যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
পূনরায় ব্যবহার
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫ নং লাইন:
 
== আইনজীবী ==
১৯১০ সালে কলকাতা হাইকোর্টে যোগ দেন এবং বিখ্যাত আইনজীবী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হন। অগ্নিযুগের বহু বিপ্লবীকে নিশ্চিত ফাঁসির দড়ি থেকে বাঁচিয়ে এনেছেন তার অসামান্য দক্ষতায়।দক্ষতায়<ref name=":0" />। ১৯২৩ সালে দ্বিতীয় আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলায় তার কৃতিত্বপূর্ণ সওয়ালে সাতজন বিপ্লবী মুক্ত হন। স্বেচ্ছায় স্বাধীনতা সংগ্রামী দের পক্ষ হয়ে আদালতে লড়াই করতেন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=অগ্নিগর্ভ চট্টগ্রাম (প্রথম খন্ড)|last=অনন্ত সিংহ|first=|publisher=বিদ্যোদয় লাইব্রেরি প্রা: লি:|year=১৯৬৮|isbn=|location=কলকাতা|pages=২০৩}}</ref>।
 
== স্বাধীনতা আন্দোলন ==
১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে ব্যারিস্টারি পেশা ত্যাগ করেন। বর্মা অয়েল কোম্পানি ও আসাম বেংগল ড়েলওয়েরেলওয়ে ধর্মঘট পরিচালনার দায়ে তার সস্ত্রীক কারাদণ্ড হয়। ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে এই শ্রমিক ধর্মঘট ছিল সর্বপ্রথম বৃহত্তম ধর্মঘট। ধর্মঘটীদের পরিবার প্রতিপালনের জন্যে সেযুগে ৪০ হাজার টাকা ঋন নেন। সাধারন মানুষ তাকে দেশপ্রিয় উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৩০ খৃষ্টাব্দে ভারত থেকে বর্মাকে বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে বক্তৃতা দিয়ে গ্রেপ্তার হন। ১৯২২-২৩ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সভাপতি ছিলেন তারপর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের স্বরাজ্য পার্টিতে যোগ দেন। পাঁচবার কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সমিতির সভাপতির পদ অলংকৃত করেন। চট্টগ্রামের ভূমিপুত্র হিসেবে সেখানে নানা সামাজিক কাজকর্মে তিনি ছিলেন অগ্রনী সেনানী। ১৯৩১ সালে চট্টগ্রামে ভয়াবহ বন্যায়, ১৯২৬ এ কলকাতায়, ১৯৩১ খৃষ্টাব্দে চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক হাংগামায় ত্রানকার্যের পুরোভাগে থাকেন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান|last=প্রথম খন্ড|first=সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত|publisher=সাহিত্য সংসদ|year=২০০২|isbn=81-85626-65-0|location=কলকাতা|pages=৪৩৪}}</ref>।
 
== চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহে ভূমিকা ==
পাহাড়তলিনাগরখানা খন্ডযুদ্ধ ও সরকারি টাকা লুঠের মামলায় মাস্টারদা সূর্য সেন, অনন্ত সিংহ, অম্বিকা চক্রবর্তীর হয়ে মামলা পপরিচালনা করে তাদের মুক্ত করেন। বিপ্লবী প্রেমানন্দ দত্তকে প্রফুল্ল রায় হহত্যাহত্যা মমামলায় নির্দোষ সাব্যাস্ত করা তার অপর ককৃতিত্ব।কৃতিত্ব। বস্তুত চট্টগ্রাম বিদ্রোহের বহু সৈনিককে তিনি ফাঁসির হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন আইনের সাহায্যে। চট্টগ্রামে পুলিশি অত্যাচার ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিলেতে গিয়ে জোরালো প্রতিবাদ করেন। তার দেওয়া তথ্য, ছবি ইত্যাদির ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার নেলসন অপসারিত হন। এছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ক্রেগ অবসর নিতে বাধ্য হন। হান্টার বিলেতে পালান, পুলিশ সুপার স্যুটার আত্মহত্যা করেন। ফলত সরকারের রোষানল তার ওপর পড়ে। কমিশনার টেগার্ট তখন বিলেতে ছিলেন। তিনি সরকারকে জানান যতীন্দ্রমোহন অহিংসদাবী নন। বিপ্লবী দের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগকারী ও মদতদাদা। পুকিশ দেশে ফেরার সংগে সংগে বোম্বাই বন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করে যারবেদা জেল ও পরে দার্জিলিং এ অন্তরীন করে পাঠায়। অসুস্থ হয়ে পড়লেও উপযুক্ত চিকিতসার ব্যবস্থা করতে দেয়নি পুলিশ<ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|title=চট্টগ্রাম সশস্ত্র বিপ্লবে দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহনের ভূমিকা|last=প্রসাদ দাস মুখোপাধ্যায়|first=সূর্যসেন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম|publisher=সূর্যসেনা প্রকাশনী|year=১৯৯৫|isbn=|location=বহরমপুর|pages=৭৪, ৭৫}}</ref>।
 
== মৃত্যু ==
চিকিৎসা সম্পুর্ন হওয়ার আগেই তাকে রাঁচিতে স্থানান্তরিত করা হয়। ২২ জুলাই, ১৯৩৩ এ তিনি মারা যান।যান<ref name=":0" />।
 
== তথ্যসূত্র ==