ভারতীয় জনতা পার্টি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
IqbalHossain (আলোচনা | অবদান) অ ধ্বংসপ্রবণতা হিসাবে চিহ্নিত 119.30.38.174 (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতি... |
বানান সংশোধন |
||
৩৬ নং লাইন:
}}
{{Hindu politics}}
'''ভারতীয় জনতা পার্টি''' বা '''বিজেপি'''
বিজেপির উৎস ১৯৫১ সালে [[শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়]] কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত [[ভারতীয় জনসংঘ]] দলটি। ১৯৭৭ সালে [[ভারতে জরুরি অবস্থা|জরুরি অবস্থার]] পর জনসংঘ একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে [[জনতা পার্টি]] গঠন করে। [[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭৭|১৯৭৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে]] জনতা পার্টি ক্ষমতাসীন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে পরাজিত করে সরকার গঠন করে। ১৯৮০ সালে জনতা পার্টি অবলুপ্ত হলে জনসংঘের প্রাক্তন সদস্যরা বিজেপি গঠন করেন। প্রথম দিকে বিজেপি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছিল। [[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৮৪|১৯৮৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে]] বিজেপি মাত্র দুটি আসনে জয় লাভ করেছিল। কিন্তু [[রাম জন্মভূমি]] আন্দোলনের সময় আবার এই দলের শক্তি বৃদ্ধিপায়। একাধিক রাজ্য নির্বাচনে জয় লাভ এবং জাতীয় স্তরের নির্বাচনে ভাল ফল করার পর অবশেষে ১৯৯৬ সালে বিজেপি সংসদে বৃহত্তম দলে পরিণত হয়। যদিও সংসদের নিম্নকক্ষ [[লোকসভা|লোকসভায়]] সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় এই দলের সরকার মাত্র ১৩ দিন স্থায়ী হয়েছিল।
৪২ নং লাইন:
[[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৮৮|১৯৮৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের]] পর বিজেপি-নেতৃত্বাধীন [[জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট]] বা এনডিএ এক বছরের জন্য [[অটলবিহারী বাজপেয়ী|অটলবিহারী বাজপেয়ীর]] প্রধানমন্ত্রীত্বে সরকার গঠন করে। পরবর্তী নির্বাচনে এনডিএ আবার অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বেই সরকার গঠন করেছিল। এই সরকার পূর্ণ সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। এটিই ছিল ভারতের প্রথম পূর্ণ সময়ের অ-কংগ্রেসি সরকার। [[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০০৪|২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে]] এনডিএ অপ্রত্যাশিতভাবে পরাজিত হয়। এরপর দশ বছর বিজেপি ছিল ভারতের প্রধান বিরোধী দল। [[ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০১৪|২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে]] [[গুজরাত|গুজরাতের]] দীর্ঘকালীন মুখ্যমন্ত্রী [[নরেন্দ্র মোদী|নরেন্দ্র মোদীর]] নেতৃত্বে বিজেপি পুনরায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়। সেই থেকে নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বে এনডিএ সরকার ভারতে ক্ষমতাসীন রয়েছে। ২০১৫ সালের মার্চ মাসের হিসেব অনুসারে, ভারতের ১৩টি রাজ্যে এনডিএ-নেতৃত্বাধীন সরকার রয়েছে।
বিজেপির ঘোষিত আদর্শ
== ইতিহাস ==
=== ভারতীয় জনসংঘ (১৯৫১–৭৭) ===
{{main|ভারতীয় জনসংঘ}}
বিজেপির উৎস
জনসংঘের প্রথম প্রধান প্রচার অভিযান শুরু হয়েছিল ১৯৫৩ সালের গোড়ার দিকে। দলের দাবি ছিল [[জম্মু ও কাশ্মীর]] রাজ্যের সম্পূর্ণ ভারভভুক্তি।{{sfn|Guha|2007|p=250}} ১৯৫৩ সালের মে মাসে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাশ্মীরে প্রবেশ করার জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হন। পরের মাসে কারাগারেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু ঘটে।{{sfn|Guha|2007|p=250}} শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্থলে দলের সাধারণ সম্পাদক হন [[মৌলীচন্দ্র শর্মা]]। যদিও আরএসএস-এর চাপে তাঁকে সরে যেতে হয়। দীনদয়াল উপাধ্যায় দলের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনিই দলের সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন ছিলেন। তিনিই আরএসএস-এর ছত্রছায়ায় দলের তৃণমূল স্তরের সংগঠন গড়ে তোলেন। জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়ে দল প্রচারকাজের দিকে বেশি গুরুত্ব আরোপ করে। দীনদয়াল উপাধ্যায় ছিলেন [[একাত্ম মানবতাবাদ (ভারত)|একাত্ম মানবতাবাদ]] আদর্শের প্রবক্তা। এটিই দলের আনুষ্ঠানিক মতাদর্শ ছিল।{{sfn|Jaffrelot|1996|pp=122-126, 129-130}} এই সময় [[অটলবিহারী বাজপেয়ী]] ও [[লালকৃষ্ণ আডবাণী]] দলের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে দীনদয়াল উপাধ্যায়ের পর অটলবিহারী বাজপেয়ী দলের সভাপতি হন। এই সময়ের দলের প্রধান দাবিগুলি ছিল ভারতে [[ভারতের অভিন্ন দেওয়ানি বিধি|অভিন্ন দেওয়ানি বিধি]] প্রবর্তন, [[গোহত্যা]] নিষিদ্ধকরণ, [[৩৭০ ধারা|জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা]] বিলোপ।{{sfn|Guha|2007|pp=250, 352, 413}}
২০২ নং লাইন:
== আদর্শ ও রাজনৈতিক অবস্থান ==
=== সামাজিক নীতি ও হিন্দুত্ব ===
বিজেপির আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক দর্শন
বিজেপির হিন্দুত্ব আদর্শের প্রতিফলন ঘটেছে বিজেপি সরকারের বিভিন্ন নীতিতে। বিজেপি বাবরি মসজিদের জায়গায় [[রাম মন্দির]] নির্মাণের পক্ষপাতী।{{sfn|Seshia|1998|pp=1036-1050}} ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে এটিই ছিল বিজেপির প্রধান ইস্যু।{{sfn|Seshia|1998|pp=1036-1050}} যদিও ১৯৯২ সালে বিজেপির একটি মিছিল চলাকালীন [[বাবরি মসজিদ ধ্বংস|বাবরি মসজিদ ধ্বংসের]] পর বিজেপির জনপ্রিয়তা কিছুটা হ্রাস পায়। এর পর মন্দির নির্মাণের গুরুত্ব বিজেপির এজেন্ডায় হ্রাস পায়।{{sfn|Seshia|1998|pp=1036-1050}} এনডিএ সরকারে শিক্ষানীতিতে [[ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল অ্যান্ড ট্রেনিং]]-এর (এনসিইআরটি) সংস্কার ওভারতীয় স্কুলগুলির পাঠ্যপুস্তক সংস্কার গুরুত্ব পেয়েছে।{{sfn|Sen|2005|p=63}} বিভিন্ন গবেষক এই সংস্কারকে, বিশেষত ইতিহাস পাঠ্যপুস্তক সংস্কারকে ভারতীয় ইতিহাসের ‘গৈরিকীকরণ’ আখ্যা দিয়েছেন।{{sfn|Sen|2005|p=63}}{{sfn|International Religious Freedom Report|2005}}{{sfn|The Hindu|2002}}{{sfn|Davies|2005}} বিভিন্ন অগ্রণী বিজ্ঞানীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এনফিএ সরকার [[বৈদিক জ্যোতিষ|বৈদিক জ্যোতিষকে]] কলেজ পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করেছিল।{{sfn|BBC|January|2014}}
বিজেপি কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে ‘ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষতা’ আখ্যা দিয়ে ‘ইতিবাচক ধর্মনিরপেক্ষতা’র কথা প্রচার করে।{{sfn|Seshia|1998|pp=1036-1050}} অটলবিহারী বাজপেয়ী [[মহাত্মা গান্ধী|মহাত্মা গান্ধীর]] ‘সর্বধর্ম-সম্ভব’ আদর্শটিকে [[ধর্মনিরপেক্ষতা|ইউরোপীয় ধর্মনিরপেক্ষতার]] বিপরীতে স্থাপন করেছেন।{{sfn|Fitzgerald|2011|pp=67-68}} অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতে [[ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা|ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতার]] অর্থ
বিজেপি [[বাংলাদেশ]] থেকে [[ভারতে বেআইনি অনুপ্রবেশ|ভারতে বেআইনি অনুপ্রবেশের]] বিরোধী।{{sfn|Gillan|2002|pp=73-95}} বিজেপির মতে মূলত [[অসম]] ও [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যে এই ধরনের বেআইনি অনুপ্রবেশ দেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও স্থায়িত্বের প্রতি ক্ষতিকারক।{{sfn|Gillan|2002|pp=73-95}} গবেষকেরা দেখিয়েছেন, বিজেপি বাংলাদেশ থেকে হিন্দু অনুপ্রবেশকারীদের শরণার্থী এবং মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দেয়।{{sfn|Gillan|2002|pp=73-95}} গবেষক মাইকেল গিলানের মতে, এর মাধ্যমে বিজেপি যে সব অঞ্চলে দল ঐতিহাসিকভাবে সফল নয়, সেই সব অঞ্চলে হিন্দু আবেগকে কাজে লাগাতে চায়।{{sfn|Gillan|2002|pp=73-95}}{{sfn|Ramachandran|2003}}
২৪২ নং লাইন:
* [[ভারতীয় মজদুর সংঘ]], আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক সংগঠন।{{sfn|Swain|2001|pp=71-104}}
দলের অন্যান্য সংগঠনগুলির দলের নিজস্ব। এগুলি
* [[বিজেপি মহিলা মোর্চা]], দলের মহিলা শাখা।{{sfn|Swain|2001|pp=71-104}}
* [[ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা]], দলের যুব শাখা।{{sfn|Swain|2001|pp=71-104}}
|