গোপাল ভাঁড়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র যোগ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
পরিচ্ছদ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১১ নং লাইন:
| occupation = রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এর রাজসভার [[রম্য গল্পকার]] ভাঁড় ও মনোরঞ্জনকারী
}}
'''গোপাল ভাঁড়''' (বা '''গোপাল ভান্ড''') ছিলেন মধ্যযুগে [[বাংলাদেশ|নদিয়া]] অঞ্চলের একজন প্রখ্যাত রম্য গল্পকার / ভাঁড় ও মনোরঞ্জনকারী।<ref name=bpedia>{{cite web|url=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Gopal_Bhand|title=Gopal Bhand on Banglapedia|author=Sirajul Islam|publisher=[[Banglapedia]]|accessdate=May 18, 2015}}</ref> তিনি অষ্টদশ শতাব্দীতে প্রখ্যাত রাজা [[কৃষ্ণচন্দ্র রায়|কৃষ্ণচন্দ্রের]] রাজসভায় নিযুক্ত ছিলেন।<ref>Siegel, Lee (1987). ''[http://books.google.com/books?id=d1qZhZz5RuEC Laughing Matters: Comic Tradition in India]''. University of Chicago Press, United States. ISBN 0-226-75691-2. pp. 314-318.</ref> রাজা তাকে তার সভাসদদের মধ্যকার [[নবরত্ন (বিক্রমাদিত্যের সভাসদ)|নবরত্নদের]] একজন হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সেই আমলে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রাসাদের সামনে নির্মিত তার একটি প্রতিকৃতি ভাষ্কর্য এখনো সেখানে অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। পরবর্তী তে কৃষ্ণনগর পৌরসভার সীমানায় ঘুর্নিতে গোপাল ভাঁড়ের নতুন মুর্তি স্থাপিত হয়েছে।|
 
== গল্প ==
এছাড়া প্রায় দুইশত বছরেরও অধিক আবহমানকাল ধরে প্রচলিত তার জীবন-রস সমৃদ্ধ গল্পগুলো [[পশ্চিমবঙ্গ]] ও [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাঝে এখনো স্বমহিমায় টিকে আছে। তাকে মোল্লা নাসীরুদ্দীন ও বীরবলের সমতুল্য হিসাবে পরিগণনা করা হয়।
 
== ইতিহাস ও বিতর্ক ==
গোপাল ভাঁড় চরিত্রটি ঐতিহাসিক, গবেষক ও ভাষাবিদদের কাছে বিতর্কের বিষয় বহুকাল থেকে। গোপালের গল্পগুলি সমাজে চুড়ান্ত জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত হলেও গোপাল ভাঁড় বাস্তবে ছিলেন কিনা সে নিয়ে মতভেদ আছে। অনেকেই মনে করেন গোপাল ভাঁড় নামে কেউ নির্দিষ্ট করে ছিলেননা। তবে কোনো না কোনো বিদূষক রাজার প্রিয়পাত্র হন। সেরকম গোপাল নাম্নী নাপিত বংশীয় কোনো ব্যক্তি ছিলেন। গোপালের জন্ম কত বঙ্গাব্দে তা কোথাও লেখা নেই। তার জন্মস্থানের পক্ষেও কোনো নথি নেই, কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা হিসেবে তার সম্পত্তির কিংবা জায়গা-জমির কোনো প্রমান পাওয়া যায় না। নগেন্দ্রনাথ দাস বিরচিতরচিত নবদ্বীপ কাহিনি দাবি করে,থেকে গোপালের বাবার নাম জানা গেলেও তার মা ও স্ত্রী সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। নগেন্দ্রনাথ দাসের মতে গোপালের পদবী ছিল 'নাই'। মহারাজ তাকে হাস্যার্ণব উপাধী দান করেন। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ও ভাষাবিদ সুকুমার সেন বলেছেন ‘গোপাল ভাঁড় সম্পর্কে আধুনিক বাঙালির কৌতুহল থাকার ফলে বাস্তব অথবা কল্পিত ব্যক্তিটির সম্পর্কে যে জনশ্রুতি জাতীয় ঐতিহ্য গজিয়ে উঠেছে ও উঠছে তার বীজ হচ্ছে ভাঁড় নামের অংশটি, গোপাল ভাঁড়ের ভাঁড়টুকু সংস্কৃত শব্দ ভাণ্ডারের ‘ভাণ্ড’-জাত মনে করে অনেক গোপালের জাতি নির্ণয় করেছেন'। পক্ষের ও বিপক্ষের ইতিহাসযুক্তি যাই হোক, গোপাল ভাঁড় বাঙালি রসিক ও লৌকিক সংস্কৃতিতে অমলিন হয়ে আছেন<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/kachikachar-asor/2016/05/13/119303.html|title=গোপাল ভাঁড়ের খোঁজে|last=শোয়েব সর্বনাম|first=|date=১৩মে ২০১৬|website=|publisher=দৈনিক ইত্তেফাক|access-date=১৫.০১.২০১৭}}</ref>।
 
== আরও দেখুন ==