ট্রেভর গডার্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি |
অধিনায়কত্ব - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি |
||
৭৪ নং লাইন:
ছয় ফুট দুই ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। ডারবানে টেক ক্লাবে খেলার সময় পেস বোলিংয়ের দিকে মনোনিবেশ ঘটান। এ সময় দলে [[Leslie Payn|লেস পেইনের]] ন্যায় বামহাতি স্পিন বোলার ছিল ও মিডিয়াম পেসার প্রয়োজন ছিল।<ref>Short, p. 15.</ref>
১৯৫২-৫৩ মৌসুমে ডারবানে অনুষ্ঠিত প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ট্রান্সভালের বিপক্ষে তাঁর অভিষেক ঘটে। ঐ খেলায় বোলিং উদ্বোধনে নামেন ও সাত নম্বরে ব্যাটিং করেছিলেন। তৃতীয় খেলায় ইস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ রানের মনোমুগ্ধকর সেঞ্চুরি করেন। ঐ মৌসুমে ৪৩.৩০ গড় ৪৩৩ রান ও ৩০.০০ গড়ে ১৮ উইকেট দখল করেন। পরের মৌসুমে নাটালের পক্ষে অধিনায়ক [[Jackie McGlew|জ্যাকি ম্যাকগ্লিউ’র]] সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। দ্বিতীয় খেলায় ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১৭৪ রানসহ বোলিং উদ্বোধন করে ৫/৭৩ পান। তিনি এ ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে [[Currie Cup (cricket)|কারি কাপ]] জয়ে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। ৫১.১১ গড় ৪৬০ রান, ১০ ক্যাচ ও ১৬.০০ গড়ে ৯ উইকেট তুলে নেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য মনোনীত হন।
নাটালের পক্ষে ফুটবলেও অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু, ১৯৫৪ সালে এ ক্রীড়া ছেড়ে দেন সম্ভবতঃ আঘাতকে এড়িয়ে ক্রিকেটে নিজস্ব অবস্থান পাকাপোক্ত করতে। এছাড়াও, দুই ক্রীড়ায় সম্পৃক্ততায় কর্তৃপক্ষের প্রশ্নবানকে এড়াতেই এটি করেছেন।<ref>Short, p. 18.</ref>
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
১৯৫৫ সালের ইংল্যান্ড সফরে ২৩ খেলায় অংশ নেন তিনি। ৩০.৬০ গড়ে ১১৬৩ রান ও ২১.৯০ গড়ে ৬০ উইকেট পান। পাঁচ টেস্টের ঐ সিরিজের সবগুলোতেই ব্যাটিং উদ্বোধন করেন ও দুই টেস্টে বোলিং উদ্বোধনে নামেন। ঐ সিরিজে বোলারদের দাপট পরিলক্ষিত হয়। তিনি ২১.১২ গড়ে ২৫ উইকেট ও ২৩.৫০ গড়ে ২৩৫ রান তোলেন। লিডসে অনুষ্ঠিত চতুর্থ টেস্টে দলের জয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। উভয় ইনিংসে যথাক্রমে ৯ ও ৭৪ রান করেন। তন্মধ্যে, ২০ রানে পিছিয়ে থেকে সোয়া চার ঘন্টায় ম্যাকগ্লিউ’র সাথে ১৭৬ রান সংগ্রহ করনে। এছাড়াও বল হাতে ২/৩৯ ও ৫/৬৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। শেষদিনে ১১:৩০ থেকে ৪:১২ ঘটিকায় খেলায় জয় পর্যন্ত অবিচ্ছিন্নভাবে বোলিং করতে থাকেন। খেলায় তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৬২-৩৭-৬৯-৫।<ref>[[Wisden]] 1956, pp. 250–51.</ref> এ সফর সম্পর্কে [[Norman Preston|নরম্যান প্রেস্টন]] লেখেন যে, ব্যাপক সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার হওয়া স্বত্ত্বেও তিনি অধিকাংশ সময়ই রক্ষণাত্মক ক্রিকেটার ছিলেন। যখন তিনি ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন ক্রিজকে রক্ষা করাই প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় এবং যখন বোলিংয়ে নামতনে তখন ক্রমাগত লেগ স্ট্যাম্প বরাবরে বোলিং করতেন।<ref>Norman Preston, "South Africans in England, 1955", [[Wisden]] 1956, p. 221.</ref>
== অধিনায়কত্ব ==
তারুণ্যে উজ্জীবিত দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে পাঁচ মাসের জন্য অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে নেতৃত্ব দেন। তন্মধ্যে, অস্ট্রেলিয়ার সাথে সিরিজে সমতা আনয়ণ করেন। এছাড়াও সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ধ্রুপদী সঠিকমানের বামহাতি উদ্বোধনী বামহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি।<ref name="cricpro" /> বামহাতি মিডিয়াম
ক্রিকেট সাংবাদিক টেলফোর্ড ভাইস গডার্ডকে দূর্লভ চকচকে, বুদ্ধিদীপ্ত ও উজ্জীবন শক্তির অধিকারী হিসেবে বর্ণনা করেন।<ref>[http://www.espncricinfo.com/magazine/content/story/439337.html "A meeting of past and present"]</ref> অন্যদিকে স্যার [[ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান]] তাঁকে পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাসযোগ্য ও সৎ খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি আরও বলেছেন যে, গডার্ড ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করে গেছেন ও চমৎকার নজির গড়েছেন।<ref>Graham Short, ''The Trevor Goddard Story'', Purfleet, Durban, 1965, p. 3.</ref>
সেপ্টেম্বর, ১৯৫৪ সালে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী জিনের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তাঁদের সংসারে দুই সন্তান জন্মগ্রহণ করে।<ref>Short, pp. 23–24.</ref>
== তথ্যসূত্র ==
|