দুর্ভিক্ষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৫ নং লাইন:
১৭৭০ সালে বাংলাদেশে এক ভায়বহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। সময়টি বাংলা ১১৭৬ সাল হওয়ায় এই দুর্ভিক্ষ [[ছিয়াত্তরের মন্বন্তর]] নামে পরিচিত হয়। অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারনে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সমগ্র দেশজুড়ে চরম অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। ত্রুটিপূর্ণ ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা ও খাদ্যবাজারে দালাল ফড়িয়া শ্রেনীর দৌরাত্ম্যের ফলে অবস্থা আরো শোচনিয় হয়ে পরে।<ref>[http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7]/বাংলাপিডিয়া</ref>
 
১৯৪৩ সালে বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ১৯৩৮ সাল থেকে কৃষি ফসলের উৎপাদন কমতে থাকে। তাছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ঘটনাও এর পেছনে অন্যতম কারন ছিল। জাপানি সেনাবাহিনীর হাতে বার্মার পতন হলে সেখান থেকে যে বিপুল পরিমান চাল রফতানি হতো তা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া যুদ্ধরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য অতিরিক্ত খাদ্যশস্যের চাহিদা, অতিরিক্ত মুনাফাভোগীদের দৌরত্ম এবং অব্যবস্থাপনা এই দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারন। এই দুর্ভিক্ষে ৩.৫ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরন করে। বিপুল সংখ্যক মানুষ কলকাতা শহরে মৃত্যুবরন করে। উল্লেখ্য যে, এদের মধ্যে সবাই কলকাতা শহরের বাইরের বাসিন্দা ছিল।
 
১৯৭৪ সালে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সে সময়ে কয়েক লক্ষ মানুষ অনাহারে অথবা অপুষ্টিজনিত রোগে মারা যায়। ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। চাল ও লবনের দাম সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। বিশেষ করে লবনের সরবরাহ একেবারেই কমে যায়। অনেক কৃষক কয়েক মৌসুমের ফসল আগ্রীম বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়। খাবার ও কাজের খোঁজ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচুর মানুষ ঢাকা শহরে ছুটে আসে। একই বছর ডিসেম্বর মাসে দুর্ভিক্ষের প্রকপ কমতে থাকে। <ref>[http://www.bbc.com/bengali/multimedia/2011/12/111229_mb_bd40_famine_final.shtml]/বিবিসি বাংলা ২৯ ডিসেম্বর ২০১১</ref>