আজারবাইজান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৬০ নং লাইন:
}}
 
'''আজারবাইজান''' ([[আজারবাইজানি ভাষা|আজারবাইজানি ভাষায়]]: Azərbaycan ''আজ়্যার্বায়জান্‌''), সরকারী নাম '''আজারবাইজান প্রজাতন্ত্র''' ([[আজারবাইজানি ভাষা|আজারবাইজানি ভাষায়]]: Azərbaycan Respublikası) [[পূর্বএশিয়া ইউরোপ|পূর্ব ইউরোপের]]মহাদেশের একটি প্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র। এটি [[কৃষ্ণ সাগর]] ও [[কাস্পিয়ান সাগর|কাস্পিয়ান সাগরের]] মধ্যবর্তী স্থলযোটক দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের সবচেয়ে পূর্বে অবস্থিত রাষ্ট্র। আয়তন ও জনসংখ্যার দিকে থেকে এটি ককেশীয় রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বৃহত্তম। দেশটির উত্তরে [[রাশিয়া]], পূর্বে কাস্পিয়ান সাগর, দক্ষিণে [[ইরান]], পশ্চিমে [[আর্মেনিয়া]], উত্তর-পশ্চিমে [[জর্জিয়া]]। এছাড়াও ছিটমহল [[নাখশিভানের]] মাধ্যমে [[তুরস্ক|তুরস্কের]] সাথে আজারবাইজানের একচিলতে সীমান্ত আছে। আর্মেনিয়ার পর্বতের একটি সরু সারি নাখশিভান ও আজারবাইজানকে পৃথক করেছে। আজারবাইজানের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে আর্মেনীয়-অধ্যুষিত এলাকা [[নাগোর্নো-কারাবাখ|নাগোর্নো-কারাবাখের]] আনুগত্য বিতর্কিত। কাস্পিয়ান সাগরে অবস্থিত অনেকগুলি দ্বীপও আজারবাইজানের অন্তর্ভুক্ত। আজারবাইজানের রাষ্ট্রভাষা [[আজারবাইজানি ভাষা|আজারবাইজানি]]। এখানে মূলত [[শিয়া]] মুসলিম ধর্মাবলম্বী [[আজেরি জাতি|আজেরি জাতির]] লোকদের বাস। কাস্পিয়ান সাগরতীরে অবস্থিত বন্দর শহর [[বাকু]] আজারবাইজানের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
 
[[১৮শ শতক|১৮শ]] ও [[১৯শ শতক|১৯শ শতকে]] ককেশীয় এই দেশটি পর্যায়ক্রমে রুশ ও পারস্যদেশের শাসনাধীন ছিল। [[রুশ গৃহযুদ্ধ|রুশ গৃহযুদ্ধকালীন]] সময়ে [[১৯১৮]] সালের [[২৮শে মে]] তৎকালীন আজারবাইজানের উত্তর অংশটি একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। কিন্তু মাত্র ২ বছরের মাথায় [[১৯২০]] সালে [[বলশেভিক]] লাল সেনারা এটি আক্রমণ করে আবার রুশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং [[১৯২২]] সালে দেশটি আন্তঃককেশীয় সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অংশ হিসেবে [[সোভিয়েত ইউনিয়ন|সোভিয়েত ইউনিয়নের]] অন্তর্ভুক্ত হয়। [[১৯৩৬]] সালে আন্তঃককেশীয় সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রটি ভেঙে তিনটি আলাদা প্রজাতন্ত্র আজারবাইজান, [[জর্জিয়া]] ও [[আর্মেনিয়া|আর্মেনিয়াতে]] ভেঙে দেওয়া হয়। তখন থেকেই আজারবাইজানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকার খ্রিস্টান আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব্বের সূত্রপাত। নাগোর্নো-কারাবাখের জনগণ আর্মেনিয়ার সাথে একত্রিত হতে চায়। [[১৯৯১]] সালের [[২০শে অক্টোবর]] আজারবাইজান স্বাধীনতা লাভ করলে এই দ্বন্দ্ব্ব সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়। ফলে নতুনভাবে স্বাধীন দেশটির প্রথম বছরগুলি রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক অবনতি, এবং নাগোর্নো-কারাবাখের যুদ্ধে অতীবাহিত হয়। [[১৯৯৪]] সালের মে মাসে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনীয়রা যুদ্ধে ক্ষান্ত দেয়। এখনও নাগোর্নো-কারাবাখ ও আরও ৭টি আজারবাইজানি জেলা আর্মেনীয়দের সামরিক নিয়ন্ত্রণে আছে। [[১৯৯৫]] সালে আজারবাইজানে প্রথম আইনসভা নির্বাচন অণুষ্ঠিত হয় এবং ঐ বছরই সোভিয়েত-উত্তর নতুন সংবিধান পাস করা হয়।
৬৬ নং লাইন:
আজারবাইজানের বাকু তেলক্ষেত্রগুলি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেলক্ষেত্রগুলির মধ্যে অন্যতম। কিন্তু দুর্নীতি, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধ এবং দুর্বল সরকারের কারণে দেশটি খনিজ সম্পদ থেকে সম্ভাব্য মুনাফা অর্জনে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
 
== রাজনীতিঃ- ==
== রাজনীতি ==
'''আজারবাইজানে রাজনীতি'''-র ভিত্তি একটি রাষ্ট্রপতিশাসিত প্রজাতন্ত্র, যেখানে আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রপ্রধান, এবং প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারপ্রধান। নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে, আইন প্রণয়ন ক্ষমতা সরকার ও সংসদ উভয়ের হাতে ন্যস্ত। বিচার বিভাগ স্বাধীন।
 
== প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ==
== ভূগোলভূগোলঃ- ==
আজারবাইজান [[ইউরেশিয়া|ইউরেশিয়ার]] [[ককেশাস]] অঞ্চলে অবস্থিত। এই দেশটির ভূগোলে তিনটি মূল বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়:
* [[কাস্পিয়ান সাগর]], যার তটরেখা দেশটির পূর্বে একটি প্রাকৃতিক সীমানা সৃষ্টি করেছে।
৭৮ নং লাইন:
আজারবাইজান মোটামুটি [[পর্তুগাল]] বা মার্কিন অঙ্গরাজ্য [[মেইন]]-এর সম-আয়তনবিশিষ্ট। দেশটির আয়তন প্রায় ৮৬,৬০০ বর্গকিলোমিটার।
 
== অর্থনীতিঃ- ==
== অর্থনীতি ==
আজারবাইজানের অর্থনীতি বর্তমানে একটি সন্ধি পর্যায়ে বিদ্যমান, যেখানে সরকার এখনও একটি প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে চলেছে। আজারবাইজানে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ তেলের ভাণ্ডার। বৈচিত্র‌্যময় জলবায়ু অঞ্চলের উপস্থিতির কারণে দেশটির কৃষি খাতের উন্নতির সম্ভাবনাও প্রচুর। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের সহযোগিতায় আজারবাইজান একটি সফল অর্থনৈতিক সুস্থিতিকরণ প্রকল্প হাতে নেয়, যার ফলশ্রুতিতে ২০০০ সাল থেকে দেশটির অর্থনীতি ১০% হারে প্রবৃদ্ধি লাভ করে চলেছে। ২০০৭ সালে আজারবাইজানের স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন প্রায় ২৫% বৃদ্ধি পায়। মূলত তেল খাতই এই প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। ২০০৭ সালের স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (GDP) ৫২.৮% খনিজ তেল খাত থেকে আসে।
 
আজারবাইজানের মুদ্রার নাম মানাত।
 
== জনসংখ্যাঃ- ==
== জনসংখ্যা ==
আজারবাইজানে প্রায় ৯৬ লক্ষ ২৪ হাজার ৯০০ লোকের বাস। এদের মধ্যে ৯৫% লোক জাতিগতভাবে আজারবাইজানি। অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতির লোকের মধ্যে লেজগীয়, রুশ, আর্মেনীয় ও তালিশ জাতির লোক প্রধান। ইসলাম ধর্ম (মূলত শিয়া) আজারবাইজানিদের প্রধান ধর্ম। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৬৬%।
 
== সংস্কৃতি ==