প্রাকৃতিক নির্বাচন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন |
FerdousBot (আলোচনা | অবদান) অ বানান, replaced: বিরোধীতা → বিরোধিতা |
||
১৪৩ নং লাইন:
বিবর্তনের তত্ত্বের সামাজিক প্রয়োগ অশেষ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জার্মান দার্শনিক ও সমাজতন্ত্রের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস ১৮৭২ সালে লিখেছিলেন, "ডারউইন জানতেন না তিনি মানবসমাজকে নিয়ে কী তীব্র স্যাটায়ার রচনা করেছেন যখন তিনি দেখিয়েছেন যে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা বা টিকে থাকার সংগ্রাম, যাকে এতদিন অর্থনীতিবিদরা মানবসমাজের সর্বোচ্চ ঐতিহাসিক প্রাপ্তি হিসেবে দাবি করে আসছিলেন, আসলে প্রাণিজগতের অতি স্বাভাবিক একটি চিত্র"।<ref>Engels F (1873-86) ''Dialectics of Nature'' 3d ed. Moscow: Progress, 1964 [http://www.marxists.org/archive/marx/works/1883/don/index.htm ]</ref> প্রাকৃতিক নির্বাচনকে "প্রগতিশীল" বা বৌদ্ধিক এবং সভ্যতার উৎকর্ষের প্রতি সহায়তাকারী হিসেবে ব্যাখ্যা করে একদা উপনিবেশবাদ এবং সুপ্রজননবিদ্যার(eugenics) পাশাপাশি আরও অনেক সামাজিক-রাজনৈতিক মতবাদ ও কর্মসূচীকে বৈধতা দেওয়া হয়েছিল, যাকে এখন বলা হয় সামাজিক ডারউইনবাদ। কনরাড লরেন্তজ্ প্রাকৃতিক নির্বাচনের সাপেক্ষে প্রাণীদের আচরণ(বিশেষ করে গোত্র নির্বাচন) বিশ্লেষণ করার জন্য ১৯৭৩ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তবে ১৯৪০ সালে জার্মানীতে তিনি নাৎসি রাষ্ট্রের পলিসি সমর্থন করে কিছু লেখালেখি করেছিলেন, যা তিনি নিজেই পরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, "মানবজাতির অধঃপতন ঠেকাতে চাইলে কোন না কোন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অবশ্যই দৃঢ়তা, বীরত্ব ও সামাজিক উপকারীতা প্রভৃতি গুণগুলোকে নির্বাচন করতে হবে। আমাদের বর্ণবাদী রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই এই কর্ম অনেকাংশে সম্পন্ন করেছে।"<ref>Quoted in translation in Eisenberg L (2005) Which image for Lorenz? ''Am J Psychiatry'' 162:1760 [http://ajp.psychiatryonline.org/cgi/content/full/162/9/1760 ]</ref> অনেকে আবার মনে করেন মানবসমাজ ও সংস্কৃতি জৈববিবর্তনের অনুরুপ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিবর্তিত হয়।<ref>e.g. Wilson, DS (2002) ''Darwin's Cathedral: Evolution, Religion, and the Nature of Society'' . University of Chicago Press, ISBN 0-226-90134-3</ref>
সাম্প্রতিককালে নৃবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণার মাধ্যমে প্রথমে সমাজ জীববিদ্যা(Sociobiology) এবং পরে [[বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান|বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানের]] উদয় ঘটেছে, যা মানুষের মনস্তত্ত্বকে প্রাচীন পরিবেশে মানুষের পূর্বসূরীদের অভিযোজন দ্বারা ব্যাখ্যা করে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ [[নোম চম্স্কি|নোয়াম চমস্কি]] এবং [[স্টিভেন পিংকার|স্টিভেন পিংকারের]] গবেষণা, যেখানে তাঁরা দাবি করেছেন যে [[স্বাভাবিক ভাষা|প্রাকৃতিক ভাষার]] ব্যাকরণ আয়ত্ত করার জন্য মানুষের মস্তিষ্ক অভিযোজিত হয়েছে।<ref name="Pinker">Pinker S. [1994] (1995). ''The Language Instinct: How the Mind Creates Language.'' HarperCollins: New York, NY, USA. ISBN 0-06-097651-9</ref> অজাচার
=== তথ্য এবং সিস্টেম তত্ত্ব ===
|