ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
২৫ নং লাইন:
 
== রবীন্দ্রনাথ-ওকাম্পো সম্পর্ক ==
১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে [[নোবেল পুরস্কার]] পাওয়ার পর ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে [[গীতাঞ্জলি]] ফরাসি ভাষায় অনুদিত হয় এবং সেই অনুবাদ পড়েই ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো রবীন্দ্রনাথের অনুরাগী হয়ে পড়েন। । ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে [[পেরু]] এবং [[মেক্সিকো]] ভ্রমণের পথে অসুস্থ হয়ে পড়লে কবি [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] আর্জেন্টিনায় যাত্রা বিরতি করেন এবং সান ইসিদ্রোতে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর আতিথ্যে বিশ্রাম গ্রহণ করেছিলেন। ওকাম্পোর এই বাড়ীতে প্রায় ২ মাস ছিলেন ঠাকুর এবং ৩০টি কবিতা রচনা করেন এ সময়। ঠাকুর তাঁকে "বিজয়া বলে সম্বোধন করতেন, এবং ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ''পূরবী'' কাব্যগ্রন্থটি তাঁকে উৎসর্গ করেন।<ref>[http://www.parabaas.com/rabindranath/articles/pKetaki1.html On the Trail of Rabindranath Tagore and Victoria Ocampo; Ketaki Kushari Dyson]</ref>। ওকাম্পোর বাসায় পূরবীর পান্ডুলিপিতে বিচিত্র কাটাকুটিতে উৎসাহ প্রদান এবং সেখান থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ বয়সে 'চিত্রকর রবীন্দ্রনাথ' হয়ে ওঠার পেছনেও ওকাম্পোর বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করা হয়<ref>[http://arts.bdnews24.com/?p=6075 ওকাম্পো আর রবীন্দ্রনাথ : কিছু অশ্রুত গুঞ্জন, অভিজিৎ রায়, বিডিআর্টস২৪]</ref>। ১৯৩০ সালে প্যারিসে রবীন্দ্রনাথের প্রথম চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজনে উদ্যোগী ভুমিকা পালন করেন ভিক্টোরিয়া<ref>[http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=42608 ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো: এক রবি-বিদেশিনীর খোঁজে, অভিজিৎ রায়, মুক্তমনা]</ref>। সেই ছিল তাঁদের দ্বিতীয় ও শেষ দেখা। ১৯৪১ সালে রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুবরণ করেন। ওকাম্পো মারা যান ১৯৭৯ সালে। কিন্তু আমৃত্যু তাঁদের দুজনের মধ্যে উষ্ণ, আন্তরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সেই সম্পর্কটি ছিল, চলেছে চিঠি চালাচালি। <ref name="archive.prothom-alo.com">[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2011-12-26/news/211723 রবীন্দ্রনাথ-ভিক্টোরিয়ার ‘সম্পর্ক’ নিয়ে চলচ্চিত্র]</ref>।
 
=== থিংকিং অব হিম ===
৩২ নং লাইন:
 
== ভিলা ওকাম্পো ==
১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে জাহাজে [[পেরু]] গমনের সময় অসুস্থ হয়ে আজেন্টিনায় ভিক্তোরিয়া ওকাম্পোর 'মিরালরিও' নামের বাড়ীতে বেশ কিছু দিন অবস্থান করেনরবীন্দ্রনাথ। এসময় দিনের বেলা সচরাচর আরেকটি বাড়ী 'ভিলা ওকাম্পো'-তে অবস্থান করতেন। এ বাড়িতে অতিথি হয়েছেন বহু বিখ্যাত ব্যাক্তি।ব্যক্তি। ওকাম্পো বাড়িটি লাভ করেছিলেন পৈতৃক সূত্রে। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে ভিক্তোরিয়ার বাবা মানুয়েল ওকাম্পো নিজেই বাড়িটির নকশা করেছিলেন। তিনি ছিরেন পেশায় স্থপতি। আজেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেস থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরের সান ইসিদ্রো। সেখানেই এই দুটি বাড়ী। সেখানেই এল অরতোন্দো সড়কে ভিলা ওকাম্পো, ১৮৩৭ নম্বর বাড়ী।
 
সামনের বাগানটি ১১ হাজার বর্গমিটার আয়তনের। একতলায় খাওয়ার ঘর, বসার ঘর, নানা রকম বই, আর সুর ম্যাগাজিনের পুরোনো সংখ্যা দেয়ালে। অসম্ভব সুন্দর পুরোনো চিত্রকর্ম টাঙানো। বাড়িটির গ্রন্থাগারে প্রায় ১২ হাজারের মতো এস্পানিয়োল, ইংরেজি ও ফরাসি বই আছে। সেই সঙ্গে আছে সুর পত্রিকার পুরোনো সব সংখ্যা। আরও আছে ভিক্তোরিয়ার লেখা পাণ্ডুলিপি, চিঠি ইত্যাদি। ভিলা ওকাম্পোতে নানা সময়ে এসেছিলেন হোর্হে লুইস বোর্হেস, আলব্যের কামু, অক্তাভিয়ো পাজ, ইন্দিরা গান্ধীসহ আরও বহু গুণীজন। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত এটি ভিক্তোরিয়ার ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছিল। আর্জেন্টিনায় ক্ষমতায় সে সময় পেরোনের ফ্যাসিবাদী সরকার।