কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
রচনাশৈলী
FerdousBot (আলোচনা | অবদান)
→‎বৃত্তি এবং সমাজসেবা: সংশোধন, replaced: সম্পূর্ন → সম্পূর্ণ (2)
১৫ নং লাইন:
কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈ প্রাথমিক শিক্ষা নিজ গৃহে পেয়েছিলেন তারপর তিনি যোরহাট সরকারি হাইস্কুলে নামভর্তি করেন। তিনি ১৯১৩ সনে যোরহাট হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা পরিক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করেন। ১৯১৫ তিনি কটন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আই.এ পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নামভর্তি করেন। ১৯১৭ সনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালব থেকে সংস্কৃতে অনার্স নিয়ে প্রথম বিভাগে উর্ত্তীন হন । ১৯১৯ সনে তিনি সংস্কৃত বেদ শাখার প্রথম শ্রেনীর প্রথম স্থান লাভ করে স্নাতকোত্তর সম্মান লাভ করেন। তদুপরি তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ধেকে আধুনিক ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সম্মান লাভ করেছিলেন। ত তিনি পেরিস ও বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে [[ফার্সি]], [[জার্মানি]], [[রুস]], [[গ্রীক]], [[ইটালিয়ান]], [[স্পেনিশ]] ইত্যাদি ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন। তাঁর সর্বমোট ১৩টি ভাষার জ্ঞান ছিল। এরমধ্যে ৮টি ইউরোপীয় ভাষা ও ৫টি ভারতীয় ভাষা অন্তর্ভুক্ত। ১৯২৩ সন থেকে ১৯২৭ সন পর্যন্ত তিনি নানান ইউরোপীয় ভাষার অধ্যয়ন করেছিলেন।
==বৃত্তি এবং সমাজসেবা==
কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈ ১৯৩০ সনে [[জগন্নাথ বরুয়া মহাবিদ্যালয়]] স্থাপন করে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষের পদ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৩০ সন থেকে ১৯৪৮ সন পর্যন্ত তিনি অবৈনতিক ভাবে এই পদে নিয়োজিত ছিলেন।<ref name="assam.org"/> তিনি হেমলতা সন্দিকৈ মেমরিয়েল ইন্সটিটুড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৮ বৎসর অধ্যপক পদে থাকাত পর তিনি ১৯৪৮ সনে [[গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়|গুায়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের]] প্রথম উপাচার্য পদে নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৪৮ সন থেকে ১৯৫৭ সন পর্যন্ত উপাচার্যের পদে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৫১ সনে লক্ষ্নৌতে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত প্রাচ্য সন্মিলনের প্রাচীন সংস্কৃত শাখার সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৭ তিনি নিজের গ্রন্থগার গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করেছিলেন যেখানে ১০হাজার অমূল্য পুস্তক ছিল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পূর্নখ্যাতিসম্পূর্ণ কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈ জ্ঞান ও শিক্ষা বিস্তারের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। চন্দ্রকান্ত অভিধানের ২য় সংস্করনের যাবতীয় খরচ তিনি বহন করেছিলেন। পত্নী হেমলতা সন্দিকৈয়ের স্মৃতিকল্পে ২.৫ লাখ টাকার বিনিময়ে হেমলতা সন্দিকৈ মেমরিয়েল ইন্সটিটুড স্থাপন করেছিলেন। ১৯৪০ সনে [[অসম ছাত্র সন্মেলন|অসম ছাত্র সন্মিলনে]] প্রকাশ করা মিলন পত্রিকার সম্পূর্নসম্পূর্ণ খরচ নিজে বহন করার প্রতিশ্রুতি করেছিলেন। সাহিত্যচার্য অতুলচন্দ্র হাজরিকার গগনার সুর ও স্মৃতির পাপরি নামক দুইটি বই প্রকাশের জন্য তিনি নগদ ১০০০টাকা দান করেছিলেন । কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈয়ের জীবনী লেখক আব্দুল সাত্তারের প্রসঙ্গ কোষের তৃতীয় সংস্করনের জন্য নগদ ১০০০ টাকা দান করেছিলেন। যোরহাটে অবস্থিত অসম সাহিত্য সভার কেন্দ্রীয় কার্য্যালয় (চন্দ্রকান্ত সন্দিকৈ ভবন) সন্দিকৈ পরিবারের দানস্বরুপ। চন্দ্রকান্ত সন্দিকৈ ভবনের মেরামতির দ্বায়িত্বও কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈ নিজেই বহন করেছিলেন।
==সন্মান ও পুরস্কার==
১৯৩৭ সনের ডিসেম্বর মাসে [[অসম সাহিত্য সভা]]র সপ্তদশ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার জন্য কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। <ref>http://www.joiaaiaxom.com/assam/about/axom-sahitya-sabha-67.html</ref>