জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
রচনাশৈলী
১ নং লাইন:
{{Infobox person
| name = জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার
| image = পুরুষ
| image caption= জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার
| birth_date = ১৮৮৯
| birth_place = [[নেত্রকোনা জেলা|নেত্রকোনা]], [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]], [[ব্রিটিশ ভারত]]
| death_date = ৩ অক্টোবর, ১৯৭০
| death_place =
| known =
| occupation =
| movement = [[ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন]]
| citizenship = ব্রিটিশ ভারতীয় <br /> পাকিস্তানী
| nationality =
| ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]]
| profession =
| religion = [[হিন্দু]]
| footnotes =
}}
{{অনুশীলন সমিতি}}
 
'''জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার''' ({{lang-en|Gayanchandra Majumdar}}) ([[১৮৮৯]] - [[অক্টোবর ৩|৩ অক্টোবর]], [[১৯৭০]]) ছিলেন [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশের]] [[ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন|ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের]] একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। তিনি [[অনুশীলন সমিতি|অনুশীলন সমিতির]] অন্যতম শীর্ষনায়ক ছিলেন। ১৯০৬ সালে এন্ট্রান্স পাস করে [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজে]] পড়ার সময় অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা [[প্রমথনাথ মিত্র|পি. মিত্রের]] সংস্রবে আসেন এবং তিনিই সমিতির সর্বপ্রথম সদস্যরূপে বিধিবদ্ধ শপথ গ্রহণ করেন। ১৯০৬-১০ সনে সমিতির সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিলো। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে ঢাকার ব্রাহা রাজনৈতিক ডাকাতির ঘটনা। এই বিপ্লবী কাজের মধ্যেও তিনি ১৯১০ সনে বি.এস.সি. পাস করেন। [[প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়|প্রেসিডেন্সি কলেজে]] এম.এস.সি. পড়ার সময় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পুলিসি তৎপরতার জন্য তাঁর পড়া শেষ হবার আগেই ১৯১৬ সনে তিন ধারা আইনে আটক থাকেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে ১৯১৯ সনে ছাড়া পেয়ে [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|কংগ্রেস]] আন্দোলনে যোগ দেন এবং [[ময়মনসিংহ জেলা|ময়মনসিংহ জেলায়]] কংগ্রেস সংগঠন গড়ে তুলে বহু বছর তার সম্পাদক এবং পরে সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৫-৩০ সালে তিনি বাংলার প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। ১৯৩৮ সনে তিনি তদানীন্তন কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বিপক্ষে নেতাজি [[সুভাষচন্দ্র বসু|সুভাষচন্দ্র বসুর]] সঙ্গে মিলিত হয়ে তাঁর মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বহুবার তাঁকে কারাবরণ করতে হয়। দেশবিভাগের পর ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানে বাস করেন। পাক-গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। কলকাতায় মৃত্যু।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, সংশোধিত ও পরিমার্জিত পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৪৪-৪৫, ISBN 978-81-7955-135-6</ref> তিনি [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ রাজের]] জেলে মোট ২৬ বছর বন্দি ছিলেন।<ref name="ত্রৈলোক্যনাথ">[[ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী]], ''জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম'', ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ২১২।</ref>