আবদুল মান্নান সৈয়দ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
৩২ নং লাইন:
বলা হয়েছে এদেশে তাঁর মতো পরিশ্রমী লেখক নেই। যে কোন লেখার মধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন। প্রচণ্ড তোলপাড় করা শক্তি নিয়ে বাংলা সাহিত্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি। বাংলা কবিতায় কবিতায় তিনি যুক্ত করেছিলেন পরাবাস্তববাদী দিগণ্ত। তাঁর উদ্ভাবনী শক্তি ও ব্যঞ্জনা সৃষ্টি তাঁর ভাষাকে করে তুলেছে ব্যতিক্রমী। মহাসমর পরর্তীকালে দুই বাংলাতেই তাঁর মতো সাহিত্যসমালোচক খুঁজে পাওয়া যায় দোষ্কর। বিশ্বসাহিত্য সম্পর্কে ছিল তাঁর অগাধ ধারণা। সমসাময়িককালে তাঁর মতো বড় মাপের লেখক দেখা যায় না। কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও কবিতায় তাঁর সৃজনশীলতা অসাধারণ।<ref name="202.79.16.19"/> সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় প্রচৃর কাজ করলেও ভগ্নস্বাস্থ্য উপেক্ষা করে তিনি আরো কাজ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "মাইকেল সম্পর্কে, বঙ্কিমের উপন্যাস সম্পর্কে আমার লেখার ইচ্ছা আছে। ফররুখ আহমেদ একজন বিরাট লেখক। আমার একটা আক্ষেপে, এত বড় কবি জসীমউদ্দীন, তাঁর ওপর আমি কোনো কাজ করিনি। জীবনানন্দকে নিয়ে আমি যে কাজটা করেছি, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও সে রকম কাজ করা আমার উচিত ছিল।"<ref name="banglanews24.org">[http://www.banglanews24.org/newlocation/bangla/detailsnews.php?nssl=a4b4a777d704346280fc18fc9ca1d6b1&nttl=201009067536 আবদুল মান্নান সৈয়দ: অতৃপ্ত ও অস্তিত্ববাদীর প্রস্থান]</ref> তাঁর আত্মজৈবণিক লেখার মধ্যে বিষাদের সুর পরিলক্ষিত হয়। যে তুলনারহিত সৃজনশক্তির স্বাক্ষর তিনি রেখে গেছেন তার মূল্য জীবদ্দশায় যথাযথভাবে স্বীকৃত হয় নি। স্বীয় বিশ্বাসে রাজনৈতিক ঔদার্য়ের কারণে তাঁকে প্রায়শ: রাষ্ট্রীয় উপেক্ষার শিকার হতে হয়েছে।
 
মান্নান সৈয়দ ছিলে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম "পোয়েট ইন রেসিডেন্স"। তাঁকে স্কলার-ইন-রেসিডেন্স পদমর্যাদায় নিয়োগ করে জাতিয়জাতীয় কবি [[কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল ইসলামের]] সংগ্রামী জীবনকে গ্রোথিত করে পূর্ণাঙ্গ নজরুলজীবনী রচনার দায়িত্ব দেয়া হয়।<ref name="dailykalerkantho.com"/>
 
=== কবিতা ===
৬৪ নং লাইন:
 
== মৃত্যু ==
দীর্ঘদিন তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। ২৭ আগষ্ট ২০১০ [[চ্যানেল আই]] নামক টেলিভিশনে আয়োজিত একটি আলোচনা অণুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। নিকটস্থ ঢাকা মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসা লাভ করেন তিনি।<ref>[http://www.banglanews24.org/newlocation/bangla/detailsnews.php?nssl=4eb0194ddf4d6c7a72dca4fd3149e92e&nttl=201009026574 টক শোতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ আবদুল মান্নান সৈয়দ]</ref> সেই থেকে বাসায়ই অবস্থান করছিলেন কবি। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ইফতারীর কিছু আগে ঘুমের ভিতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। বাসার অদূরে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে ডাক্তাররা তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে।<ref>[http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=135612&cid=2 আবদুল মান্নান সৈয়দ নেই]</ref><ref>[http://dailykalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=Islam&pub_no=277&menu_id=13&news_type_id=1&news_id=86824 অভিমান' নিয়েই চলে গেলেন কবি আবদুল মান্নান সৈয়দ ]</ref> তাঁর মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে সংরক্ষণ করা হয়। পরদিন ৬ আগস্ট তাঁর বাসস্থানের সন্নিকট গ্রীন রাড মসজিদে তাঁর প্রথম নামাজে [[জানাযা]] অণুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁর লাশ [[বাংলা একাডেমী|বাংলা একাডেমীতে]] নিয়ে যাওয়া হয় ; সেখানে নজরুল মঞ্চে রাখা হয় মরদেহ। এ সময় কবি-সাহিত্যিকসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। [[বাংলা একাডেমী]], [[নজরুল ইনস্টিটিউট]] ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এ সময় শ্রদ্ধা জানানো হয়। বেলা পৌনে ১২টায় এখানে মরহুমের দ্বিতীয় জানাযা অণুষ্ঠিত হয়। বাংলা একাডেমীতে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে যান কবি [[সৈয়দ শামসুল হক]], [[আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ]], সৈয়দ আনোয়ারা হক, [[বেলাল চৌধুরী]], [[আসাদ চৌধুরী]], [[রবিউল হুসাইন]], [[হাসান হাফিজ]], [[হাবিবুল্লাহ সিরাজী]], [[রেজাউদ্দিন স্টালিন]], রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, ম. হামিদ, [[আবদুল হাই শিকদার]], জাতিয়জাতীয় কবির নাতনি [[খিলখিল কাজী]] প্রমুখ।<ref name="ReferenceA"/>] তৃতীয় এবং সর্বশেষ নামাজে জানাযা অণুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জোহরের নামাজের অব্যবহিত পরে। সেখান থেকে তাঁর লাশ আজিমপুর গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সমাধিস্থ করা হয়। <ref>[http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=135679 চিরনিদ্রায় শায়িত আবদুল মান্নান সৈয়দ]</ref>
বলা হয়েছে, তাঁর মৃত্যুতে সমকালীন বাংলা সাহিত্য এক অপূরণীয় শূন্যতায় নিমজ্জিত হলো এবং এমন একটি সংকট তৈরী হলো যা দীর্ঘকাল ধ'রে অণুভূত হবে। <ref name="amardeshonline.com"/>