মতিউর রহমান (বীরশ্রেষ্ঠ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Afifa Afrin (আলোচনা | অবদান)
Afifa Afrin (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৪ নং লাইন:
}}
 
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট '''মতিউর রহমান''' ([[২৯শে অক্টোবর]], [[১৯৪১]]—[[২০শে আগস্ট]], [[১৯৭১]]) একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] মুক্তিযোদ্ধা। তিনি [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে]] শহীদ হন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে সর্বোচ্চ সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম। <ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-20/news/314606 দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ১৮-১২-২০১২]</ref>তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দিতে টি-33(কোড নাম ব্লু বার্ড<ref name="bangladeshcontinual.blogspot.com.au">http://bangladeshcontinual.blogspot.com.au/2011/07/bir-sreshtho-matiur-rahman.html</ref>) নামে বিমান ছিনিয়ে নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন। বিমানটি নিয়ে ২১ বছর বয়সী পাইলট রশীদ মিনহাস দ্বিতীয় বারের মত একক উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় মতিউর রহমান রানওয়েতে বিমানের ককপিটে চড়ে বসেন এবং রশীদ মিনহাসকে আক্রমন করে অচেতন করে ফেলেন। এরপর বিমানটি নিয়ে বাংলাদেশের অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। প্রায় ভারতের সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া অবস্থায় রশিদ মিনহাস জ্ঞান ফিরে পান এবং বিমানটির নিয়ন্ত্রন নিতে চেষ্টা করেন। দুজনেই বিমানের নিয়ন্ত্রন নিতে সংগ্রাম করছিলেন। রশীদ মিনহাস বিমানের উপরের আচ্ছাদন খুলে দেন,যেহেতু মতিউর রহমান ভালোভাবে বিমানে বন্ধনীযুক্ত অবস্থায় ছিলেন না তিনি ককপিটে ছিটকে পরেন। বিমানটি অনেক নিচুতে চলছিলো, একসময় ক্রাশ করে এবং মতিউর রহমান মৃত্যু বরণ করেন। মতিউর রহমানের এই সাহসী ভূমিকার জন্য তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত হন।<ref name=BBC>{{cite news |date=25 June 2006 |title=Bangladesh 'war hero' goes home |url=http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/5112868.stm |work=BBC News |access-date=18 June 2015}}</ref>
 
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
৩৫ নং লাইন:
== যেভাবে শহীদ হলেন ==
 
[[মার্চ ২৫|২৫ মার্চের]] ঘটনায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হন। পরে তিনি দৌলতকান্দিতে জনসভা করেন এবং বিরাট মিছিল নিয়ে ভৈরব বাজারে যান। পাক-সৈন্যরা ভৈরব আক্রমণ করলে বেঙ্গল রেজিমেন্টে ই,পি,আর-এর সঙ্গে থেকে প্রতিরোধ বুহ্য তৈরি করেন। এর পরই কর্মস্থলে ফিরে গিয়ে জঙ্গি বিমান দখল এবং সেটা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ২০ই আগস্ট সকালে করাচির মৌরিপুর বিমান ঘাঁটিতে তারই এক ছাত্র রশীদ মিনহাজের কাছ থেকে একটি প্রশিক্ষণ বিমান ছিনতাই করেন। কিন্তু রশীদ এ ঘটনা কন্ট্রোল টাওয়ারে জানিয়ে দিলে, অপর চারটি জঙ্গি বিমান মতিউরের বিমানকে ধাওয়া করে। রশীদ চাইছিলেন, মতিউর রহমানের বিমান ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা সফল হওয়ার চাইতে প্লেনটি ক্রাশ করা ভালো । <ref name=BBC/> এ সময় রশীদের সাথে মতিউরের ধ্বস্তাধস্তি চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রশীদ ইজেক্ট সুইচ চাপলে মতিউর বিমান থেকে ছিটকে পড়েন এবং বিমান উড্ডয়নের উচ্চতা কম থাকায় রশীদ সহ বিমানটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে থাট্টা এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। মতিউরের সাথে প্যারাসুট না থাকাতে তিনি নিহত হন। তাঁর মৃতদেহ ঘটনাস্থল হতে প্রায় আধ মাইল দূরে পাওয়া যায়। রশীদকে পাকিস্তান সরকার সম্মানসূচক খেতাব দান করে। প্রসঙ্গতঃ একই ঘটনায় দুই বিপরীত ভূমিকার জন্য দুইজনকে তাদের দেশের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক খেতাব প্রদানের এমন ঘটনা বিরল। মতিউরকে করাচির মাসরুর বেসের চতুর্থ শ্রেণীর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
 
==সমাধি স্থানান্তর==