ষড়যন্ত্র তত্ত্ব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Fattah1503027 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
৪ নং লাইন:
 
==পদটির ব্যবহার==
মানুষ ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উদ্ভব ঘটায় সামাজিক কিছু সংগঠন এবং তাদের সাথে চিরপরিচিত অশুভ শক্তির ক্ষমতার সম্পর্ক বোঝাতে। এ তত্ত্বগুলোর পেছনে মূলত মনস্তাত্ত্বিক এবং সামজিক-রাজনৈতিক উৎস থাকে। প্রস্তাবিত মানসিক উৎসের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অভিক্ষেপ, অর্থাৎ "একটি নির্দিষ্ট ঘটনাকে নির্দিষ্ট কারন দ্বারা ব্যাখা করার মানসিক আকাঙ্ক্ষা।" এবং অনূরুপ কিছু মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার বহিঃপ্রকাশ, যেমন- ভ্রম বাতুলতা, মৃদু থেকে তীব্র মানসিক জটিলতা। কোন কোন বিশ্লেষক আবার সামাজিক-রাজনৈতিক কারনকে গুরুত্ব দিয়েছেন, এই ভিত্তিতে যে এলোমেলো, অনির্দেশ্য, ব্যাখাতীত ঘটনা থেকে উদ্ভূত ব্যাক্তিগত অনিরপত্তাবোধ থেকেও এর উতপত্তি হতে পারে। কোন কোন দার্শনিক আবার মত প্রকাশ করেছেন যে ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করার পেছনে যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে।
 
==ইতিহাস==
১১ নং লাইন:
জন আইতোর ''টুয়েনটিথ সেঞ্চুরি ওয়ার্ডস'' এর মতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব পদটি শুরুতে নিরপেক্ষ অর্থে ব্যবহৃত হলেও এটি নিন্দাসূচক অর্থে সংজ্ঞায়িত হওয়া শুরু করে ১৯৬০ এর মধ্যের দিকে; এই কারনে যে, এটি প্রচার এর পেছনে এক প্রকার ভ্রম কাজ করে, যা কোন ঘটনার পেছনে প্রভাবশালী, বিদ্বেষ্পরায়ণ তবে গুপ্ত কোন সংস্থাকে কল্পনা করতে বাধ্য করে। ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি এর অধ্যাপক ল্যান্স ডীহ্যাভেন স্মিথ এর ২০১৩ সালে প্রকাশিত বই ''কন্সপিরেসি থিওরি ইন এমেরিকা'' অনুযায়ী '''কন্সপিরেসি থিওরি''' পদটি ১৯৬০ সালে প্রথম সি আই এ দ্বারা ব্যবহৃত হয় ,জন এফ কেনেডি এর গুপ্তহত্যার সাথে জড়িত যাবতীয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কে অসাড় প্রমান করতে । তবে স্টকটন ইউনিভার্সিটি এর সহকারি অধ্যাপক রবার্ট ব্লাস্কেউইয এর ভাষ্যানু্যায়ী এমন দাবি নতুন নয়, বরং অন্তত ১৯৯৭ সাল অবধি থেকে চলে এসেছিল এবং ডিহ্যাভেন স্মিথ এর সাম্প্রতিক প্রচার এর কারনে "ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকগণ তার কথাটিকে প্রমান হিসেবে ধরে নিয়ে একে উদ্ধৃত করেন ।" ব্লাস্কেউইয পরবর্তিতে এ নিয়ে গবেষণা করে দেখেন যে, এই নামকরনটি কখনই নিরপেক্ষ অর্থে ব্যবহৃত হয় নি বরং এটি দীর্ঘসময় ধরেই কোন ঘটনার প্রেক্ষাপট হিসেবে চরম কোন আন্দাজ বা অবোধ্য অনুমান কল্পনা করাকে বোঝাতে নিন্দনীয় অর্থে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে ১৮৭০ সাল অব্দি থেকে।
 
স্যান ডিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর রেবেকা মুর ''জোন্সটাউন ম্যাসাকার'' এর ঘটনা নিয়ে যে ঘোর অনুমানগুলো চলতে থাকে, যেমন- সি আই এ এর বিরুদ্ধে মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রঙ্কারী পরীক্ষা চালনা করার দাবি ইত্যাদিগুলোকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে অভিহিত করেন, যা অনেকের মধ্যে ক্ষোভ এর সঞ্চার করে। এর প্রতিউত্তরে তিনি বলেন," তারা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ কেননা আমি তাদের জানা সত্যকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেছি...... তাদের ক্ষোভ করা অনেক অংশে ন্যায্য। কেননা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব পদটি নিরপেক্ষ নয়। এর সাথে নিন্দা, হাস্যরস এবং বর্জনীয় ভাব প্রকাশ পায়। এটি অনেকটা "কাল্ট" শব্দটির মত,যা কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ধর্মীয় সংগঠনকে বোঝায়। মুর এছাড়াও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কে "কলঙ্কিত জ্ঞান" বা "দমনকৃত জ্ঞান" আখ্যা দেন যযে জ্ঞানের ভিত্তি হচ্ছে যে " ক্ষমতাধর কিছু গোষ্ঠী মুক্ত জ্ঞান সরবরাহের পথে বাধা সৃষ্টি করছে এবং একে নিয়ন্ত্রণ করছে কোন বিশেষ অসাধু উদ্দেশ্যে।"
 
=== প্রচলিত ধারণা মতে ===
৬৮ নং লাইন:
২.সাংগঠনিক ষড়যন্ত্রঃ বার্কুন এর মতে এরুপ ষড়যন্ত্রের পেছনে বৃহৎ কোন উদ্দেশ্য থাকে, বিশেষ করে কোন রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করা, এমনকি পুরো পৃথিবীরও হতে পারে। লক্ষ্য ক্ষেত্রবিশেষে পাল্টাতে দেখা গেলেও ষড়যন্ত্রের কৌশল প্রায় ক্ষেত্রে একই থাকে- একটি একক, সাধারণ , অশুভ সংস্থা যারা বিরাজমান প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুপ্রবেশ করে এদের বিধ্বংস করার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলোর এটি একটি সাধারণ দৃশ্য যা ইহুদী, ফ্রিম্যাসন্স, ক্যাথলিক চার্চ এর বিরুদ্ধে প্রায়শঃই এরুপ কূটকৌশল এর অভিযোগ আনে। এমনকি সাম্যবাদী বা আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদিদের বিরুদ্ধেও এমন অভিজোগ পাওয়া যায়।
 
৩ তীব্র ষড়যন্ত্রঃ বার্কুন বলেন-" এ ষড়যন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ভিন্ন ভিন্ন অনেকগুলো ষড়যন্ত্রের ক্রমসমন্বয়ে তৈরী। ঘটনাকেন্দ্রিক এবং সাংগঠনিক ষড়যন্ত্রের জটিল এক সম্পর্কের জাল, যার চূড়ায় এক পরম শক্তিধর সত্তা বিদ্যমান যারা অন্যান্য ক্ষুদে চক্রান্তকারীদের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবহার করে চলছে। এ ধারার ষড়যন্ত্রগুলো ১৯৮০ সালের দিকে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, বিশেষ করে ডেভিড আইক এবং মিল্টন উইলিয়াম কপার এর লেখার মাধ্যমে।
 
=== রথবোর্ড এর অগভীর বনাম গভীর ===
৭৪ নং লাইন:
 
== বৈশ্বিক দর্শন হিসেবে "কন্সপিরেসিসম" ==
"কন্সপিরেসিসম" বলতে বোঝায় বিশেষ একটি বৈশ্বিক দর্শনকে যা বিশ্বের ইতিহাস এর কেন্দ্রে ষড়যন্ত্রকে রেখে একে উন্মোচন করার চেষ্টা করে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং কন্সপিরেসিসম নিয়ে যত প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা হয়েছে তাতে নানা ধরণের প্রকল্প ফুটে উঠেছে। বার্লেট এবন লায়ন্স এর মতে, " কন্সপিরেসিসম হল এমন এক আখ্যান যা অশুভ অর্থে ধারণকৃত কোন শত্রু সংগঠনকে জনগনের সার্বিক মঙ্গলের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী হিসেবে বলির পাঠা বানায় এবং শিসদাতাকে বীরের ভূষণে ভূষিত করে।
 
ইতিহাসবিদ রিচার্ড হফসটাটার আমেরিকান ইতিহাসে ভ্রমগ্রস্ততা এবং কন্সপিরেসিসমকে তার রচনা ''আমেরিকান রাজনীতিতে ভ্রমগ্রস্ততার রুপ'' বইটিতে উল্লেখ করেন, যা ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়। বার্নার্ড বেইলিন এর ''আমেরিকান বিপ্লবের আদর্শগত ব্যুৎপত্তি'' (১৯৬৪) বইটিতে তিনি উল্লেখ করেন যে একই ধরণের ঘটনা আমেরিকান বিপ্লবের আগেও লক্ষণীয়। কন্সপিরেসিসম মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এবং কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উপর আলোকপাত করে যা বৈশ্বিক এবং একই সাথে ইতিহাসকেন্দ্রিক।
 
কন্সপিরেসিসম পদটি আরো জনপ্রিয়তা লাভ করে ফ্র্যাঙ্ক পি মিন্টয এর মাধ্যমে ১৯৮০ সালের দিকে। মিন্টয এর মতে , কন্সপিরেসিসম হচ্ছে " এমন বিশ্বাস যা ইতিহাস উদঘাটনে ষড়যন্ত্রের মূখ্য উপস্থিতিকে ধরে নেয়। "
 
কন্সপিরেসিসম আমেরিকা এবং অন্যান্য অঞ্চলের বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের চাহিদার যোগান দেয়। এটি অভিজাতদের আর্থ-সামাজিক ধবসের পেছনে দায়ী করে,এবং সাথে সাথে এও ধারণা করে যে, গণপদক্ষেপ এর মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা গেলে তবেই সুসময় আসবে। এমন করে কন্সপিরেসিসম কোন বিশেষ আদর্শের ওপর দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করে না।
 
মানব ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক উচ্চ ক্ষমতাধর ব্যাক্তিরা নানা গণহত্যা এবং দুর্বিপাকের পেছনে দায়ী। এমনকি তারা নিজেরা কিছু ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িয়ে একই সাথে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রচার করে গিয়েছেন নিজেদের লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য। হিটলার এবন স্ট্যালিন দাবি করত যে তারা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে তারা রাষ্ট্রের অমঙ্গল সাধনে চক্রান্ত করে চলছে। এমনকি অনেক প্রকৃত ষড়যন্ত্রকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল, যা পরবর্তিতে সত্য প্রমানিত হয়। তবে ইতিহাস যে কোন এক দির্ঘমেয়াদী চক্রান্ত দ্বারা চালিত তা ইতিহাসবিদ ব্রুস কামিংস এর দ্বারা প্রত্যাখ্যাত।
 
তবুও যদি সত্যিকার অর্থে যদি ষড়যন্ত্রের অস্তিত্ব থাকে, তা ইতিহাসকে সামান্যই নাড়া দেয়। এগুলো প্রান্তীয় কিছু পরিবর্তন আনলেও তা মূলত চক্রান্তকারীদের চক্রান্তের উপজাত হিসেবে আসে যা এর রচয়িতারাও অনুমান করতে পারে না। ইতিহাস মূলত বৃহৎ শক্তি এবং সংগঠিত মানব অবকাঠামোর দ্বারা চালিত হয়।
 
তাইম ম্যাগাজিন এর জাস্টিন ফক্স কন্সপিরেসিসম এর বাস্তবধর্মী ব্যাখা দেন। তিনি বলেন যে ওয়াল স্ট্রিট এর ব্যবসায়ী এবং দালালগোষ্ঠীরা অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্বপ্রবণ, এবং এর সাথে কিছু অর্থনৈতিক বাজার ষড়যন্ত্রের তথ্য আরোপ করেন যার দ্বারা বাজারব্যাবস্থার প্রতিনিয়ত উত্থান পতন ব্যাখা করা যায়। অনেক সৎ সাংবাদিকরা তার মতে ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক, এবং তাদের আংশিক কিছু অংশ মাঝে মাঝে সত্যও বনে যায়।
 
=== যুক্তরাষ্ট্র ===
৯৮ নং লাইন:
 
== মনস্তাত্ত্বিক মূল ==
কিছু মনবিজ্ঞানীদের মতে, যারা ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করে তাদের অন্যের কথা সহজে বিশ্বাস করার প্রবনতা থাকে।
 
কোন মনবিজ্ঞানী মনে করেন যে, উদ্দেশ্য অনুসন্ধান হচ্ছে কন্সপিরেসিসম এর একটি সাধারণ বিষয় এবং এর বিকাশে সহায়ক। এমনকি এ বিষয়টি এমনই ক্ষমতাবাহী যে, এটি একাই এই ধারণা প্রণয়নে ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রথমে কোন ব্যাপারে অনুমান করা হয়, পরে আগত তথ্য-উপাত্ত সুবিধানুযায়ী বিশ্লেষণ করে এবং সাংঘর্ষিক তথ্য উপেক্ষা করে-অনুমিত প্রকল্পকে আরো দৃঢ় করা হয়। এভাবে কন্সপিরেসিসম এ বিশ্বাস আরো মজবুত হয়। কোন সামাজিক গোষ্ঠীতে যখন কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব জনপ্রিয়তা পায়, তখন তা সামজিক চাপেও অনেকক্ষেত্রে স্থায়ীত্ব লাভ করে। ইউনিভার্সিটি অফ কেন্ট এ সম্পাদিত কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে যে, লোকে ষড়যন্ত্র তত্ত্বে প্রভাবিত হতে পারে, নিজের ঘটমান আচরণগত পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত না থেকেও। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারীদের ওয়েলস এর রাজকুমারী প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু নিয়ে প্রচলিত জনপ্রিয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব পড়তে দেয়া হয়। পড়ার পর তারা একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন সহজে অনুধাবন করতে পারে, তবে নিজেরটি নয়। এটি মূলত তাদের নিজ নিজ বিশ্বাস করা ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রতি দুর্বলতা এবং পক্ষপাতিত্ব এর কারণে। তাই , উদ্ভবকগণ ইতি টানেন এই বলে যে,ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো গুপ্ত এক বিশেষ মোহে সকলকে আকৃষ্ট করে।
 
২০১২ সালে প্রকাশিত এক সংখ্যায় উঠে এসেছে যে, ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী লোকেরা বহুবিধ ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করার প্রবণতা রাখে, এমনকি তারা একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক হলেও। যেমন, অনেক লোক যারা বিশ্বাস করে যে ওসামা বিন লাদেন আমেরিকানদের দ্বারা জীবিত উদ্ধার হয়েছে তারা সম্ভাব্যভাবে এও বিশ্বাস করে যে, ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালের পূর্বে তার বাসস্থান পাকিস্তান এর এবটোবাদে অভীযান চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
 
সায়েন্টিফিক জার্নালে ২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে স্যান্ডার ভ্যান ডার লিন্ডেন আলোচনা করেন যে, প্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই উপসংহারে আসা যায়, ১) যারা ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করে তারা অন্যান্য তত্ত্বগুলোকেও সহজেই১ সমর্থন করে। ২) ষড়যন্ত্রের ধারণাগুলো তৈরীর পেছনে সাধারণত সিযোটপি এবং ভ্রমগ্রস্ততা জড়িত। ৩) ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি সুপ্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের ওপর অবিশ্বাস সৃষ্টি করে, যেমন- ক্যান্সার এর সাথে ধুমপান এর সম্পর্ক, বৈশ্বিক উষ্ণতার সাথে কার্বন-ডাই -অক্সাইড এর নির্গমনের সম্পর্ক। ৪) ষড়যন্ত্রের কল্পনাগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষকে এমন প্যাটার্ন দেখতে সাহায্য করে যার আসলে কোন অস্তিত্বই থাকে না। ভ্যান ডার লিন্ডেন "ষড়যন্ত্র-প্রভাব" পদটির প্রচলন করেন।
 
মানবতাবাদি মনোবৈজ্ঞানিকগণ এর মতে, ষড়যন্ত্রগুলোর পেছনে চক্রান্তকারী গোষ্ঠীদেরকে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিকুল দৃষ্টিতে দেখলেও এই বিশ্বাস এর পেছনে কিছুটা আশ্বাস কাজ করে। এর কারন হতে পারে যে, মানব সমাজের উত্থান-পতন এবং জটিলতার পেছনে মানুষ এর হাত আছে মনে করা , মানব নিয়ন্ত্রন এর বাহিরে কোন কিছুকে দায় করা অপেক্ষা বেশি সান্ত্বনাদায়ক। এমন বিশ্বাস মানুষকে ভাবায় যে, কোন ঘটনাই দৈবাৎ নয় বরং মানবনিয়ন্ত্রিত। এতে করে এই ধারণার উৎপত্তি হয় যে চক্রান্তগুলো মানুষের ধরা-ছোঁয়ার মধ্যে এবং নিরাময়যোগ্য। যদি এমন কোন চক্রান্তকারীদের উদ্ভব হয়েও থাকে তাও এদের চক্রান্ত ধূলিসাৎ করে দেয়াও সম্ভব, অথবা বিপরীতভাবে এতে অংশ নেয়াও সম্ভব। পরিশেষে, এরুপ তত্ত্বে বিশ্বাস লোক-মর্যাদার এক অন্তর্নিহিত রুপ, যা অবচেতন মনে তবে প্রয়োজন এর স্বার্থে মানুষকে তার অসহায়বোধ থেকে মুক্তিদান করে এবং তাকে ঘটিত সব ঘটনার পেছনে দায়ী থাকে।
 
=== অভিক্ষেপ ===
কোন কোন ইতিহাসবিদ এর মতে, ষড়যন্ত্র ভাবাপন্ন মনোভাব এর সাথে মানসিক অভিক্ষেপ কিছুটা সংশ্লিষ্ট। তাদের প্রদত্ত যুক্তি অনুযায়ী,এই অভিক্ষেপ উদ্ভাসিত হয় নিজের ভেতর সুপ্ত অসৎ গুনাবলিগুলোকে ষড়যন্ত্রকারীদের চরিত্রে আরোপণ করে। রিচার্ড হফস্টাটার বলেন,
 
"এটি স্পষ্টতই বোঝা যায় যে, এ গুপ্ত শত্রুটি আসলে ব্যাক্তিচরিত্রেরই একাংশের প্রতিরূপ। ব্যাক্তিচরিত্রের সকল মন্দ ও অগ্রহনযোগ্য দিকগুলো দিয়ে তাকে চরিত্রায়িত করা হয়। প্রতিপক্ষ সর্বজনীন বুদ্ধিজীবী হতে পারে বটে , তবে ভ্রমগ্রস্তরা তাকে বিদ্যাবেত্তায় ছাড়িয়ে যাবার ভ্রমে নিমজ্জ থাকে। কু ক্লুক্স ক্ল্যান যেমন ক্যথলিসিসম এর অনুকরণে তাদের পুরোহিতদের মত বেশভূষা গ্রহন করেছিল, এছাড়া ক্যাথলিকদের ন্যায় অঙ্গশাখার সম্প্রসারন এবং আচার-প্রথার বিকাশ ঘটিয়েছিল। জন বার্ক সোসাইটি কমিউনিস্ট সেল এর অনুকরণে এবং সম্মুখভাগের অংশ দ্বারা আপাতদৃষ্টিতে গোপন ক্রিয়াকলাপ চালিয়ে নিজেদের সাথে আদর্শগত দ্বন্দ্বে লিপ্ত সাম্যবাদী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর উদ্যোগের আহবান জানায়। বিভিন্ন গোঁড়া সমাজতন্ত্রবিরোধী সংগঠনের মুখপাত্ররা জনসমক্ষে সাম্যবাদবিরোধী আন্দোলন এর বিরুদ্ধে নিষ্ঠার সাথে কাজ করাকে প্রশংসিত করেছেন। "
 
হফস্টাটার আরো উল্লেখ করেন যে, " যৌন স্বাধীনতা " কে কলঙ্ক হিসেবে দেখা হয়, যা দ্বারা প্রতিপক্ষকে প্রায়ই কলঙ্কায়িত করা হয়। তিনি এও বলেন যে," অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ বিশ্বাসীরা কষত
 
[[বিষয়শ্রেণী:সীমাস্থিত তত্ত্ব]]