হাংরি প্রজন্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
ধ্বংসপ্রবণতা হিসাবে চিহ্নিত 103.230.107.18 (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাত...
১৫ নং লাইন:
== প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা ==
[[সুবিমল বসাক]], [[দেবী রায়]] ও [[মলয় রায়চৌধুরী]]র কিছু-কিছু কার্যকলাপের কারণে ১৯৬৩ সালের শেষার্ধে '''হাংরি আন্দোলন''' বাঙালির সংস্কৃতিতে প্রথম প্রতিষ্ঠানবিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত হয় । বহু আলোচক হাংরি আন্দোলনকারীদের সে সময়ের কার্যকলাপে ডাডাবাদের প্রভাব লক্ষ করেছেন । এই কারণে [[শক্তি চট্টোপাধ্যায়]], [[সন্দীপন চট্টোপাধ্যাব]], [[সতীন্দ্র ভৌমিক]] প্রমুখ হাংরি আন্দোলন ত্যাগ করেন । শ্মশান, গোরস্তান,ভাটিখানা,আওড়া ও শেয়ালদা স্টেশনে তাঁরা কবিতা পাঠের আয়োজন করতেন;[['মুখোশ খুলে ফেলুন]] লেখা জীব-জন্তু, দেবতা, দানবের মুখোশ পাঠাতেন মন্ত্রী, সমালোচক, প্রশাসকদের; কবিদের সমালোচনা করতেন বিবাহের কার্ডে; তৎকালীন মানদণ্ডে অশ্লীল স্কেচ ও পোস্টার আঁকতেন ও বিলি করতেন; একটি গ্রন্হের দাম রাখতেন লক্ষ টাকা বা কয়েকটি টি.বি. সিল ।বাণিজ্যিক পত্রিকায় গ্রন্হ রিভিউ করার জন্য জুতোর বাক্স পাঠাতেন কিংবা শাদা কাগজ পাঠাতেন ছোটগল্প নামে । তাঁদের রচনায় প্রশাসন ও মিডিয়াকে আক্রমণ করতেন ।বেনারস এবং কাঠমান্ডু গিয়ে সাহিত্য সম্পর্কহীন হিপিনীদের সঙ্গে মাদকসেবন এবং যৌন যথেচ্ছাচারে লিপ্ত হয়ে সেখানকার সংবাদপত্রে শিরোনাম হতেন । পেইনটিং প্রদর্শনী করে শেষ দিন প্রতিটি ছবিতে আগুন ধরিয়ে দিতেন । এই সমস্ত অসাহিত্যিক কার্যকলাপের মাধ্যমে তাঁরা দাবী করতেন যে অচলায়তনকে ভাঙা যাবে । অবশ্য তাঁদের অনুকরণে পরবর্তীকালে বহু প্রতিষ্ঠানবিরোধী লেখক এসেছেন বাংলা সাহিত্যে, যদিও সাহিত্যের বাইরে তাঁরা অন্য কাজ করেননি। কিন্তু হাংরি আন্দোলনকারীদের কার্যকলাপে প্রশাসন অচিরে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হল ।
 
২০১৬ সালে হাংরি আন্দোলন পুনর্প্রতিষ্ঠা লাভ করে অ্যাংরি আন্দোলন নামে, যার পুরোধা ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট বিরাট কিছু রূপম আদিত্য। এ আন্দোলনের একমাত্র বৈশিষ্ট্য হলো ফেসবুকে সকল পোস্টে অ্যাংরি রিঅ্যাকশন দেওয়া। তিনি রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে এ আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বর্তমান পৃথিবী ক্ষুধার যন্ত্রণায় যত বেশি কাতর তার থেকে অনেক বেশি কাতর রাগের তীব্রতায়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়াই প্রমাণ করে পৃথিবী কতখানি অস্থিতিশীল অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। তিনি যে ঘৃণার বিষবাষ্প পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তা তাকে ফিরিয়ে দিয়ে আমরা দেখাতে চাই ঘৃণা কতো ভয়ংকর। এছাড়াও নাহিদ টাকলা উল্টাপাল্টা রুটিন বানায়া আমাদের মেজাজ খারাপ করসে। তার প্রতিবাদেই আমাদের অ্যাংরি আন্দোলন।" তিনি এ আন্দোলনের স্লোগান হিসেবে দুই লাইনের একটি মহাকাব্য রচনা করেন, যেটি ইতোমধ্যে পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ মহাকাব্যের সম্মাননা লাভ করেছে। সেটি হলো :
 
"ট্রাম্পের রাজ্যে পৃথিবী ঘৃণাময়
পূর্ণিমার চাঁদ যেন গনগনে অ্যাংরি রিঅ্যাকশন।"
 
== হাংরি আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ ==