প্রিন্টার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন, সম্প্রসারণ
FerdousBot (আলোচনা | অবদান)
বানান, replaced: কারন → কারণ (2)
৩ নং লাইন:
[[File:Nintendo PocketPrinter.JPG|thumb|গেমবয় পকেট প্রিন্টার একটি তাপীয় প্রিন্টার যা নিনটেন্ডো গেমবয়ের পেরিফেরাল হিসেবে ছাড়া হয়।]]
[[File:Epson Wide Carriage 9-pin printer - with legal paper 8.5x14.jpg|thumb|এটি প্রশস্ত পাতা বা কাগজ ছাপার ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারের উদাহরণ যা ব্যবসায়িক মাঠ পর্যায়ের কাজ এবং হিসাবের কাজের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক। এগুলোকে "১৩২-কলাম প্রিন্টার" নামেও ডাকা হয়]]
[[File:Printer.ogg|thumb| একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ইঙ্কজেট প্রিন্টার একটি কাগজ মুদ্রণ করছে]]
 
'''প্রিন্টার''' হল একটি পেরিফেরাল যন্ত্র। যা মানুষের বোধগম্য গ্রাফ, ছবি, শব্দ, লেখা কাগজে (সাধারণত) ছাপায়। সবচেয়ে সাধারণ প্রিন্টার দুটি হল সাদা-কালো এবং রঙিন। সাদা কালো লেজার প্রিন্টারগুলো দিয়ে কাগজপত্রাদি, দলিলাদি প্রিন্ট করা হয়। আর রঙিন ইন্ক জেট প্রিন্টার দিয়ে উচ্চ ও ছবির সমমানের ফলাফল পাওয়া যায়।
 
পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রিন্টার ছিল ১৯'শতকের চার্লস ব্যবেজ কর্তৃক আবিষ্কৃত ডিফারেন্স ইঞ্জিনের জন্য যন্ত্রটি।<ref>{{citation | url = http://news.bbc.co.uk/1/hi/sci/tech/710950.stm | title = Babbage printer finally runs | publisher = BBC News | date = 13 April 2000}}</ref> এই যন্ত্রটিতে লোহার রডে অক্ষর ছাপা থাকতো আর কাগজগুলো রডের নিচে রাখা হত। এভাবে ছাপার কাজ করা হত। প্রথম বানিজ্যিক প্রিন্টারগুলো যেমন ইলেক্ট্রিক [[টাইপ রাইটার|টাইপরাইটার]] এবং টেলিটাইপ মেশিন এই পদ্ধতিতে কাজ করত। দ্রুতগতির প্রিন্ট নেয়ার চাহিদা থেকে নতুন ধরনের পদ্ধতি আবিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল, বিশেষ করে কম্পিউটারের সাথে ব্যবহারের জন্য। ১৯৮০ দশকে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো যেমন ডেইজি হুইল পদ্ধতির মিল ছিল টাইপরাইটারের সাথে। লাইন প্রিন্টার একই ধরনের আউটপুট দিত কিন্তু আরেকটু দ্রুত গতিতে। ডট মেট্রিক্স পদ্ধতি যাতে লেখা এবং গ্রাফ বা ছবি একত্রে প্রিন্ট করা যেত, কিন্তু তা নিম্ন মানের হত। ব্লুপ্রিন্টের মত উচ্চ মানের গ্রাফিক্সের জন্য প্লটার ব্যবহার করা হত।
 
১৯৮৪ সালে কম খরচে প্রথম [[হিউলেট-প্যাকার্ড|এইচপি]] লেজারজেট লেজার প্রিন্টার পরবর্তী বছর [[অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড|অ্যাপলের]] পোস্টস্ক্রিপ্ট লেজার রাইটারের মধ্যদিয়ে ডেস্কটপ প্রকাশনা মুদ্রণে বিপ্লব আসে।
 
১৯৯০ এবং ২০০০ দশকের সময়ে ইন্টারনেট [[ই-মেইল|ইমেইলের]] দ্রুত বিস্তার ও ব্যাপক ব্যবহার মুদ্রণের প্রয়োজনীয়তাকে ম্লান করে দেয়। বিভিন্ন ধরনের বহনযোগ্য সংরক্ষন ব্যবস্থার কারনেকারণে কাগজে মুদ্রিত লেখার প্রয়োজন কমার অন্য আরেকটি কারণ। এমনকি কাগজে মুদ্রিত লেখা যা অফলাইন (ইন্টারনেটে নয় এমন) পড়ার জন্য যেখানে ব্যবহার করা হত যেমন বিমানযাত্রা বা গণপরিবহনে সেখানেও এখন [[ই-রিডার|ইবুক রিডার]] বা [[ট্যাবলেট কম্পিউটার|ট্যাবলেট]] ব্যবহার করা হয়। আজকাল প্রিন্টারগুলো ব্যবহার করা হয় বিশেষ উদ্দেশ্যে যেমন ছবি বা [[শিল্পকর্ম]] প্রিন্ট করতে। আগের মত আবশ্যকীয় পেরিফেরাল হিসেবে এখন প্রিন্টার আর ব্যবহার করা হয় না।
 
২০১০ সালের থেকে ৩য় মাত্রার মুদ্রণে ব্যপক আগ্রহ দেখা গেছে যাতে বাস্তবিক বস্তুর প্রতিরূপ মুদ্রণ সম্ভব যেমনটা আগের লেজার প্রিন্টারে একটি চালান প্রিন্ট করা হত।
 
==প্রিন্টারের প্রকারভেদ==
২২ নং লাইন:
 
[[ভার্চুয়াল প্রিন্টার]] হল এমন এক প্রিন্টার যা বাস্তবিক প্রিন্টারের মতই আচরণ করে কিন্তু আসলে একটি সফটওয়্যার। একটি থ্রীডি প্রিন্টার হল এমন এক যন্ত্র যা তৃতীয় মাত্রার বস্তু তৈরি করতে পারে থ্রিডি মডেল বা অন্যান্য উৎস থেকে।
 
 
==প্রযুক্তি==
৩২ ⟶ ৩১ নং লাইন:
 
====টোনার ভিত্তিক প্রিন্টার====
একটি লেজার প্রিন্টার দ্রুত উচ্চ মান সম্পন্ন লেখা এবং ছবি ছাপতে পারে। ডিজিটাল [[ফটোকপিয়ার]] এবং বহু কার্যের প্রিন্টারগুলোতে জেরোগ্রাফিক প্রিন্টিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। যা আগের এনালগ ফটোকপিয়ার থেকে ভিন্ন কারণ সেগুলোতে ছবি উৎপাদিত হত সরাসরি [[লেজার বিম|লেজার বিমের]] ফটোরিসেপ্টর স্ক্যানের মাধ্যমে।
 
 
====তরল ইঙ্কজেট প্রিন্টার====
[[File:Ink-jet-cartridge.jpg|thumb|left|এইচপি ৮৪৫সি ইঙ্কজেট প্রিন্টারের তরল কালির কার্টিজ]]
ক্রেতাদের ব্যবহৃত সবচেয়ে সাধারণ ধরণের প্রিন্টার হল ইঙ্কজেট প্রিন্টার যা তরল কালির প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
 
====সলিড ইঙ্ক প্রিন্টার====
 
 
====রঞ্জক-সাবলিমেশন প্রিন্টার====
এই প্রিন্টারগুলো দিয়ে উচ্চ মানের রঙের কাজ বেশি করা হয়। এগুলো ভাল মানের লেখার জন্য উপযোগি নয়। এতে তাপ দিয়ে রঞ্জককে প্লাস্টিক কার্ড, কাগজ বা ক্যানভাসে ছাপা হয়।
 
====কালি বিহিন প্রিন্টর====
৫৩ ⟶ ৫০ নং লাইন:
 
====ইমপেক্ট প্রিন্টারস====
এই প্রিন্টার প্রিন্ট হেড ব্যবহার করে যা কালির [[রিবন|রিবনের]] উপর চাপ দেয় এতে করে রিবনটি কাগজের উপর পড়ে আর লেখা ছাপা হয় (অনেকটা টাইপরাইটারের মত)। অথবা কাগজের পেছনে চাপ দেয় এবং কাগজটি কালির রিবনে গিয়ে লাগে এবং লেখা ছাপা হয়। (আইবিএম ১৪০৩)।
 
 
=====টাইপরাইটার ডিরাইভড প্রিন্টর=====
 
 
 
=====টেলিটাইপরাইটার থেকে আগত প্রিন্টার=====
৬৪ ⟶ ৫৮ নং লাইন:
 
=====ডেইজি হুইল প্রিন্টার=====
[[File:Daisywheel 1.jpg|thumb|left|"ডেইজি হুইল" মুদ্রণ উপাদান]]
ডেইজি হুইলগুলো কাজ করে টাইপরাইটারের মত। একটি হাতুড়ির মত যন্ত্র একটি চাকার দলে আঘাত করত। চাকার দলে অক্ষরের সমস্টি থাকত। এগুলোকে অক্ষর মানের প্রিন্টার বলে কারনকারণ এগুলো খুবই সুন্দর এবং পরিষ্কার লেখা ছাপায়। দ্রুতগতির প্রিন্টারটি প্রতি সেকেন্ডে ৩০ অক্ষর প্রিন্ট করতে পারে।
 
 
=====ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার=====
এটি একধরনের ইমপেক্ট প্রিন্টার যা ছোট পিন ব্যবহার করে কালিকে কাগজে ছাপায়। এই প্রিন্টারের সুবিধা হল এতে অক্ষরের সাথে সাথে গ্রাফ বা ছবিও ছাপানো যায়। কিন্তু লেখাগুলোর মান ভাল হয় না।
 
=====লাইন প্রিন্টার=====
লাইন প্রিন্টার একবারে একলাইন করে প্রিন্ট করে। এতে চার ধরণের নকশা দেখা যায়:
* ড্রাম প্রিন্টার, এতে একটি ঘুর্ণিত ড্রাম থাকে যাতে সব অক্ষর থাকে আবার এগুলো স্থান পরিবর্তন করে প্রতিবার প্রিন্টের সময়। আইবিএম ১১৩২ প্রিন্টার এমন একটি ড্রিম প্রিন্টারের উদাহরণ।
 
 
====তরল কালিবিশিষ্ট ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক প্রিন্টার====
 
 
 
 
====প্লটার====
 
 
 
 
===অন্যান্য প্রিন্টার===
১২২ ⟶ ১০৮ নং লাইন:
{{প্রাথমিক কম্পিউটার সামগ্রীসমূহ}}
 
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:কম্পিউটার প্রিন্টার| ]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:অফিস ইকুইপমেন্ট]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:মুদ্রণশৈলী]]
 
[[en:Printer (computing)]]