অসমীয়া বর্ণমালা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
৭ নং লাইন:
|time=অষ্টম শতাব্দী থেকে বর্তমান
|fam1=[[প্রোটো-সিনেটিক পান্ডুলিপি]]|fam2=[[ধ্বনিতাত্ত্বিক লিপি]]|fam3=[[এরামিক লিপি ]]|fam4=[[ব্রাহ্মী লিপি]]|fam5=[[গুপ্ত লিপি]]|fam6=[[সিদ্ধম লিপি]]|fam7=[[কামরূপি লিপি]]|fam8=[[ পূর্ব নাগরী বর্ণমালা|পূর্ব নাগরি লিপি]]}}
'''অসমীয়া লিপি'''<ref>The name ''ăcãmăkṣara'' first appears in [[Ahom Kingdom|Ahom]] coins and copperplates where the name denoted the [[Ahom script]] {{Harvcol|Bora|1981|pp=11–12}}</ref> হলো [[অসমীয়া ভাষা|অসমীয়া ভাষার]] একটি লিখন পদ্ধতি। [[ব্রহ্মপুত্র নদ|ব্রহ্মপুত্র নদের]] উপতাক্যায় বসবাসকারী লোকজন [[সংস্কৃত ভাষা]] লিখতে এই বর্ণমালা ব্যাবহার করত। একই বর্ণমালা দিয়ে তারা আরো কিছু ভাষা যেমন, বোদো ( বর্তমানে দেব-নাগরি), খাসি (বর্তমানে রোমান), মিসিং (বর্তমান রোমান) ইত্যাদিও লেখা হত। অসমীয়া বর্ণমালার বর্তমান রূপ পঞ্চম শতাব্দি থেকে বিবর্তনের ফলে সৃষ্ট। উমাচল/নাগরাজি-ক্ষণিকাগাও শিলালিপি থেকে প্রাপ্ত বর্ণমালাকে [[গুপ্ত লিপি]]র পূর্বাঞ্চলীয় রূপ বলা হয়। এর সাথে [[সিদ্ধম লিপি]]র অনেক মিল পাওয়া যায়।  সপ্তাদশ শতাব্দিরশতাব্দীর মধ্যে অসমীয়া ভাষার তিনটি শৈলীর বর্ণমালা (বামিনিয়া, কাইথেলি এবং গারগায়া)<ref>{{Harvcol|Bora|1981|p=53}}</ref> খুঁজে পাওয়া যায়। এই তিন লিপি থেকেই আধুনিক মুদ্রণ উপযোগী লিপি তৈরী করা হয়। বর্তমান এই বর্ণমালার সাথে বাংলা বর্ণমালার তিনটি বর্ণ ভিন্ন সব বর্ণের রূপ হুবুহু একইরকম।  
 
''আসাম রাজত্বের'' সময় অহমীয়াঅসমীয়া ভাষার উক্ত লিপি ব্যাবহার করে [[বুরঞ্জি]] লেখা হয়েছিলো। চতুর্দশ শতকে ''মাধব কান্দালি'' অসমীয়া বর্ণমালা ব্যাবহার করে বিখ্যাত [[সপ্তখন্ড রামায়ণ]] লিখেছিলেন। [[বাল্মীকি|বাল্মিকির]] লেখা সংস্কৃত ভাষা থেকে প্রথম কোন আঞ্চলিক ভাষায় রাময়নেররামায়নের এটিই প্রথম অনুবাদ। এরপর পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে এসে ''শংকরদেব'' তার সমস্ত রচনা অসমীয়া বর্ণমালায় লিখেছেন। আসামের রাজা সুপাংমুংগ তথা চক্ৰধ্বজ সিংহ ( ১৬৬৩-১৬৭০) প্রথমবারের মত অসমীয়া ভাষায় লেখা মুদ্রা বের করেন।  
 
== ইতিহাস ==
আনুমানিক পঞ্চম শতাব্দীরশতাব্দীতে লেখা ''উমাচল পাথর শিলালিপি'' আসাম অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রথম শিলালিপি যেখানে অসমীয়া ভাষার ব্যাবহার পাওয়া যায়। এই শিলালিপির সাথে সমুদ্রগুপ্তের ''এলাহাবাদ স্তম্ভ শিলালিপির'' অনেক সাদৃশ্য পাওয়া যায়। পাথর ও কপার পৃষ্ঠে লিখিত লিপি থেকে ''ঝাসির বাকল লিপি'' হয়ে আঠারো-উনিশ শতকের মধ্যে অসমীয়া লিপির বিকাশ ঘটে। তবে ত্রয়োদশ শতকে অসমীয়া লিপির আকার ছিলো অনেকটা প্রোটো-অসমীয়। অষ্টাদশ ও অনুবিংশ শতকে এসে তিনটি আলাদা পদ্ধতি; যথাক্রমে, ''কাইথেলি'' ( কামরূপ এলাকায় যা ''লাখড়ি'' নামে পরিচিত, এই লিপি [[ব্রাহ্মণ (হিন্দুশাস্ত্র)|ব্রাম্মণরা]] ব্যাবহার করতো না), ''বামুনিয়া'' ( এই লিপি ব্রাম্মণরা সংস্কৃত ভাষা লিখতে ব্যাবহার করতো) এবং ''গারগায়া'' (আসাম রাজত্বের সরকারী ভাবে গৃহীত লিপি) তে বিভক্ত হয়ে যায়। এই তিন পদ্ধতির মধ্যে কাইথেলি রূপ বেশি জনপ্রিয় ছিলো। মধ্যযুগীয় অনেক বই (যেমনঃ হস্তীর-বিদ্যার্নভা) এবং ছত্র এই লিপিতে লেখা হয়েছিলো। <ref>{{harv|Neog|1980|p=308}}</ref> উনিশ শতকের শুরুতে ''শ্রীরামপুরে'' ''আত্মারাম শরমা'' প্রথম ছাপানোর উপযোগী অসমীয় লিপি উদ্ভাবন করেন।  উক্ত পদ্ধতি বর্তমান যুগে এসেও বাংলা ও অসমীয়া ভাষা লেখা হয়ে থাকে।
[[চিত্র:Kanai_Baraxiboa_rock_inscription.png|ডান|থাম্ব|400x400পিক্সেল|''কানাই-বোরোক্সিবা  শিলালিপি, ১২০৭ খ্রিস্টাব্দ, প্রোটো-অসমীয়া লিপি'']]
 
২২ নং লাইন:
{| class="wikitable" style="margin-bottom: 10px;"
|+ '''Vowels'''
! বর্ণ
! Letter
! বর্ণের নাম
! Name of letter
! Vowel sign with  {{আধ্বব|[kɔ]}} ({{Lang|as|ক}})  এর সাথে স্বরবর্ণ যুক্ত করে
! স্বরবর্ণের প্রতীক
! Name of vowel sign
! বর্ণান্তর
! Transliteration
! IPA
|-