বুধে ধাতু-সিলিকেটের অনুপাত সাধারণ [[কনড্রাইট]] উল্কায় এই অনুপাতের সমান ছিল এবং একসময় এর ভর বর্তমান ভরের ২.২৫ গুণ ছিল। সৌর জগতের ইতিহাস থেকে জানা যায় এক পর্যায়ে একটি বৃহৎ planetesimal বুধে আঘাত হানে যার ভর এর ছয় ভাগের এক ভাগ ছিল। এই সংঘর্ষের ফলে এর মূল ভূ-ত্বক ও ম্যানটেলের অনেকাংশ ক্ষয়ে যায়, কিন্তু অভ্যন্তরীন কেন্দ্রটি আগের মতই রয়ে যায়। ফরেফলে কেন্দ্র এতো বড় এবং লৌহসমৃদ্ধ।<ref name="Benz" /> পৃথিবীর একমাত্র কৃত্রিম উপগ্রহ [[চন্দ্র|চন্দ্রের]] উৎপত্তি ব্যাখ্যার জন্যও অনুরুপ একটি তত্ত্ব প্রস্তাবিত হয়েছে। একে giant impact theory বলা হয়। অন্য একটি মতে বলা হয়, বুধ গ্রহ সূর্যের শক্তি উৎপাদনের পরিমাণ সুস্থিত হওয়ার পূর্বে [[সৌর নীহারিকা]] থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। সৃষ্টি আদিতে এর ভর সম্ভবত বর্তমান ভরের দ্বিগুণ ছিল। কিন্তু [[ভ্রূণতারা|ভ্রূণ সূর্য]] সংকুচিত হওয়ার কারণে বুধের নিকটে তাপমাত্রা ২৫০০ থেকে ৩৫০০ কেলভিনে পৌঁছায়। অনেকের মতে এই তাপমাত্রা ১০,০০০ কেলভিনেরও উপর হতে পারে। এই উচ্চ তাপমাত্রায় বুধ পৃষ্ঠের অনেক শিলা জাতীয় বস্তুই হয়তো বাষ্পীভূত হয়ে গিয়েছিল এবং একটি ''শিলা বাষ্প'' বিশিষ্ট বায়ুমণ্ডল সৃষ্টি করেছিল। [[সৌর বায়ু]] এই শিলা বাষ্প সরিয়ে নিয়ে যায়।<ref>Cameron, A. G. W.; ''The partial volatilization of Mercury'', Icarus, Vol. 64 (1985), pp. 285-294.</ref> তৃতীয় অন্য একটি তত্ত্বে প্রস্তাব করা হয়েছে, যে কণাগুলো থেকে বুধ গ্রহের [[বিবৃদ্ধি]] ঘটছিলো সেগুলোর উপর সৌর নীহারিকা এক ধরণের [[গতিরোধক]] (drag) আরোপ করেছিল। এতে হালকা বস্তুগুলো আর বিবৃদ্ধি সাধনে অংশ নিতে পারেনি।<ref>Weidenschilling, S. J.; ''Iron/silicate fractionation and the origin of Mercury'', Icarus, Vol. 35 (1987), pp. 99-111</ref> এই তত্ত্বগুলোর প্রত্যেকটি বুধ পৃষ্ঠের গঠন সম্বন্ধে ভিন্ন ভিন্ন মত দেয়। এই তত্ত্বগুলো পরীক্ষা করে দেখার জন্য বুধ অভিযানে একটি মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে: [[মেসেঞ্জার (নভোযান)|মেসেঞ্জার]]। এছাড়া ভবিষ্যতে আরেকটি যান পাঠানো হচ্ছে যার নাম [[বেপিকলম্বো]]।
 
== পৃষ্ঠতলের ভূ-তত্ত্ব ==