পূর্ণেন্দু পত্রী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২ নং লাইন:
 
== জন্ম, শিক্ষা ==
পূর্ণেন্দু পত্রীর জন্ম বর্তমান [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[হাওড়া জেলা]]<nowiki/>র নাকোলে। পিতা পুলিনবিহারী পত্রী, মা নির্মলা দেবী। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পারিবারিক কলহের কারণে পৈত্রিক ভিটে ছেড়ে চলে আসেন [[কলকাতা]]<nowiki/>য়। ১৯৪৯ সালে ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজে ভর্তি হন বাণিজ্যিক শিল্পকলা বা কমর্শিয়াল আর্টের ছাত্র হিসেবে। যদিও নানা কারণে এই পাঠক্রম শেষ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। ছেলেবেলায় [[বাগনান|বাগনানের]] বিশিষ্ট [[কমিউনিজম|কমিউনিস্ট]] নেতা অমল গাঙ্গুলির সংস্পর্শে এসে [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি|কমিউনিস্ট পার্টি]]<nowiki/>র নানান সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কলকাতায় অভিভাবক কাকা নিকুঞ্জবিহারী পত্রীর চলচ্চিত্র পত্রিকা 'চিত্রিতা' ও সাহিত্যপত্র দীপালি-তে তাঁর আঁকা ও লেখার সূচনা হয়। পঞ্চাশের দশকের শুরুতে কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য হয়ে পড়লে রাজনীতি ও সাহিত্যচর্চা উভয়েই একসঙ্গে চালাতে থাকেন।
 
== প্রকাশনা ==
১৯৫১ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ''একমুঠো রোদ'' প্রকাশিত হয়। ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ''দাঁড়ের ময়না'' মানিক পুরস্কার লাভ করে। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল ''শব্দের ঠিকানা'' (১৯৭৫), ''সূর্যোদয় তুমি এলে'' (১৯৭৬) ''আমাদের তুমুল হৈ-হল্লা'' (১৯৮০) ও ''গভীর রাতের ট্রাঙ্ককল'' (১৯৮১), ''আমিই কচ আমিই দেবযানী'' ইত্যাদি। সাহিত্য গবেষক শিশিরকুমার দাশ তাঁর কাব্য সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ''ছন্দের কৌশল, প্রতিমা গঠনের স্পষ্টতা এবং কথনভঙ্গির ঘরোয়া চাল তাঁর কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য।'' পূর্ণেন্দু পত্রীর অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ''ভোমরাগুড়ি'', ''মালতীমঙ্গল'' ইত্যাদি। ''রূপসী বাংলার দুই কবি'' তাঁর একটি বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ। পূর্ণেন্দু পত্রী কলকাতা সম্বন্ধে প্রায় এক ডজন গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ''শহর কলকাতার আদি পর্ব'', ''বঙ্গভঙ্গ'', ''কি করে কলকাতা হল'', ''ছড়ায় মোড়া কলকাতা'', ''কলকাতার রাজকাহিনী'', ''এক যে ছিল কলকাতা'' ইত্যাদি। জীবনের শেষপর্বে [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]<nowiki/>কে নিয়ে এক বিশাল গবেষণার কাজ শুরু করেছিলেন। মৃত্যুর পূর্বে ১৯৯৬ সালে তার প্রথম খণ্ড ''বঙ্কিম যুগ'' প্রকাশিত হয়। শিশুসাহিত্যেও তিনি ছিলেন এক জনপ্রিয় লেখক। ছোটোদের জন্য লিখেছেন ''আলটুং ফালটুং'', ''ম্যাকের বাবা খ্যাঁক'', ''ইল্লীবিল্লী'', ''দুষ্টুর রামায়ণ'', ''জুনিয়র ব্যোমকেশ'', ''যজাম্বোজাম্বো দি জিনিয়াস'', প্রভৃতি হাসির বই। ''আমার ছেলেবেলা'' নামে তাঁর একটি স্মৃতিকথাও রয়েছে। সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের জন্য [[পশ্চিমবঙ্গ সরকার]] তাঁকে [[বিদ্যাসাগর পুরস্কার|বিদ্যাসাগর পুরস্কারে]] ভূষিত করেন।
 
== চলচ্চিত্র ==