নদিয়া রাজপরিবার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
en:Nadia Raj থেকে অনূদিত
 
ইতিহাস যোগ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৪ নং লাইন:
|deadurl=no |accessdate=17 March 2014
}}</ref>
 
== বংশ ইতিহাস ==
নদীয়া রাজবংশের আদি পুরুষ ভবানন্দ মজুমদার তিনি এই রাজবংশের সূচনা করেন। তাঁর বংশধররা 'রাজা' উপাধি ধারণ করে ব্রিটিশ শাসনের প্রতিষ্ঠাকাল পর্যন্ত নদীয়া শাসন করেন। জানা যায়, বঙ্গের শেষ স্বাধীন বাঙ্গালী রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজধানীতে প্রবেশের গুপ্ত পথ দেখিয়ে এবং প্রয়োজনীয় রসদ দিয়ে তিনি দিল্লির শাসক জাহাঙ্গীর এর সেনাপতি মানসিংহকে সাহায্য করেছিলেন তাই জাহাঙ্গীর তাঁর এই কাজে খুশি হয়ে ১৬০৬ খ্রিস্টাব্দে ভবানন্দকে ১৪ টি পরগনা সনদসূত্রে দেন। ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন বাংলার নবাব ইসমাইল খাঁ ভবানন্দের বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার স্বীকৃতি স্বরুপ তাঁকে কানুনগো পদে নিযুক্ত করেন এমনকি দিল্লীর সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে তাঁর জন্য সনদ ও মজুমদার উপাধি এনে দেন।
 
ভবানন্দ নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাটিয়ারিতে নদীয়ারাজের রাজধানী স্থাপন করেছিলেন পরবর্তীতে নদীয়ারাজ রুদ্র রায় তাঁর তৎকালীন নদীয়া রাজ্যের মধ্যবর্তী স্থানে নবদ্বীপ ও শান্তিপুরের নিকট জনপদ 'রেউই ' গ্রামে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। রেউই এর পরে নাম হয় কৃষ্ণনগর। রাজা রুদ্র রায় অনেক জনহিতকর কাজ করেছিলেন দিল্লীর সম্রাট ঔরঙ্গজেব তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে, তাঁকে কয়েকটি পরগনা দান করেন তিনিই প্রথম স্থপতিদের এনে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির কাছারি, কেল্লা, পূজোর দালান, নাচঘর, চক, নহবৎখানা প্রভৃতি নির্মাণ করেন। নদীয়ার রাজবংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় | মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৭২৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি রাজা হন। তাঁর রাজত্বকালে রাজ্যে বিস্তার ঘটে ও ববিপুল সমৃদ্ধি ঘটে। তাঁর রাজত্ব কাল নানা ঘটনায় পূর্ণ। পলাশীর যুদ্ধ, ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ,বর্গী হামলা ইত্যাদি তারই আমলে হয়, শিক্ষা, সসংস্কৃতি, সাহিত্য সংগীতের বিকাশ ঘটেছিল। ববিভিন্ন পপ্রতিভাবান মানুষ ততার পপৃষ্ঠপোষকতায় রাজসভা অঅলংকৃত করেন। সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম কৃষ্ণচন্দ্র কে প্রথম ' মহারাজা ' ও পরে ' মহারাজেন্দ্র বাহাদুর ' উপাধিতে ভূষিত করেন।
 
==তথ্যসূত্র==