মোহন লাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সূত্র
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
হটক্যাট
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২০ নং লাইন:
 
== প্রথম জীবন ==
মোহনলাল ছিলেন নবাব সিরাজদ্দৌলার অন্যতম বিশ্বস্ত হিন্দু অফিসার। তিনি পরিচিত ছিলেন দেওয়ান মোহনলাল নামে। তাকে কায়স্থ সন্তান মোহনলাল কাশ্মীরি বলেছেন অনেকে। ১৭৫৬ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে নবাবের আসনে বসেই সিরাজদ্দৌলা যে দুজন দক্ষ অফিসারের ওপর আস্থা স্থাপন করেছিলেন তারা হলেন [[মিরমদন|মীরমদন]] ও মোহনলাল। নবাবের দেওয়ান খানার পেশকার নিযুক্ত করে তাকে মহারাজা উপাধি ও মনসবদারী দান করা হয়। তাকে বিহারের [[পূর্ণিয়া]]<nowiki/>র শাসনভারও অর্পণ করেন নবাব। নবাব দরবারে তার প্রতিপত্তিতে সিরাজের শত্রুরা আতংকিত হয় এবং মোহনলালকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চক্রান্তও হয়েছিল একথা নবাব দরবারে আগত ফরাসী দূত মঁসিয়ে ল' তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=পলাশীর যুদ্ধ|last=পূর্নেন্দু পত্রী|first=পুরোনো কলকাতার কথাচিত্র|publisher=দেজ পাবলিশিং|year=|isbn=|location=কলকাতা|pages=}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=রূপমঞ্জরি|last=প্রথম খন্ড|first=নারায়ন সান্যাল|publisher=দেজ পাবলিশিং|year=১৯৯০|isbn=|location=কলকাতা|pages=৪৮৫, ৪৮৯}}</ref>
 
== পলাশীর যুদ্ধ ==
১৭৫৭ এর ২৩ শে জুন [[পলাশীর যুদ্ধ|পলাশীর যুদ্ধের]] সময় মোহনলাল সিরাজের প্রতি অবিচল বিশ্বস্ততায় যুদ্ধ করেছিলেন। গোলাম হোসেন রচিত’ সয়ার-উল-মুতাখেরিন গ্রন্থ থেকে জানা যায়, মীর মদনের মৃত্যুর পরেও মোহনলালের একক চেষ্টায় যুদ্ধের গতি সিরাজের অনুকূলে ছিল<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.dailysangram.com/post/210371-নবাবি-আমল-ও-বাংলার-নবাব-সিরাজউদ্দৌলা|title=নবাবি আমল ও বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলা|last=|first=|date=৩১অক্টোবর, ২০১৫|website=|publisher=দৈনিক সংগ্রাম|access-date=09.12.16}}</ref>। কিন্তু নিজ অদূরদর্শিতা ও মানসিক দুর্বলতাহেতু তরুন নবাব সিরাজ [[মীরজাফর]] প্রমুখ বিশ্বাসঘাতকদের প্রভাবে যুদ্ধ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। ফলত: নবাববাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ও শোচনীয় পরাজয় ঘটে। ঐতিহাসিক [[যদুনাথ সরকার|যদুনাথ সরকারের]] মতে মোহনলাল যুদ্ধে আহত হন। যুদ্ধ পরবর্তী পর্যায়ে তার বড়ো ছেলে পূর্নিয়ার নায়েব নাজিম, শ্রীমন্ত লাল মীরনের হাতে মারা যান। ছোটছেলে হুক্কা লাল পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।<ref name=":1" />
 
== নিখোঁজ জীবন ও বিতর্ক ==
মোহনলালের পলাতক জীবন সম্পর্কে বিশেষ বিতর্ক আছে, ঐতিহাসিক নিখিলনাথ রায় ও সোনিয়া আমিন বলেন মোহনলালের ভগ্নী ছিলেন সিরাজের প্রণয়ী, তাদের শিশুপুত্রকে নিয়ে [[মুর্শিদাবাদ]] ত্যাগ করেন ও ময়মনসিংহে আশ্রয় নেন। তারপর তার অজ্ঞাতবাস পর্বের নানা কিংবদন্তী ছড়িয়ে আছে বাংলায়। অনেকেঅনেক ঐতিহাসিক অনুমান করেন তারঁ জন্মস্থান হুগলির[[হুগলী জেলা]]<nowiki/>র [[গুপ্তিপাড়া]], সেখানে আত্মগোপন করে থাকেন যুদ্ধোত্তর পর্বে। নদীয়ার কালীগঞ্জের নিকটবর্তী জুড়ানপুর শাক্তপীঠেও তার অবস্তগানেতঅবস্থানের কাহিনী প্রচলিত আছে কিংবদন্তি মোতাবেক।<ref name=":1">{{বই উদ্ধৃতি|title=সিরাজের পুত্র ও বংশধরদের সন্ধানে|last=অমলেন্দু দে|first=|publisher=পারুল প্রকাশনী|year=২০১২|isbn=978-93-82300-47-2|location=কলকাতা|pages=২৪}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://bn.vikaspedia.in/education/9b69bf9b69c1-9859999cd9979a8/9aa9b69cd99a9bf9ae9ac9999cd9979c7-9ac9c79be9a89b0-99c9be9979be/9a49c09b09cd9a59b89cd9a59be9a8/9979c19aa9cd9a49bf9aa9be9be|title=গুপ্তিপাড়া|last=|first=|date=|website=বিকাশপিডিয়া|publisher=|access-date=৬ মার্চ, ২০১৭}}</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==