কর্ণসুবর্ণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান সংশোধন
তথ্য ও সূত্র যোগ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{Unreferenced|date=মার্চ ২০১০}}
[[চিত্র:karnasubarna_debaditya_chatterjee.jpg|thumb|রক্তামিরতিকা বিহার, কর্ণসুবর্ণ]]
'''কর্ণসুবর্ণ''' (''কানসোনা'') ছিল [[বাংলা|বাংলার]] প্রথম স্বাধীন শাসক [[শশাঙ্ক|শশাঙ্কের]] রাজধানী। [[চৈনিক]] তীর্থ যাত্রী [[হিউয়েন-সাং]]-এর ভ্রমণ বৃত্তান্ত জিউ জি-তে কিলোনসুফলন হিসেবে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। তীর্থ যাত্রীর বিবরণ অনুযায়ী তিনি তান-মো-লি-তি (তাম্রলিপ্তি) থেকে কিলোনসুফলন (কর্ণসুবর্ণ) পৌছেন। এ রাজধানীর নিকটেই ছিল লো-তো-মি-ছি মঠটি। প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত রাজবাড়িডাঙ্গার ([[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিম বাংলার]] [[মুর্শিদাবাদ জেলা|মুর্শিদাবাদ জেলার]] সদর সাবডিভিশনের চিরুটি স্টশনের নিকবর্তী যদুপুর গ্রাম) মঠের সাথে লো-তো-মি-ছি (রক্তমৃত্তিকা)-র শনাক্তীকরণের জোরালো ভিত্তির বলে এখন যথার্থভাবেই বলা যায় যে, খননকৃত প্রত্নস্থলের নিকটে ছিল কর্ণসুবর্ণ। রাক্ষসীডাঙ্গার ধ্বংসস্তূপ খননে আনুমানিক সপ্তম শতকের বৌদ্ধ বিহারের ভিত্তিচিহ্ন পাওয়া গেছে, স্থানীয়ভাবে এটি রাজা কর্ণ-এর প্রাসাদ নামে পরিচিত। তবে নদীপ্রবাহ বা ভাঙ্গনের ফলে অনেক চিহ্ন মুছে গেছে<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=বাঙালীর ইতিহাস|last=নীহাররঞ্জন রায়|first=আদি পর্ব|publisher=দেজ পাবলিশিং|year=১৪০০|isbn=|location=কলকাতা|pages=২৯৮}}</ref>। উৎকীর্ণ লিপিসহ পোড়ামাটির ফলকের আবিষ্কার ও এতে রক্তমৃত্তিকা মহাবিহার নামের উল্লেখ এর শনাক্তকরণের সকল দ্বিধাদ্বন্দ্বকে দূর করে দিয়েছে।
 
হিউয়েন-সাং আমাদেরকে কর্ণসুবর্ণের একটি স্কষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন। এর সাহায্যে আমরা এর অবস্থান ও মানুষ সম্বন্ধে জানতে পারি। তাঁর মতে, দেশটি ছিল বেশ জনবহুল ও এখানকার মানুষ ছিল বেশ ধনী। এলাকাটি ছিল নিচু ও স্যাঁতসেতে। নিয়মিত চাষাবাস হতো, ফুল ও ফলের প্রাচুর্যতা ছিল এবং এখানকার আবহাওয়া ছিল নাতিশীতোষ্ণ। এখানকার জনগণ উন্নত চরিত্রের অধিকারী ছিলেন এবং তারা ছিলেন শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক। তাঁর এ বর্ণনায় দেশটির সমৃদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়।