বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
৩৬ নং লাইন:
[[১৯৭১]] সালের [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|স্বাধীনতা যুদ্ধে]] ব্যবহৃত পতাকার উপর ভিত্তি করে এই পতাকা নির্ধারণ করা হয়, তখন মধ্যের লাল বৃত্তে বাংলাদেশের [[মানচিত্র]] ছিল, পরবর্তীতে পতাকাকে সহজ করতেই, মানচিত্রটি বাদ দেয়া হয়। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, [[জাপান|জাপানের]] জাতীয় পতাকার সাথে মিল রয়েছে, কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে বাংলাদেশের সবুজের স্থলে, জাপানীরা সাদা ব্যবহার করে। লাল বৃত্তটি একপাশে একটু চাপানো হয়েছে, পতাকা যখন উড়বে তখন যেন এটি পতাকার মাঝখানে দেখা যায়।
 
[[১৯৭০]] সালের [[জুন ৭|৭ জুন]] তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী [[ঢাকা|ঢাকার]] পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে [[শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের]] অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি ''জয়বাংলা'' বাহিনী, মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারী ১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। এই লক্ষ্যে [[১৯৭০]] সালের [[জুন ৬|৬ জুন]] [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[সার্জেন্ট জহুরূল হক হল|সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের]] (তৎকালীন ইকবাল হল) ১১৭ নং কক্ষে [[ছাত্রলীগ]] নেতা [[আ স ম আবদুর রব]], [[শাহজাহান সিরাজ]], [[কাজী আরেফ আহমদ]], মার্শাল মনিরুল ইসলাম পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, [[জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়|জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের]] (তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ) ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা [[শিবনারায়ন দাশ]], প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক [[হাসানুল হক ইনু]] ও ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাউদ্দিন আহমেদ।
 
সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করে সবার আলোচনার শেষে সবুজ জমিনের উপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কামরুল আলম খান (খসরু) তখন ঢাকা নিউ মার্কেটের এক বিহারী দর্জির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে আনেন; এরপর ইউসুফ সালাউদ্দিন আহমেদ ও হাসানুল হক ইনু প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কায়েদে আজম হল (বর্তমানে তিতুমীর হল)এর ৩১২ নং কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে মানচিত্রের বই নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকেন পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র। [[শিবনারায়ণ দাশ|ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাশ]] পরিশেষে তার নিপুন হাতে মানচিত্রটি লাল বৃত্তের মাঝে আঁকেন<ref>'আমাদের জাতীয় পতাকার ইতিহাস', দৈনিক আমাদের সময়, ডিসেম্বর ৩, ২০০৯</ref><ref>'সাক্ষাত্কার-ইউসুফ সালাহউদ্দিন আহমেদ', [https://www.youtube.com/watch?v=DqVjD44C9MU],২০১৪</ref><ref>'সাক্ষাত্কার-ইউসুফ সালাহউদ্দিন আহমেদ', [https://www.youtube.com/watch?v=FFFFA8obveo],২০১৪</ref>