দুর্ভিক্ষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shariful iea (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
→‎শীর্ষ: সংশোধন
২ নং লাইন:
'''দুর্ভিক্ষ''' হল কোন এলাকার ব্যাপক [[খাদ্য]] ঘাটতি।<ref>{{cite journal |last=Kelly |first=James |jstor=30008004 |title=Scarcity and Poor Relief in Eighteenth-Century Ireland: The Subsistence Crisis of 1782-4 |journal=Irish Historical Studies |volume=28 |date=May 1992 |pages=38–62 |publisher=[[Cambridge University Press]]}}</ref> সাধারনত ফসলহানি, যুদ্ধ, সরকারের নীতিগত ব্যর্থতা ইত্যাদি কারণে দুর্ভিক্ষ সংগঠিত হয়। এছাড়া প্রাকৃতিক দূর্য়োগ, গবাদিপশুর মড়ক, পোকাড় আক্রমন ইত্যাদি কারণেও দুর্ভিক্ষ সংগঠিত হয়।
 
১৭৭০ সালে বাংলাদেশে এক ভায়বহভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। সময়টি বাংলা ১১৭৬ সাল হওয়ায় এই দুর্ভিক্ষ [[ছিয়াত্তরের মন্বন্তর]] নামে পরিচিত হয়। অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সমগ্র দেশজুড়ে চরম অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। ত্রুটিপূর্ণ ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা ও খাদ্যবাজারে দালাল ফড়িয়া শ্রেনীর দৌরাত্ম্যের ফলে অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়ে।<ref>[http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7]/বাংলাপিডিয়া</ref>
 
১৯৪৩ সালে বাংলাদেশে একটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ১৯৩৮ সাল থেকে কৃষি ফসলের উৎপাদন কমতে থাকে। তাছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ঘটনাও এর পেছনে অন্যতম কারণ ছিল। জাপানি সেনাবাহিনীর হাতে বার্মার পতন হলে সেখান থেকে বিপুল পরিমান চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া যুদ্ধরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য অতিরিক্ত খাদ্যশস্যের চাহিদা, অতিরিক্ত মুনাফাভোগীদের দৌরাত্ম এবং সরকারি অব্যবস্থাপনা এই দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ। এই দুর্ভিক্ষে ৩.৫ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরন করে। বিপুল সংখ্যক মানুষ কলকাতা শহরে মৃত্যুবরন করে। উল্লেখ্য যে, এদের মধ্যে সবাই কলকাতা শহরের বাইরের বাসিন্দা ছিল।