কুন্তী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
পরিমার্জন
Suvray (আলোচনা | অবদান)
পরিমার্জন
৪ নং লাইন:
| caption = স্বামী [[পাণ্ডু|পাণ্ডুর]] সাথে কুন্তী
| parents = {{longitem|style=white-space:nowrap; |[[শূরসেন]] {{smaller|(জন্মদাতা পিতা)}}<br/> [[কুন্তী-ভোজ]] {{smaller|(পালক পিতা)}}}}
| children = [[কর্ণ (মহাভারত)|কর্ণ]], [[যুধিষ্ঠির]], [[ভীম]], [[অর্জুন]]
| name = কুন্তী
| spouse =পাণ্ডু
১৪ নং লাইন:
কুন্তীর পাঁচ ছেলে: যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব পঞ্চপাণ্ডব নামে পরিচিত। যমজ সহোদর নকুল ও সহদেব তার সতীন মাদ্রীর গর্ভে জন্মালেও কুন্তী তাঁদের আপনপুত্রর চাইতেও অধিক স্নেহ করতেন। এছাড়া সূর্যদেবের ঔরসে কুন্তীর গর্ভে অঙ্গরাজ কর্ণের জন্ম হয়।
 
কুন্তী যখন কুমারী ছিলেন তখন তাঁর গৃহে দুর্বাসা মুনি অতিথি হয়ে এলে কুন্তী তাঁকে সেবা দ্বারা সন্তুষ্ট করেন। এতে খুশি হয়ে দুর্বাসা মুনি তাঁকে এক অদ্ভুত বর দেন। বরটা ছিলো এমন, কুন্তী কোন দেবতাকে স্মরণ করলে সেই দেবতা এসে কুন্তীকে যৌনসঙ্গম দ্বারা পরিতৃপ্ত করে পুত্রসন্তান দান করবে। বর পেয়ে কৌতূহলী কুন্তী কুমারী অবস্থায়ই সূর্যদেবকে কামনা করে বসেন এবং সূর্যদেবের সাথে মিলনে তিনি গর্ভবতী হয়ে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তবে অবিবাহিত অবস্থায় সন্তান প্রসব করায় লোকলজ্জার ভয়ে তাঁকে যমুনার পানিতে ভাসিয়ে দেন। এই পুত্রই মহাভারতে কর্ণ নামে পরিচিত। কথিত আছে, "কুন্তিকুন্তী" নামের অর্থ "সূর্যদেবের প্রেমিকা"।
 
পরবর্তীতে কুন্তী-ভোজ কুন্তীর জন্য স্বয়ংবরার আয়োজন করলে কুন্তী পাণ্ডুর গলায় মালা পরান। পাণ্ডুর আরেক স্ত্রী ছিলো, মাদ্রী। একদিন পাণ্ডু মাদ্রী ও কুন্তীকে নিয়ে হিমালয়ের দক্ষিণে বেরিয়ে পরেন। সেখানে এক মুনি, যার নাম কিমিন্দম, হরিণের রূপ ধরে এক হরিণীর সাথে সঙ্গমরত ছিলেন। পাণ্ডু না বুঝে হরিণ-হরিণী দুটোকে হত্যা করেন, মৃত্যুর আগে কিমিন্দম পাণ্ডুকে এক শাপ দেন যে, পাণ্ডু যদি কোন নারীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয় তবে তাঁর মৃত্যু ঘটবে। এই ঘটনার পর পাণ্ডু যেদিন কুন্তিরকুন্তী’র সাথে সঙ্গম করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেদিন কুন্তী দুর্বাসা মুনির বরের কথা বললে পাণ্ডু তিনজন দেবতাকে কামনা করতে বলেন। কুন্তী দেবতা ধর্মকে আহ্বান করলে তাঁর সাথে মিলনে যুধিষ্ঠিরের জন্ম হয়, বায়ুর সাথে মিলনে ভীম ও ইন্দ্রের সাথে মিলনে অর্জুনের জন্ম হয়।
 
সতীন মাদ্রী এই বিশেষ মন্ত্র কুন্তিরকুন্তীর কাছ থেকে জেনে অশ্বিনীকে কামনা করেন, জন্ম হয় দুই পুত্রের-সহদেব ও নকুল। পাণ্ডুর দুই স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেয়া যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব, এই পাঁচ পুত্র হলো পঞ্চপাণ্ডব। এরপর একদিন অত্যন্ত কামার্ত অবস্থায় পাণ্ডু মাদ্রীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হলে কিমিন্দম মুনির শাপে পাণ্ডুর মৃত্যু হয়। তবে পাণ্ডুর মৃত্যুর পর কুন্তী সহমরণে যাননি, কিন্তু তাঁর সপত্নী মাদ্রী সতী হন। কুন্তীর নির্দেশে ভীম হিড়িম্ব রাক্ষসকে হত্যা করে রাক্ষসী হিড়িম্বাকে বিবাহ করেন এবং ঘটোৎকচের জন্ম হয়। তিনি নিজ পুত্রদের সর্বদা প্রজাদের মঙ্গলসাধনের উপদেশ দিতেন। কুন্তীর আদেশে ভীম বকাসুর বধ করেন। শেষ জীবনে তিনি ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর সঙ্গে তপোবনে দিন কাটাতে থাকেন। একদিন তপোবনের এক ভয়াবহ দাবানলে ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর সাথে তিনিও মৃত্যুবরণ করেন।
 
==তথ্যসূত্র==