বরিশাল জিলা স্কুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪৫ নং লাইন:
| footnotes =
}}
'''বরিশাল জিলা স্কুল''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Barisal Zilla School) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী [[শিক্ষা প্রতিষ্ঠান]]। মূলত ঐতিহ্যবাহী বরিশাল জিলা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মি. এন. ডব্লিউ গ্যারেট। ১৮২৯ সালে বরিশাল ইংলিশ স্কুল নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। [[১৮৫৩|১৮৫৩ সালে]] ব্রিটিশ সরকার এ বিদ্যালয়টির ব্যয়ভার ও পরিচালনার দায়িত্ব নেয় ও তখন থেকে নাম হয় "বরিশাল জিলা স্কুল"। এটি [[বরিশাল বিভাগ|বরিশাল বিভাগের]] সর্বশ্রেষ্ঠ স্কুল এবং সমগ্র বাংলার প্রাচীনতম বিদ্যালয়সমূহের মধ্যে একটি। <ref name=board/> বর্তমানে বরিশাল জিলা স্কুলে প্রভাতী ও দিবা দুটি শাখায় তৃতীয় শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।<ref>http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMTJfMDdfMTJfNF80Ml8xXzEyNzA=</ref>
 
== ইতিহাস ==
৫১ নং লাইন:
বরিশাল জিলা স্কুল বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন স্বনামধন্য স্কুল এবং এটি বরিশাল বিভাগে প্রতিষ্ঠিত প্রথম স্কুল। মূলত ঐতিহাসিক বরিশাল জিলা স্কুল তৎকালীন [[বরিশাল জেলা|বরিশাল জেলার]] জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট মি. এন. ডব্লিউ গ্যারেট এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নির্মিত হয়। তাঁর নির্দেশনায় ১৮২৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর স্থানীয় জনসাধারণের আর্থিক সহায়তায় শ্রীরামপুর মিশনের মাধ্যমে ''বরিশাল ইংলিশ স্কুল'' নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। মাত্র আটজন ছাত্র নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয় ও ছাত্রসংখ্যা সেবছর ২৭ জনে গিয়ে দাঁড়ায়।
 
প্রথম দিকে বিদ্যালয়টি মিশন কর্তৃক পরিচালিত হত। সেসময় বিদ্যালয়টি (প্রোটেস্ট্যান্ট গীর্জার পশ্চিম দিকে) স্থানীয় জমিদার মি. লুকাসের জমির মধ্যে স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ব্রাউন কম্পাউন্ড এবং ১৮৪২ সালে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়। ওই জমির মালিক ছিলেন মি. স্পেনসার। তৎকালীন বাংলার গভর্নর এর নির্দেশ মোতাবেক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্কুলের সেক্রেটারি ই জে বার্টন সরকারকে বিদ্যালয়টি উন্নয়নের জন্য বিশেষভাবে তাগিদ দিতে থাকেন। তিনি নিজ প্রচেষ্টায় অভিজাত ব্যক্তিবর্গের নিকট থেকে ৩৮,৮১৭ টাকা চাঁদা তোলেন এবং তা সরকারের কাছে হস্তান্তর করেন। ফলাফল স্বরূপ বিশাল পরিমাণ জমির উপর বরিশাল জিলা স্কুল নির্মিত হয়। এটি বর্তমানে পুনঃসংস্কারের জন্য ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
 
[[১৮৫৩|১৮৫৩ সাল]] থেকে [[১৮৯১|১৮৯১ সাল]] পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকার এই বিদ্যালয়ের ব্যয়ভার গ্রহণ করে এবং তখন থেকে এর নামকরণ হয় '' বরিশাল জিলা স্কুল '' সে সময় স্কুলের ছাত্র সংখ্যা ছিল প্রায় ৬০০ জন। বরিশাল শহরে কয়েকটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে ১৮৯২ সালে সরকার জিলা স্কুলকে বেসরকারি ঘোষণা করা হয়। সায়েস্তাবাদের জমিদার সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলার গভর্নরকে স্কুলের জন্য অর্থ ও জমি প্রদানের আশ্বাস দেওয়ার পর ১৯০৬ সালে পুনরায় এটিকে সরকারিকরন করা হয়।
 
১৮২৯ সালে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন মি. জন স্মিথ। ১৯৬১ সাল থেকে এই স্কুলকে পাইলট স্কুলে পরিণত করা হয়। তখন আমেরিকান বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে এর নানাবিধ পরিবর্তন ও সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করা হয়। ১৯৭১-এর মহান [[মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধে]] এই স্কুলের ছাত্ররা গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখে।<ref name=board>{{cite web |url=http://www.barisalboard.gov.bd/100742 |title=Barisal Zilla School |website=মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল}}</ref><ref name=Banglapedia/>
 
== অবকাঠামো ==
১৫৫ নং লাইন:
* মুনিবুর রহমান চৌধুরী
* [[মাহবুব উদ্দিন আহমেদ]], বীর বিক্রম
* [[তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী]], , বীর বিক্রম
 
== আরও দেখুন ==