অসমীয়া বর্ণমালা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১৩ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
আনুমানিক পঞ্চম শতাব্দীর ''উমাচল পাথর শিলালিপি'' আসাম অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রথম শিলালিপি যেখানে অসমীয়া ভাষার ব্যাবহার পাওয়া যায়। এই শিলালিপির সাথে সমুদ্রগুপ্তের ''এলাহাবাদ স্তম্ভ শিলালিপির'' অনেক সাদৃশ্য পাওয়া যায়। পাথর ও কপার পৃষ্ঠে লিখিত লিপি থেকে ''ঝাসির বাকল লিপি'' হয়ে আঠারো-উনিশ শতকের মধ্যে অসমীয়া লিপির বিকাশ ঘটে। তবে ত্রয়োদশ শতকে অসমীয়া লিপির আকার ছিলো অনেকটা প্রোটো-অসমীয়। অষ্টাদশ ও অনুবিংশ শতকে এসে তিনটি আলাদা পদ্ধতি; যথাক্রমে, ''কাইথেলি'' ( কামরূপ এলাকায় যা ''লাখড়ি'' নামে পরিচিত, এই লিপি ব্রাম্মনরা[[ব্রাহ্মণ (হিন্দুশাস্ত্র)|ব্রাম্মণরা]] ব্যাবহার করতো না), ''বামুনিয়া'' ( এই লিপি ব্রাম্মনরাব্রাম্মণরা সংস্কৃত ভাষা লিখতে ব্যাবহার করতো) এবং ''গারগায়া'' (আসাম রাজত্বের সরকারী ভাবে গৃহীত লিপি) তে বিভক্ত হয়ে যায়। এই তিন পদ্ধতির মধ্যে কাইথেলি রূপ বেশি জনপ্রিয় ছিলো। মধ্যযুগীয় অনেক বই (যেমনঃ হস্তীর-বিদ্যার্নভা) এবং ছত্র এই লিপিতে লেখা হয়েছিলো।  উনিশ শতকের শুরুতে ''শ্রীরামপুরে'' ''আত্মারাম শরমা'' প্রথম ছাপানোর উপযোগী অসমীয় লিপি উদ্ভাবন করেন।  উক্ত পদ্ধতি বর্তমান যুগে এসেও বাংলা ও অসমীয়া ভাষা লেখা হয়ে থাকে।
[[চিত্র:Kanai_Baraxiboa_rock_inscription.png|ডান|থাম্ব|400x400পিক্সেল|''কানাই-বোরোক্সিবা  শিলালিপি, ১২০৭ খ্রিস্টাব্দ, প্রোটো-অসমীয়া লিপি'']]