মেরুজ্যোতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বট বানান ঠিক করেছে |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন:
== আরোরা সৃষ্টির কারণ ==
[[সূর্য]] আমাদের থেকে প্রায় ৯৩ মিলিয়ন [[মাইল]] দূরে অবস্থিত। কিন্তু এর প্রভাব বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত।
যখন সূর্যের চার্জিত কণাগুলো আমাদের পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের অণু-পরমাণুকে আঘাত করে তখন সেই চার্জিত কণাগুলো বায়ুমন্ডলের অণু-পরমাণুগুলোকে আন্দোলিত করে এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
পরমাণু আন্দোলিত হওয়ার অর্থ হল এই যে, যেহেতু পরমাণু নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়াসকে আবর্তনকৃত ইলেক্ট্রন দ্বারা গঠিত তাই যখন সূর্য থেকে আগত চার্জিত কণা বায়ুমন্ডলের পরমাণুকে আঘাত করে তখন [[ইলেকট্রন|ইলেক্ট্রনগুলো]] উচ্চ শক্তিস্তরে (নিউক্লিয়াস থেকে আপেক্ষিকভাবে অনেকদূরে) ঘুরতে শুরু করে। তারপর যখন আবার কোনো ইলেক্ট্রন নিম্ন শক্তিস্তরে চলে আসে তখন সেটি ফোটন বা আলোতে পরিণত হয়।
আরোরাতে যা ঘটে তেমনটি ঘটে [[নিয়ন|নিয়নের]] বাতিতেও। নিয়ন টিউবের মধ্যে নিয়ন গ্যাসের পরমাণুগুলোকে আন্দোলিত করবার জন্য ব্যবহৃত হয় [[তড়িৎ|বিদ্যুৎ]]। তাই নিয়নের বাতিগুলো এরকম উচ্চ মানের রঙ্গিন আলো দেয়। আরোরাও ঠিক এভাবে কাজ করে-তবে এটি আরো বড় মাত্রায় হয়।
আরোরাগুলো মাঝে মাঝে আলোর পর্দার মতো দেখায়। তবে এরা গোলাকার অথবা সর্পিল বা বাঁকানোও হতে পারে।
আরোরা সাধারণত দেখা যায় দক্ষিণ ও উত্তরের দেশগুলোতে। [[কানাডা]], [[রাশিয়া]], [[অস্ট্রেলিয়া]], [[গ্রিনল্যান্ড|গ্রীনল্যান্ডের]] মতো
মানব ইতিহাস জুড়ে আরোরার রঙ গুলো রহস্যময়। বিভিন্ন মিথোলোজিতে বিভিন্ন [[কুসংস্কার]] উল্লেখ করা হয়েছে এই নিয়ে। তবে বিজ্ঞান বলেঃ আমাদের বায়ুমন্ডলের গ্যাসগুলোই হলো আরোরার বিভিন্ন রঙের কারণ।
উদাহরণঃ আরোরার সবুজ রঙের কারণ হলো [[অক্সিজেন]] আবার আরোরার লাল এবং নীল রঙের জন্য দায়ী হলো [[নাইট্রোজেন|নাইট্রোজেন গ্যাস]]।
|