ষড়যন্ত্র তত্ত্ব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী:নেতিবাচক পদ যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
Fattah1503027 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১১ নং লাইন:
জন আইতোর ''টুয়েনটিথ সেঞ্চুরি ওয়ার্ডস'' এর মতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব পদটি শুরুতে নিরপেক্ষ অর্থে বোঝালেও এটি নিন্দাসূচক অর্থে সংজ্ঞায়িত হওয়া শুরু করে ১৯৬০ এর মধ্যের দিকে; এই ভিত্তিতে যে, এটি প্রচার এর পেছনে এক প্রকার ভ্রম কাজ করে যা কোন ঘটনার পেছনে প্রভাবশালী, বিদ্বেষ্পরায়ণ তবে গুপ্ত কোন সংস্থাকে কল্পনা করতে বাধ্য করে। ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি এর অধ্যাপক ল্যান্স ডীহ্যাভেন স্মিথ এর ২০১৩ সালে প্রকাশিত বই ''কন্সপিরেসি থিওরি ইন এমেরিকা'' অনুযায়ী ''কন্সপিরেসি থিওরি'' পদটি ১৯৬০ সালে প্রথম সি আই এ দ্বারা ব্যবহৃত হয় ,জন এফ কেনেডি এর গুপ্তহত্যার সাথে জড়িত যাবতীয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কে অসাড় প্রমান করতে । তবে স্টকটন ইউনিভার্সিটি এর সহকারি অধ্যাপক রবার্ট ব্লাস্কেউইয এর ভাষ্যানু্যায়ী এমন দাবি নতুন নয়, বরং অন্তত ১৯৯৭ সাল অবধি থেকে চলে এসেছিল এবং ডিহ্যাভেন স্মিথ এর সাম্প্রতিক প্রচার এর কারনে "ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকগণ তার কথাটিকে প্রমান হিসেবে উদ্ধৃত করেন ।" ব্লাস্কেউইয পরবর্তিতে এ নিয়ে গবেষণা করে দেখেন যে, এই নামকরনটি কখনই নিরপেক্ষ অর্থে ব্যবহৃত হয় নি বরং এটি দীর্ঘসময় ধরেই নিন্দনীয় অর্থে কোন ঘটনার প্রেক্ষাপট হিসেবে চরম কোন আন্দাজ বা অবোধ্য অনুমান কল্পনা করাকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে ১৮৭০ সাল অব্দি থেকে।
 
স্যান ডিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর রেবেকা মুর ''জোন্সটাউন ম্যাসাকার'' এর ব্যপারে যে ঘোর অনুমানগুলো চলতে থাকে, যেমন- সি আই এ এর বিরুদ্ধে মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রঙ্কারী পরীক্ষা চালনা করার দাবি ইত্যাদিগুলোকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে অভিহিত করেন, যা অনেকের মধ্যে ক্ষোভ এর সঞ্চার করে। এর প্রতিউত্তরে তিনি বলেন," তারা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ কেননা আমি তাদের জানা সত্যকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেছি...... তাদের ক্ষোভ করা অনেক ক্ষেত্রেঅংশে ন্যায্য। কেননা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব পদটি নিরপেক্ষ নয়। এটি এর সাথে নিন্দা, হাস্যরস এবং বর্জনযোগ্যবর্জনীয় ভাব প্রকাশ করে। এটি অনেকটা "কাল্ট" শব্দটির মত,যা কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ধর্মীয় সংগঠঙ্কে বোঝায়। মুরেমুর এছাড়াও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কে "কলঙ্কিত জ্ঞান" বা "দমনকৃত জ্ঞান" আখ্যা দেন যার ভিত্তি হচ্ছে যে " ক্ষমতাধর কিছু গোষ্ঠী মুক্ত জ্ঞান সরবরাহের পথে বাধা সৃষ্টি করছে এবং একে নিয়ন্ত্রণ করছে কোন বিশেষ অসাধু উদ্দেশ্যে।"
 
=== প্রচলিত ধারণা অনুযায়ীমতে ===
কিংস কলেজ লন্ডন এর জেষ্ঠ্য প্রভাষক ক্লেয়ার বিরচালবারশল এর মতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হচ্ছে " জনপ্রিয়লৌকিক জ্ঞান ও ব্যখার একটি রূপ। " সামান্য জ্ঞান অর্জন করে একে বৈধ জ্ঞান এর সাথে এক কাতারে ফেলা হয়। বিরচাল এর মতে বৈধ এবং অবৈধ জ্ঞান এর মাঝে পার্থক্য সামান্য। অন্যান্য জনপ্রিয় জ্ঞান বা তথ্যের অন্তর্গত হচ্ছে ভীনগ্রহের প্রাণি দ্বারা অপহরণ,নবযুগীয় দর্শন, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং জ্যোতিঃশাস্ত্র।
 
হ্যারি জি ওয়েস্ট লিখেছেন " ইন্টারনেট এ বিদ্যমান ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের বিচ্ছিন্ন দল হিসেবে অগ্রাহ্য করা হয়। তবে বিদ্যমান প্রমানাদির সাপেক্ষে দেখা যায়, এমেরিকান দের একটি একটি বড় অংশ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস রাখে। ওয়েস্ট ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে আমেরিকার চলমান সংস্কৃতি এর অংশ হিসেবে গণ্য করেন এবং একে উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মান্ধতার সাথে তুলনা করেন।
 
== উদাহরণ ==
 
[[বিষয়শ্রেণী:সীমাস্থিত তত্ত্ব]]