তালেবান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+
বিষয়বস্তু পরিবর্ধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২২ নং লাইন:
পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তালিবানরা আফগান রাজধানী [[কাবুল|কাবুলে]] ক্ষমতাসীন ছিল। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে মাত্র তিনটি দেশ তাদেরকে স্বীকৃত দিয়েছিল: [[পাকিস্তান]], [[সৌদি আরব]] এবং [[সংযুক্ত আরব আমিরাত]]। মানবাধিকার লংঘনের জন্য আফগানিস্তান [[জাতিসংঘ|জাতিসংঘের]] স্বীকৃতি হারিয়েছিল এবং [[ইরান]], [[ভারত]], [[তুরস্ক]], [[রাশিয়া]], [[যুক্তরাষ্ট্র]] ও মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ দেশ তালিবান শাসনের বিরোধিতা করেছিল এবং তালিবান বিরোধী আফগান নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সাহায্য করেছিল।
 
ক্ষমতায় থাকার সময় তালিবানরা এযাবৎ কালের সবচেয়ে কঠোর মুসলিম শরিয়াহ্‌ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। নারীদের প্রতি বিরূপ আচরণের জন্য তারা আন্তর্জাতিক মহলে অনেক নিন্দিত হয়েছিল। নারীদের [[বোরকা]] পরতে বাধ্য করা হতো, আট বছর বয়সের পর তাদেরকে চাকরি বা শিক্ষা লাভ করতে দেয়া হতো না। যারা পড়তে চাইতো তাদেরকে ভূগর্ভস্থ বিদ্যালয়ে পাঠানো হতো এবং কারও সাথে অনৈসলামিক অবস্থায় ধরা পড়লে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো। পুরুষ ডাক্তাররা তাদেরকে চিকিৎসা করতে পারতো না। একান্তই করাতে হলে, সাথে করে কোন পুরুষ আত্মীয় বা স্বামী নিয়ে আসতে হতো। বিধবা কারণেইঅথবা অনেকেইতালাকপ্রাপ্তা নারীদের কোনো সাবালক ছেলে সন্তান না থাকলে, তারা কোনো আত্মীয়ের বাড়িতেও সাহায্যের জন্য যেতে পারত না, তাই তারা বিনা চিকিৎসায় কষ্টভোগকষ্ট ভোগী হয়ে থাকত, যেহেতু তারা একা চিকিৎসকের কাছে যেতে পারত না।যেসব বিধবাদের ছেলে সন্তান ছিল না, তারা ঘরের বাইরে যেতে পারত না বলে না খেয়ে মারা যেত। নারীদের জীবন ঘরের ভিতরে জন্ম নিয়ে ঘরের অন্ধকারেই শেষ হয়ে যেত। এই পৃথিবীতে আলো নামে যে কোনো জিনিস আছে তা তারা জানতোই না।পুরুষেরা নারীকে পশুর চেয়েও নিচে ভাবত। নারী নির্যাতন এসময় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। একসময় আফগানরা বুঝতে পারে যে, শরীয়াহ নামক ৭ম শতাব্দীতে বেড়ে ওঠা বস্তুটি কত করতো।ভয়াবহ। পুরুষ-নারী সবাইকেই তালিবান আইন ভঙ্গ করার জন্য কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হতো।
 
== পতাকা ==