আনিসুজ্জামান (অধ্যাপক): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
খালিদ সাইফ (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
খালিদ সাইফ (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪১ নং লাইন:
আনিসুজ্জামান ছিলেন [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা]] ও [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের]] কৃতী শিক্ষক। বাংলা একাডেমির বৃত্তি ছেড়ে দিয়ে আনিসুজ্জামান যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ২২ বছর। প্রথমে অ্যাডহক ভিত্তিতে চাকরি হলো তিন মাসের। কথা ছিল গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হলেই চাকরি শেষ হয়ে যাবে। চাকরি চলে যাওয়ার পর কয়েক মাস বেকার থাকলেন। তারপর পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের গবেষণা বৃত্তি পেলেন। এর কয়েক মাস পর অক্টোবর মাসে আবার যোগ দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায়। [[১৯৬২]] সালে তাঁর পিএইচডি হয়ে গেল। তাঁর পিএইচডির অভিসন্দর্ভের বিষয় ছিল 'ইংরেজ আমলের বাংলা সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের চিন্তাধারা ([[১৭৫৭]]-[[১৯১৮]])'। [[১৯৬৪]] সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন ডক্টরাল ফেলো হিসেবে বৃত্তি পেয়ে। [[১৯৬৯]] সালের জুন মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের রিডার হিসেবে যোগ দেন। [[১৯৭১]] সালের [[মার্চ ৩১|৩১ মার্চ]] পর্যন্ত তিনি [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়]] ক্যাম্পাসেই অবস্থান করেছিলেন। পরে ভারতে গিয়ে প্রথমে শরণার্থী শিক্ষকদের সংগঠন 'বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি'র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তারপর বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। [[১৯৭৪]]-[[১৯৭৫|৭৫]] সালে কমনওয়েলথ অ্যাকাডেমি স্টাফ ফেলো হিসেবে তিনি [[লন্ডন]] বিশ্ববিদ্যালয়ের [[স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ|স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে]] গবেষণা করেন। [[জাতিসংঘ]] বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা-প্রকল্পে অংশ নেন [[১৯৭৮]] থেকে [[১৯৮৩]] খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। [[১৯৮৫]] খ্রিস্টাব্দে তিনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন [[২০০৩]] খ্রিস্টাব্দে। পরে সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে আবার যুক্ত হন। তিনি [[মওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান স্টাডিজ]] (কলকাতা), [[প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়]] এবং [[নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে]] ভিজিটিং ফেলো ছিলেন। এছাড়াও তিনি [[নজরুল ইনস্টিটিউট]] ও [[বাংলা একাডেমি|বাংলা একাডেমির]] সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি শিল্পকলাবিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা ''[[যামিনী]]'' এবং বাংলা মাসিকপত্র ''কালি ও কলম''-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। [[১৯৬১]] খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তিনি প্রত্যক্ষভাবে [[১৯৭১]]-এর [[মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধে]] অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী [[তাজউদ্দীন আহমেদ|তাজউদ্দীন আহমদের]] সঙ্গে [[১৯৫০]] খ্রিস্টাব্দ থেকে তাঁর পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা। [[মুজিবনগর|মুজিবনগরে]] তিনি তাজউদ্দীনের বিচক্ষণ কর্মকাণ্ড সরেজমিনে কাছ থেকে দেখেছেন। জাতির জনক [[শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধুর]] সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মহান [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|ভাষা আন্দোলন]], রবীন্দ্র উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলন, রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী আন্দোলন এবং ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন।
 
== প্রকাশিত গ্রন্থাবলীগ্রন্থাবলি ==
=== গবেষণা গ্রন্থ ===
{{div col|2}}