নাগাসাকি প্রশাসনিক অঞ্চল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
অ বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে |
||
৩৩ নং লাইন:
মেইজি পুনর্গঠনের সময় হিযেন প্রদেশের পশ্চিমার্ধের সাথে দ্বীপ-প্রদেশ ৎসুশিমা ও ইকি-কে জুড়ে দিয়ে নাগাসাকি প্রশাসনিক অঞ্চল গঠন করা হয়।<ref>Nussbaum, "Provinces and prefectures" in {{Google books|p2QnPijAEmEC|p. 780|page=780}}.</ref> [[চীন]] ও [[কোরিয়া|কোরিয়ার]] সমীপবর্তী হিরাদো অঞ্চলটি বহুকাল ধরে বণিক ও জলদস্যু উভয়েরই ঘাঁটি হিসেবে গণ্য হয়ে এসেছে।
ষোড়শ শতাব্দীতে [[পর্তুগাল|পোর্তুগাল]] থেকে আগত ক্যাথলিক মিশনারি ও বণিকরা এখানে সক্রিয় হয়ে ওঠে। নাগাসাকি বৈদেশিক বাণিজ্যের মূল কেন্দ্রে পরিণত হয়। ওদা নোবুনাগার শাসনকালে মিশনারিরা অবাধ বিচরণের অধিকার পেলেও ক্রমে এই অধিকার খর্ব হতে হতে তোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের আমলে সাকোকু নামক জাতীয় বিচ্ছিন্নতাপরায়ণ নীতি অনুযায়ী জাপানে [[খ্রিষ্ট ধর্ম]] নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এই সময়ে জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্য শুধুমাত্র চীন ও নাগাসাকির দেজিমায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা ওলন্দাজ বণিকদের সাথে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। যদিও অলক্ষ্যে জাপানি খ্রিষ্টান বা “কিরিশিতান” সম্প্রদায়ের খ্রিষ্ট উপাসনা চলতে থাকে। আজ নাগাসাকিতে একটি সমৃদ্ধ চীনা বসতি রয়েছে,<ref>[http://www.nagasaki-chinatown.com/ ようこそ 長崎新地中華街へ
মেইজি পুনর্গঠনের সময় নাগাসাকি ও সাসেবো নগর ক্রমে মুখ্য বন্দর থেকে জাপান সাম্রাজ্যের নৌঘাঁটি হয়ে ওঠে। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] নাগাদ মিৎসুবিশি কোম্পানির ভারী শিল্পের কেন্দ্রও এখানে গড়ে ওঠে। ১৯৪৫ এর ৯ই আগস্ট [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] নাগাসাকিতে একটি [[হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমাবর্ষণ|পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ]] ঘটায়। এই বিস্ফোরণের স্থল থেকে চারদিকে এক মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে যত বাড়ি ছিল সবগুলি তৎক্ষণাৎ ধূলিসাৎ হয়ে যায় এবং নগরে এই সীমার বাইরের অংশেও প্রভূত ক্ষতিসাধন হয়। কমবেশি ৩৯,০০০ জনের প্রাণহানি হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন ২৭,৭৭৮ জন অস্ত্রনির্মাতা, ২০০০ কোরীয় বন্দী শ্রমিক এবং ১৫০ জন জাপানি সেনা। শিল্পাঞ্চলের ৬৮ থেকে ৮০% উৎপাদন ধ্বংস হয়ে যায়। এই ধাক্কা সামলে উঠতে সমগ্র নাগাসাকি প্রশাসনিক অঞ্চলের এক বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল।
|