মহাকর্ষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পরিষ্কারকরণ
Sourav-21 (আলোচনা | অবদান)
৮ নং লাইন:
বৈজ্ঞানিক নিউটন সর্বপ্রথম মহাকর্ষ বলের [[গণিত|গাণিতিক]] ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এটি [[নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র]] নামে পরিচিত। আধুনিক পদার্থবিদ্যায় মহাকর্ষ সবচেয়ে সঠিকভাবে [[আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব]] ([[আইনস্টাইন]] দ্বারা প্রস্তাবিত) দ্বারা বর্ণনা করা হয়। আইনস্টাইনের মতে স্থান-কালের বক্রতার কারনেই মহাকর্ষ বল সৃষ্টি হয়।
 
== ইতিহাস ==
== নিউটনের তত্ত্ব==
অতি প্রাচীনকাল থেকেই আকাশের [[গ্রহ]]-[[তারা|নক্ষত্র]] সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কৌতূহল ছিল। [[ডেনমার্ক|ডেনমার্কের]] বিশিষ্ট বিজ্ঞানী [[ট্যুকো ব্রাহে|টাইকো ব্রাহে]] ([[ট্যুকো ব্রাহে|Tycho Brahe]]) বহু বছর ধরে বিভিন্ন গ্রহের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের গতি সংক্রান্ত নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। পরবর্তীকালে ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে ওই তথ্যগুলির সহায়তায় এবং আরো অনেক পর্যবেক্ষণের পর ডেনমার্কের আরো একজন [[জ্যোতির্বিজ্ঞান|জ্যোতির্বিদ]] [[ইয়োহানেস কেপলার|জোহানেস কেপলার]] ([[ইয়োহানেস কেপলার|Johannes Kepler]]) এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, গ্রহগুলি কোনো এক বলের প্রভাবে সূর্য্যকে কেন্দ্র করে অবিরত ঘুরছে। তিনি সূর্য্যের গ্রহের গতি বিষয়ক কয়েকটি সূত্রও উপস্থাপিত করেন। এগুলিকে '''[[কেপলারের সূত্র]]''' বলা হয়। কিন্তু কি ধরনের বলের প্রভাবে গ্রহগুলি সূর্য্যকে প্রদক্ষিণ করে তা তাঁর অজানা ছিল। পরে বিজ্ঞানী [[আইজাক নিউটন|স্যার আইজাক নিউটন]] গ্রহের গতি সংক্রান্ত কেপলারের সূত্রগুলির ব্যখ্যা খুঁজতে গিয়ে '''মহাকর্ষ সূত্র''' আবিষ্কার করেন।
স্যার আইজাক নিউটন ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর ''Philosophia Naturalis Principia Mathmatica'' বইটিতে মহাকর্ষ বিষয়ে ধারণা দেন ৷ তাঁর সূত্রটি ছিল:
<blockquote>মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে এবং এ আকর্ষণ বলের মান বস্তুকণাদ্বয়ের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক ও এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক এবং এ আকর্ষণ তাদের কেন্দ্র সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে ৷</blockquote>
 
== নিউটনের তত্ত্ব==
এ সূত্রানুসারে যদি দুটি বস্তুর ভর যথাক্রমে m1 ও m2 এবং মধ্যবর্তী দূরত্ব d হয় তবে
[[আইজাক নিউটন|স্যার আইজাক নিউটন]] ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর ''[[ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা|Philosophia Naturalis Principia Mathmatica]]'' বইটিতে মহাকর্ষ বিষয়ে ধারণা দেন ৷ তাঁর সূত্রটি ছিল:<blockquote>''<big>এই বিশ্বে যে-কোনো দুটি বস্তুকণা তাদের সংযোজী সরলরেখা বরাবর পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ বল কণাদুটির ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং তাদের দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।</big>'' </blockquote>এ সূত্রানুসারে যদি দুটি বস্তুর ভর যথাক্রমে <math>m_1</math> ও <math>m_2</math> এবং মধ্যবর্তী দূরত্ব <math>r</math> হয় তবে
<blockquote>
'''<math>F=G\frac{m_1 m_2} {r^2}</math>'''
</blockquote>
 
মহাকর্ষীয় বল, <math>F \propto m_1\ m_2</math>এবং <math>F\propto{1 \ r^2}</math>
যেখানে G হল সার্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রুবক।
 
যেখানে <math>G</math> হল সার্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রুবক।ধ্রুবক ।
==মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র==
কোন বস্তুর আশে পাশে যে অঞ্চল ব্যাপী এর মহাকর্ষীয় প্রভাব বজায় থাকে,অর্থাৎ কোন বস্তু রাখা হলে সেটি আকর্ষণ বল লাভ করে, তাকে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র বলে।