ভোলাহাট রেশম বীজাগার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Anwar.rcz (আলোচনা | অবদান)
→‎অবস্থান: সংশোধন
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''ভোলাহাট রেশম বীজাগার'''
'''ভোলাহাট রেশম বীজাগার''' বাংলাদেশের বৃহত্তম [[রেশম]] বীজাগার। এটি [[রাজশাহী বিভাগ|রাজশাহী বিভাগের]] [[চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা|চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাস্থ]] [[ভোলাহাট উপজেলা|ভোলাহাট উপজেলায়]] অবস্থিত
 
[[ভোলাহাট উপজেলা]]য় [[রেশম ]]শিল্পের সূত্রপাত সেই পাল অামলে।[[পাকিস্তান ]] সৃষ্টির পর উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে [[ভোলাহাট]],[[নাচোল ]] ও[[গোমাস্তাপুর]] এর রেশমশিল্প[[রেশম]]শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষে [[১৯৬১]] সালে "ভোলাহাট রেশম বীজাগার" স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে [[বাংলাদেশ]]স্বাধীন হওয়ার পর রেশম এর সূতিকাগার ভোলাহাটের ক্রমাগত [[রেশম চাষ]] বৃদ্ধি ও রেশম চাষীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌছায় দেয়ার জন্য [[১৯৮৫]] সালে জেলা রেশম সম্প্রসারণ কার্যক্রম শুরু হয়। ভোলাহাট রেশম বীজাগারে এর উপজেলা রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয় স্থাপন করা হয়।
==ইতিহাস==
 
[[ভোলাহাট উপজেলা]]য় রেশম শিল্পের সূত্রপাত সেই পাল অামলে।[[পাকিস্তান ]] সৃষ্টির পর উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে [[ভোলাহাট]],[[নাচোল ]] ও[[গোমাস্তাপুর]] এর রেশমশিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষে [[১৯৬১]] সালে "ভোলাহাট রেশম বীজাগার" স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে [[বাংলাদেশ]]স্বাধীন হওয়ার পর রেশম এর সূতিকাগার ভোলাহাটের ক্রমাগত [[রেশম চাষ]] বৃদ্ধি ও রেশম চাষীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌছায় দেয়ার জন্য [[১৯৮৫]] সালে জেলা রেশম সম্প্রসারণ কার্যক্রম শুরু হয়। ভোলাহাট রেশম বীজাগারে এর উপজেলা রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয় স্থাপন করা হয়।
 
পরবর্তীতে [[বাংলাদেশ]]স্বাধীন হওয়ার পর [[রেশম]] এর সূতিকাগার ভোলাহাটের ক্রমাগত [[রেশম চাষ]] বৃদ্ধি ও [[রেশম]] চাষীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌছায় দেয়ার জন্য [[১৯৮৫]] সালে জেলা রেশম সম্প্রসারণ কার্যক্রম শুরু হয়। ভোলাহাট রেশম বীজাগারে এর উপজেলা রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয় স্থাপন করা হয়।<ref>ভোলাহটের ইতিহাস ও ঐতিহ্য,মোহাম্মদ সালাউদ্দিন,পৃঃ১০৫-১১৯</ref>
 
==অবস্থান==
[[চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা|চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার]] জেলার [[ভোলাহাট উপজেলা]]য় অবস্থিত। মৌজাঃ গোপিনাথপুর ও ভোলাহাট।<ref>{{cite web|url=http://www.chapainawabganjnews.com/2014/08/blog-post_55.html#.WIolI1yGOxY|title=প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের পরিদর্শন > ভোলাহাটে রেশম জোন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ|publisher=|accessdate=26 January 2017}}</ref>
 
 
==অায়তন==
এটি আয়তন এবং ধারনক্ষমতার দিক দিয়ে দেশের বৃহৎ রেশম বীজাগার। এর মোট অায়তন ৩৬.৭৯ একর (১১১ বিঘা১১১বিঘা ১০ কাঠা)। যার মধ্যে অাবাদী জমির পরিমাণ ২০.৪৬ একর (৬২বিঘা[[৬২]]বিঘা) (বুশ, হাইবুশ, লোকাট, হাইকাট ও গাছ জমি) এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত জমির পরিমাণ ১৬.৩৩ একর (৪৯বিঘা[[৪৯]]বিঘা [[১০]] কাঠা)। অফিস, বাসা, কারিগরি ভবন, রাস্ত, ড্রেন, পুকুর, ফুল ও ফলের বাগান এবং বাঁশঝাড়।<ref>{{cite web|url=https://www.dailyjanakantha.com/details/article/132028/%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%93|title=ভোলাহাট উপজেলার পুরোটাই এখন রেশমের খাদি ও মটকা পল্লী|work=Daily Janakantha|accessdate=26 January 2017}}</ref>
 
==ইতিহাস==
=ভোলাহাটে রেশম শিল্পের বিকাশ==
ভোলাহাট অঞ্চলের [[রেশম ]]শিল্পের ইতিহাস বহু পুরানো। "ভোলাহাট অঞ্চলেররেশম বীজাগার" দেশের সর্ব বৃহৎ রেশম চাষিরাবীজাগার। দেশের শতকরা [[৭৫]] ভাগ উৎপান ও সরবাহ করে থাকে। ঐতিহাসিক গৌড়ের প্রাচীন ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায় যে, পাল অামলের পর সেন অামলে অাইহো, ভোলাহাট, মুচিয়া, নরহাট্রা ছাড়া বরেন্দ্র অঞ্চল হতে [[রেশম চাষ]] উঠে যায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last1=বাসক|first1=কমল|title=ভ্রমন ও দর্শনে|location= [[মালদহ|pages=৫,]] ৬|accessdate=26- জানুয়ারিকমল 2017}}বাসক,পৃষ্ঠা-৫,৬</ref> মুসলিম অামলে গৌড়ের রাজ পরিবার ও রাজন্য বর্গের পোষক ও শৌখিন বস্ত্র হিসাবে রেশমের চাহিদা দেখা দেয়ায় গৌড় নগরীর অাশ পাশে ব্যাপকভাবে [[রেশম]] চাষ শুরু হয়। এ সময় রেশমএর[[রেশম]]এর ব্যাপক চাহিদা ও উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পেয়েছিল, তেমনি [[রেশম]] চাষীরাও রেশম হতে প্রচুর অায় করতো। এর ফলে ঐতিহাসিক গৌড় উপকন্ঠে পিয়াসবাড়ী, [[ভোলাহাট]], কালিয়াচক, সুজাপুরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচুর [[রেশম]] ও রেশমজাত বস্ত্র উৎপাদিত হত। যাহত।যা এখনো এ সমস্ত স্থানে অব্যহত রয়েছে।<ref>{{cite web|url=http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=37043|title=রেশম শিল্পে ফিরছে সুদিন|work=মানবজমিন|accessdate=26 January 2017}}</ref>
 
ঐতিহাসিকদের মতে মোঘল শাসনামলে বেংগল সিল্ক নামে অবিভক্ত বাংলার এ শিল্প ছিল অার্থ সামাজিক অবস্থানেরর মাপকাঠি। বৃটিশমাপকাঠি।বৃটিশ অামলে বাংলাকে Store house of silk বলে অাখ্যায়িত করা হতো।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=অার্থিক উন্নয়নে রেশম শিল্প|publisher=,রেশম বোর্ড|page=২|accessdate=26 জানুয়ারিকর্তৃক 2017}}প্রকাশিত স্মরণিকা,পৃঃ-২</ref> ঐতিহাসিক কাজী মিছের([[বগুড়া]]) তাঁর রাজাশাহীর ইতিহাস গ্রন্থে ভোলাহাটকে "[[মহানন্দা ]]র তীরে অবস্থিত [[রেশম]] এর প্রাচীন বন্দর হিসাবে অাখ্যায়িত করেন।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অামলে "ভোলাহাট রেশম বীজাগার" গৌড় অঞ্চলের রেশম শিল্পের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠে। "মেসার্স লুইপেইন এন্ড কোম্পানী" এখানে রেশম কারখানা স্থাপন করে। উল্লেখকরে।উল্লেখ, [[রাজশাহী ]] ইতিহাস গ্রন্থে যতগুলো [[রেশম]] কোম্পানির উৎপাদন তালিকা উল্লিখিত অাছে ,তন্মধ্যে [[ভোলাহাট]]স্থ "মেসার্স লুইপেইন এন্ড কোম্পানী’রকোম্পানী"র উৎপাদন সব থেকে বেশী। [[ভোলাহাট]] এ কোম্পানিটির [[১৯০৪]] থেকে [[১৯০৭]] খ্রিঃ পর্যন্ত বাৎসরিক [[রেশম]] উৎপাদন ও মূল্য তালিকা দেওয়া হল।
 
{| class="wikitable"
৩০ ⟶ ৩৫ নং লাইন:
| [[১৯০৬]]-[[১৯০৭]]
| ২০,০১৮ পাউন্ড
| ১,৮৫,৭৪৪২ টাকা<ref>"[[রেশম]]"বাংলাদেশ রেশম বোর্ড মুখপত্র ১৯৮৩ ফেব্রুয়ারি সংখ্যা, পৃঃ-৮৮</ref>
|}
 
 
==কার্যাবলী==
 
রেশমচাষ[[রেশম]]চাষ সম্প্রসারণ ও [[রেশম]] চাষ লাভজনক করার লক্ষে এ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

রেশম এছাড়াওবীজাগারের কর্মকান্ডঃ

ক) রেশম বীজগুটি উৎপাদন,
খ) রোগমুক্ত ডিম উৎপাদ,
গ)উন্নত জাতের তুঁত কাটিংস উৎপাদন এবং
ঘ)উন্নত জাতের তুঁতচারা উৎপাদনেও এই প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে চলেছে।উৎপাদন।
 
 
== কর্মকান্ডের বিবরণ/তথ্যাদিঃ==
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
==কর্মকান্ডের বিবরণ/তথ্যাদিঃ==
 
===বিবরণ: ২০১০-২০১১ : ২০১১-২০১২ : ২০১২-২০১৩===
১. রেশম ডিম পালন
ক) লক্ষমাত্রা-৭,৭৫০টি-৫,২০০টি-৫২০০টি
খ) অর্জন -৭৯০০টি-৫৩৫০টি-৪,৩৫০টি
২. বীজগুটি উৎপাদন(কেজি)
ক) লক্ষমাত্রা-৩,১০০কেজি - ২,১৮০কেজি- ২,১০০কেজি
খ) অর্জন - ৩,১৮৯কেজি- ২,২৩১কেজি- ১,৭৪৪কেজি
৩. রেশম ডিম উৎপাদন
ক) লক্ষমাত্রা
খ) অর্জন -১,৮৪৫৫৬টি - ২,০০,৪৫০টি - ১,৩৬,৮৩০টি
৪. তুঁতগাছ উৎপাদন(জমি)-[[৫]]বিঘা-[[৫]]বিঘা-[[৫]]বিঘা
ক) লক্ষমাত্রা- ৪২,০০০টি- ৩৫,০০০- ৩৫,০০০টি
খ) অর্জন-৫২,৫০০০টি-৪৩,৪৫০টি- ৪৫০০টি
৫. তুঁতমুড়া সরবরাহ- ২,০০০কেজি
৬. তুঁতাচারা উৎপাদন
 
===বিবরণ : ২০১৩-২০১৪ : ২০১৪-২০১৫ : ২০১৫-২০১৬===
১. রেশম ডিম পালন
ক) লক্ষমাত্রা- --- ৭,০০০টি- ৬,০০০টি
খ) অর্জন -৫,০০০০টি-৫,৫৩৫টি- ৬,২৯৫টি
২. বীজগুটি উৎপাদন(কেজি)
ক) লক্ষমাত্রা-- - ২,৮০০কেজি- ২,৪০০কেজি
খ) অর্জন - ১,৯৪৫কেজি- ২,২৫৮কেজি- ১,৬২৭কেজি
৩. রেশম ডিম উৎপাদন
ক) লক্ষমাত্রা- -- ১,৯০,০০০টি-১,৫০,০০০টি
খ) অর্জন -১,৭৮,৩০০টি-১,৯২,৫৫০টি - ২,০০,৪০০টি
৪. তুঁতগাছ উৎপাদন(জমি)-[[৫]]বিঘা-[[৫]]বিঘা-[[৫]]বিঘা
ক) লক্ষমাত্রা- ৩৫,০০০টি- -- --
খ) অর্জন-৪৭,৫০০০টি--- --
৫. তুঁতমুড়া সরবরাহ- -- ৩,০০০কেজি -৮,০০০কেজি
৬. তুঁতাচারা উৎপাদন -- -- -০-১০-০<ref>ভোলাহাট রেশম বীজাগার,তাং-২০/০১/২০১৭</ref>
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}