অনাক্রম্যতন্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নাহল (আলোচনা | অবদান)
পরিবর্তন চলছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎top: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
প্রতিরক্ষাতন্ত্র হলো বিভিন্ন জৈবিক কাঠামো সহযোগে গঠিত দেহের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা জীবদেহে রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। সঠিকভাবে কাজ করতে প্রতিরক্ষাতন্ত্রকে বহিরাগত ভাইরাস বা পরজীবীর বিভিন্ন এজেন্ট (যাদের সাধারণত আমরা প্যাথোজেন নামে চিনি) জীবদেহের নিজস্ব পরজীবী থেকে আলাদা করে শনাক্ত করতে হবে। অনেক প্রজাতিতেই প্রতিরক্ষাতন্ত্রকে অন্ত:প্রতিরক্ষাতন্ত্র, অর্জিত প্রতিরক্ষাতন্ত্র বা হরমোনাল প্রতিরক্ষাতন্ত্র ইত্যাদি উপভাগে ভাগ করা হয়। মানুষের ক্ষেত্রে রক্ত-মস্তিষ্ক-প্রতিবন্ধক, রক্ত সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড প্রতিবন্ধক এবং এ ধরণের ফ্লুইড-মস্তিষ্ক-প্রতিবন্ধক, কেন্দ্রীয় এবং প্রান্তীয় প্রতিরক্ষাতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়।
 
প্যাথজেন খুব দ্রুত বৃদ্ধি বা বংশবিস্তার লাভ করে প্রতিরক্ষাতন্ত্রকে ফাকি দিতে পারে, আবার অনেক প্রতিরক্ষা উপাদানও একইভাবে উন্নতি করে প্যাথজেন শনাক্ত ও প্রশমিত করতে পারে। সাধারণ এককোষী যেমন ব্যাক্টেরিয়াতে ব্যাক্টেরিওফাযের ইনফেক্শনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী এনজাইম্রুপে অপরিণত প্রতিরক্ষাতন্ত্র থাকে। আদিকোষীতে অন্য়ান্য় সাধারন প্রতিরক্ষাতন্ত্র গড়ে উঠেছে এবং তাদের বর্তমান বংশধরে যেমন উদ্ভিদ ও অন্তঃভার্টিব্রাটাস এ এখনো এটি বিদ্যমান। প্রতিরক্ষাতন্ত্রের কার্যপ্রণালীর মধ্যে রয়েছে ফ্যাগোসাইটোসিস, ডিফেনসিন্স নামধারী ক্ষুদ্রানুরোধী পেপটাইডস, এবং কমপ্লিমেন্ট সিস্টেম। মানুষ সহ ন্যাথস্টোমাটা অধিশ্ৰেণীয় ভার্টিব্রেটদের নির্দিষ্ট প্যাথোজেনদের বিরুদ্ধে আরো সুচারুরূপে পদ্ধক্ষেপ নেবার মতো অধিক উন্নত প্রতিরক্ষাতন্ত্র রয়েছে ^[১]। সহজাত বা অর্জিত অনাক্রম্যতা অনাক্রম্য স্মৃতি তৈরী করে রেখে একবার প্রতিরোধ করা হয়েছে এমন প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গড়ে তোলে। টিকা প্রক্রিয়ার ভিত্তিই হল অর্জিত অনাক্রম্যতা।
 
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কোনো সমস্যা হলে অটোইমিউন ডিজিজ, প্রদাহী ক্ষত বা ক্যান্সার হতে পারে।^[২] রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তুলনামূলক ভাবে দুর্বল থাকলে ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি এবং তা থেকে প্রাণঘাতী ইনফেকশন হতে পারে।মানুষের ক্ষেত্রে জিনগত রোগের (যেমন সিভিয়ার কম্বাইন্ড ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি)কারণেও হতে পারে, আবার বাইরে থেকে জীবাণু অর্জন করার কারণেও (যেমন এইচ আই ভি/ এইডস) হতে পারে বা অনাক্রম্য ব্যবস্থাকে দুর্বল করে এমন ওষুধ ব্যবহারের কারণেও হতে পারে। অন্যদিকে, অনাক্রম্য ব্যবস্থা নিজ দেহ কোষকে ঠিকভাবে সনাক্ত না করে তাকে বহিরাগত কোষ মনে করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকে অটোইম্যুনিটি বলা হয়। এরকম কিছু অটোইমিউন সমস্যা হলো হাশিমোটোস থাইরয়ডিটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস মেলিটাস টাইপ-১ এবং সিস্টেমিক লুপাস এরিথেমাটোসাস। ইমিউনোলজি বা অনাক্রম্য বিদ্যায় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করা হয়।