ভারতীয় জনতা পার্টি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ধ্বংসপ্রবণতা হিসাবে চিহ্নিত 119.30.38.174 (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতি...
বানান সংশোধন
৩৬ নং লাইন:
}}
{{Hindu politics}}
'''ভারতীয় জনতা পার্টি''' বা '''বিজেপি''' হলহলো [[ভারতের রাজনীতি|ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থার]] প্রধান দুটি দলের অন্যতম (অপর দলটি হলহলো [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস]])। ২০১৪ সালের হিসেব অনুসারে, [[ভারতের সংসদ]] ও রাজ্য বিধানসভাগুলির প্রতিনিধি সংখ্যার দিক থেকে এটি [[ভারত|ভারতের]] বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। প্রাথমিক সদস্যপদের দিক থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। বিজেপি একটি দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দল।{{sfn|Banerjee|2005|p=3118}}{{sfn|Malik|Singh|1992|p=318}} হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন [[রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ|রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের]] সঙ্গে এই দলের আদর্শগত ও সংগঠনগত নৈকট্য রয়েছে।
 
বিজেপির উৎস ১৯৫১ সালে [[শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়]] কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত [[ভারতীয় জনসংঘ]] দলটি। ১৯৭৭ সালে [[ভারতে জরুরি অবস্থা|জরুরি অবস্থার]] পর জনসংঘ একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে [[জনতা পার্টি]] গঠন করে। [[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭৭|১৯৭৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে]] জনতা পার্টি ক্ষমতাসীন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে পরাজিত করে সরকার গঠন করে। ১৯৮০ সালে জনতা পার্টি অবলুপ্ত হলে জনসংঘের প্রাক্তন সদস্যরা বিজেপি গঠন করেন। প্রথম দিকে বিজেপি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছিল। [[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৮৪|১৯৮৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে]] বিজেপি মাত্র দুটি আসনে জয় লাভ করেছিল। কিন্তু [[রাম জন্মভূমি]] আন্দোলনের সময় আবার এই দলের শক্তি বৃদ্ধিপায়। একাধিক রাজ্য নির্বাচনে জয় লাভ এবং জাতীয় স্তরের নির্বাচনে ভাল ফল করার পর অবশেষে ১৯৯৬ সালে বিজেপি সংসদে বৃহত্তম দলে পরিণত হয়। যদিও সংসদের নিম্নকক্ষ [[লোকসভা|লোকসভায়]] সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় এই দলের সরকার মাত্র ১৩ দিন স্থায়ী হয়েছিল।
৪২ নং লাইন:
[[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৮৮|১৯৮৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের]] পর বিজেপি-নেতৃত্বাধীন [[জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট]] বা এনডিএ এক বছরের জন্য [[অটলবিহারী বাজপেয়ী|অটলবিহারী বাজপেয়ীর]] প্রধানমন্ত্রীত্বে সরকার গঠন করে। পরবর্তী নির্বাচনে এনডিএ আবার অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বেই সরকার গঠন করেছিল। এই সরকার পূর্ণ সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। এটিই ছিল ভারতের প্রথম পূর্ণ সময়ের অ-কংগ্রেসি সরকার। [[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০০৪|২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে]] এনডিএ অপ্রত্যাশিতভাবে পরাজিত হয়। এরপর দশ বছর বিজেপি ছিল ভারতের প্রধান বিরোধী দল। [[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০১৪|২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে]] [[গুজরাত|গুজরাতের]] দীর্ঘকালীন মুখ্যমন্ত্রী [[নরেন্দ্র মোদী|নরেন্দ্র মোদীর]] নেতৃত্বে বিজেপি পুনরায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়। সেই থেকে নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বে এনডিএ সরকার ভারতে ক্ষমতাসীন রয়েছে। ২০১৫ সালের মার্চ মাসের হিসেব অনুসারে, ভারতের ১৩টি রাজ্যে এনডিএ-নেতৃত্বাধীন সরকার রয়েছে।
 
বিজেপির ঘোষিত আদর্শ হলহলো ‘[[একাত্ম মানবতাবাদ (ভারত)|একাত্ম মানবতাবাদ]]’। ১৯৬৫ সালে [[দীনদয়াল উপাধ্যায়]] এই মত প্রচার করেছিলেন। বিজেপি [[হিন্দুত্ব|হিন্দুত্বের]] আদর্শের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে থাকে এবং এই দলের নীতি ঐতিহাসিকভাবে [[হিন্দু জাতীয়তাবাদ|হিন্দু জাতীয়তাবাদী]] অবস্থানের প্রতিফলন ঘটায়। বিজেপি [[সামাজিক রক্ষণশীলতা|সামাজিক রক্ষণশীলতার]] প্রবক্তা এবং এই দলের বিদেশনীতিও জাতীয়াবাদী আদর্শ-কেন্দ্রিক। বিজেপির প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু হলহলো [[ধারা ৩৭০|জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার]] বিলোপ, [[অযোধ্যা|অযোধ্যায়]] [[রাম মন্দির]] গঠন এবং [[ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি|অভিন্ন দেওয়ানি বিধি]] প্রবর্তন। যদিও ১৯৯৮-২০০৪ সালের এনডিএ সরকার এই বিতর্কিত ইস্যুগুলি কার্যকর করেনি। বরং বিশ্বায়ন ও সামাজিক কল্যাণের জন্য অর্থনৈতিক বৃদ্ধির স্বার্থে নব্য-উদারপন্থী অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করেছিল।
 
== ইতিহাস ==
=== ভারতীয় জনসংঘ (১৯৫১–৭৭) ===
{{main|ভারতীয় জনসংঘ}}
বিজেপির উৎস হলহলো [[ভারতীয় জনসংঘ]] নামে একটি রাজনৈতিক দল। এই দলটি ‘জনসংঘ’ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৫১ সালে ভারতের রাজনীতিতে [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের]] প্রাধান্যের বিরোধিতা করে [[শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়]] জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। [[হিন্দু জাতীয়তাবাদ|হিন্দু জাতীয়তাবাদী]] স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন [[রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ|রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের]] (আরএসএস) সহযোগিতায় এই দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সাধারণভাবে এই দলটি আরএসএস-এর রাজনৈতিক শাখা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।{{sfn|Noorani|1978|p=216}} জনসংঘের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ‘হিন্দু’ সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষা করা। সেই সঙ্গে এই দল অভিযোগ এনেছিল ভারতের তদনীন্তন প্রধানমন্ত্রী [[জওহরলাল নেহেরু]] ভারত ও নবগঠিত [[পাকিস্তান]] রাষ্ট্রের মুসলমানদের তোষণ করছে। জনসংঘ তাদের এই অভিযোগের প্রেক্ষাপটে নেহেরুর তোষণনীতির বিরোধিতা করত। সদ্য-গঠিত জনসংঘের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করার জন্য আরএসএস তাদের একাধিক প্রধান প্রচারকদের পাঠিয়েছিল এই দলের কাজে। এঁদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিলেন [[দীনদয়াল উপাধ্যায়]]। তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। [[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৫২|১৯৫২ সালে ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে]] জনসংঘ [[ভারতের সংসদ|সংসদের]] নিম্নকক্ষ [[লোকসভা|লোকসভায়]] মাত্র তিনটি আসন জয় করেছিল। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত সংসদে এই দলের প্রতিনিধি সংখ্যা ছিল নগন্য।{{sfn|Jaffrelot|1996|pp=116-119}}{{sfn|Guha|2007|p=136}}
 
জনসংঘের প্রথম প্রধান প্রচার অভিযান শুরু হয়েছিল ১৯৫৩ সালের গোড়ার দিকে। দলের দাবি ছিল [[জম্মু ও কাশ্মীর]] রাজ্যের সম্পূর্ণ ভারভভুক্তি।{{sfn|Guha|2007|p=250}} ১৯৫৩ সালের মে মাসে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাশ্মীরে প্রবেশ করার জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হন। পরের মাসে কারাগারেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু ঘটে।{{sfn|Guha|2007|p=250}} শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্থলে দলের সাধারণ সম্পাদক হন [[মৌলীচন্দ্র শর্মা]]। যদিও আরএসএস-এর চাপে তাঁকে সরে যেতে হয়। দীনদয়াল উপাধ্যায় দলের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনিই দলের সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন ছিলেন। তিনিই আরএসএস-এর ছত্রছায়ায় দলের তৃণমূল স্তরের সংগঠন গড়ে তোলেন। জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়ে দল প্রচারকাজের দিকে বেশি গুরুত্ব আরোপ করে। দীনদয়াল উপাধ্যায় ছিলেন [[একাত্ম মানবতাবাদ (ভারত)|একাত্ম মানবতাবাদ]] আদর্শের প্রবক্তা। এটিই দলের আনুষ্ঠানিক মতাদর্শ ছিল।{{sfn|Jaffrelot|1996|pp=122-126, 129-130}} এই সময় [[অটলবিহারী বাজপেয়ী]] ও [[লালকৃষ্ণ আডবাণী]] দলের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে দীনদয়াল উপাধ্যায়ের পর অটলবিহারী বাজপেয়ী দলের সভাপতি হন। এই সময়ের দলের প্রধান দাবিগুলি ছিল ভারতে [[ভারতের অভিন্ন দেওয়ানি বিধি|অভিন্ন দেওয়ানি বিধি]] প্রবর্তন, [[গোহত্যা]] নিষিদ্ধকরণ, [[৩৭০ ধারা|জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা]] বিলোপ।{{sfn|Guha|2007|pp=250, 352, 413}}
২০২ নং লাইন:
== আদর্শ ও রাজনৈতিক অবস্থান ==
=== সামাজিক নীতি ও হিন্দুত্ব ===
বিজেপির আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক দর্শন হলহলো [[একাত্ম মানবতাবাদ (ভারত)|একাত্ম মানবতাবাদ]]। ১৯৬৫ সালে [[দীনদয়াল উপাধ্যায়]] প্রথম এই মতবাদ প্রচার করেছিলেন। দীনদয়াল উপাধ্যায় এই দর্শনকে ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, এটি ‘এমন এক স্বদেশি অর্থনৈতিক মডেলের পক্ষপাতী যা মানুষকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে।’{{sfn|Hansen|1999|p=85}}{{sfn|Swain|2001|pp=71-104}} এই মতবাদ ছিল [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|স্বাধীনতা সংগ্রামী]] [[বিনায়ক দামোদর সাভারকর]] প্রচারিত [[হিন্দুত্ব]] মতবাদের অনুগামী। দলের মতে হিন্দুত্ব হলহলো পাশ্চাত্য সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এমন এক সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ যা ভারতীয় সংস্কৃতির পক্ষপাতী এবং ধর্মনির্বিশেষে সকল ভারতীয়কে এক ছাতার তলায় আনতে সক্ষম।{{sfn|Malik|Singh|1992|pp=318-336}} যদিও গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হিন্দুত্ব আদর্শের উদ্দেশ্য ছিল অন্য ধর্মগুলিকে বাদ দিয়ে ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং সেই অর্থে বিজেপিও একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল।{{sfn|Guha|2007|pp=633-659}}{{sfn|Malik|Singh1992|pp=318-336}}{{sfn|Seshia|1998|pp=1036-1050}}{{sfn|Gillan|2002|pp=73-95}} ১৯৯৮ সালে এনডিএ সরকার গঠনের পর বিজেপি এই বিষয়ে কিছুটা মধ্যপন্থা গ্রহণ করে। কারণ জোটে অন্যান্য যেসব দল ছিল তাদের আদর্শ কিছুটা ভিন্ন ধরনের ছিল।{{sfn|Guha|2007|pp=633-659}}{{sfn|Sen|2005|pp=251-272}}
 
বিজেপির হিন্দুত্ব আদর্শের প্রতিফলন ঘটেছে বিজেপি সরকারের বিভিন্ন নীতিতে। বিজেপি বাবরি মসজিদের জায়গায় [[রাম মন্দির]] নির্মাণের পক্ষপাতী।{{sfn|Seshia|1998|pp=1036-1050}} ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে এটিই ছিল বিজেপির প্রধান ইস্যু।{{sfn|Seshia|1998|pp=1036-1050}} যদিও ১৯৯২ সালে বিজেপির একটি মিছিল চলাকালীন [[বাবরি মসজিদ ধ্বংস|বাবরি মসজিদ ধ্বংসের]] পর বিজেপির জনপ্রিয়তা কিছুটা হ্রাস পায়। এর পর মন্দির নির্মাণের গুরুত্ব বিজেপির এজেন্ডায় হ্রাস পায়।{{sfn|Seshia|1998|pp=1036-1050}} এনডিএ সরকারে শিক্ষানীতিতে [[ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল অ্যান্ড ট্রেনিং]]-এর (এনসিইআরটি) সংস্কার ওভারতীয় স্কুলগুলির পাঠ্যপুস্তক সংস্কার গুরুত্ব পেয়েছে।{{sfn|Sen|2005|p=63}} বিভিন্ন গবেষক এই সংস্কারকে, বিশেষত ইতিহাস পাঠ্যপুস্তক সংস্কারকে ভারতীয় ইতিহাসের ‘গৈরিকীকরণ’ আখ্যা দিয়েছেন।{{sfn|Sen|2005|p=63}}{{sfn|International Religious Freedom Report|2005}}{{sfn|The Hindu|2002}}{{sfn|Davies|2005}} বিভিন্ন অগ্রণী বিজ্ঞানীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এনফিএ সরকার [[বৈদিক জ্যোতিষ|বৈদিক জ্যোতিষকে]] কলেজ পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করেছিল।{{sfn|BBC|January|2014}}
 
বিজেপি কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে ‘ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষতা’ আখ্যা দিয়ে ‘ইতিবাচক ধর্মনিরপেক্ষতা’র কথা প্রচার করে।{{sfn|Seshia|1998|pp=1036-1050}} অটলবিহারী বাজপেয়ী [[মহাত্মা গান্ধী|মহাত্মা গান্ধীর]] ‘সর্বধর্ম-সম্ভব’ আদর্শটিকে [[ধর্মনিরপেক্ষতা|ইউরোপীয় ধর্মনিরপেক্ষতার]] বিপরীতে স্থাপন করেছেন।{{sfn|Fitzgerald|2011|pp=67-68}} অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতে [[ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা|ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতার]] অর্থ হলহলো সকল ধর্মকে সমান মর্যাদা দান। অন্যদিকে ইউরোপীয় ধর্মনিরপেক্ষতা হলহলো ধর্মহীনতা। সেই কারণে ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতাকে তিনি ‘ইতিবাচক’ বলেছেন।{{sfn|Vajpayee|2007|pp=318-342}} বিজেপি [[অভিন্ন দেওয়ানি বিধি|অভিন্ন দেওয়ানি বিধির]] সমর্থক। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বলতে বোঝায়, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা আলাদা দেওয়ানি আইনের বদলে ধর্মনির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য একই আইন। ঐতিহাসিক যোগেন্দ্র মালিকের মতে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংখ্যালঘু মুসলমানেদের সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষাকারী ভিন্ন আইনব্যবস্থার পরিপন্থী।{{sfn|Malik|Singh|1992|pp=318-336}}{{sfn|Seshia|1998|pp=1036-1050}} বিজেপি [[ভারতীয় সংবিধান]] থেকে [[৩৭০ ধারা]] বিলোপের পক্ষপাতী। উক্ত ধারা অনুসারে, [[জম্মু ও কাশ্মীর]] রাজ্যটিকে উক্ত রাজ্যের ভারতভুক্তির সময় অধিকতর স্বশাসন দেওয়া হয়েছিল।{{sfn|Malik|Singh|1992|pp=318-336}}
 
বিজেপি [[বাংলাদেশ]] থেকে [[ভারতে বেআইনি অনুপ্রবেশ|ভারতে বেআইনি অনুপ্রবেশের]] বিরোধী।{{sfn|Gillan|2002|pp=73-95}} বিজেপির মতে মূলত [[অসম]] ও [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যে এই ধরনের বেআইনি অনুপ্রবেশ দেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও স্থায়িত্বের প্রতি ক্ষতিকারক।{{sfn|Gillan|2002|pp=73-95}} গবেষকেরা দেখিয়েছেন, বিজেপি বাংলাদেশ থেকে হিন্দু অনুপ্রবেশকারীদের শরণার্থী এবং মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দেয়।{{sfn|Gillan|2002|pp=73-95}} গবেষক মাইকেল গিলানের মতে, এর মাধ্যমে বিজেপি যে সব অঞ্চলে দল ঐতিহাসিকভাবে সফল নয়, সেই সব অঞ্চলে হিন্দু আবেগকে কাজে লাগাতে চায়।{{sfn|Gillan|2002|pp=73-95}}{{sfn|Ramachandran|2003}}
২৪২ নং লাইন:
* [[ভারতীয় মজদুর সংঘ]], আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক সংগঠন।{{sfn|Swain|2001|pp=71-104}}
 
দলের অন্যান্য সংগঠনগুলির দলের নিজস্ব। এগুলি হলহলো:
* [[বিজেপি মহিলা মোর্চা]], দলের মহিলা শাখা।{{sfn|Swain|2001|pp=71-104}}
* [[ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা]], দলের যুব শাখা।{{sfn|Swain|2001|pp=71-104}}