হালাকু খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩৮ নং লাইন:
[[File:Khulug Khan's sige of Alamut.jpg|thumb|একটি মুঘল চিত্রকর্মে হালাকু খানের আলামুত অবরোধ।]]
 
হালাকু খানের ভাই মংকে খান ১২৫১ সালে প্রধান খানখাগান হন। ১২৫৫ সালে তিনি হালাকুকে দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার মুসলিম অঞ্চল জয়ের জন্য প্রেরণ করেন। হালাকু খানের অভিযানের সময় [[হাসাসিন|হাসাসিনদের]] ধ্বংস করা হয় এবং [[আব্বাসীয় খিলাফত|আব্বাসীয় খিলাফতের]] পতন হয়।<ref name= Amitai-Preiss >Amitai-Preiss, Reuven. ''The Mamluk-Ilkhanid War''</ref>
 
মংকে খানের আদেশে সাম্রাজ্যে দুই-দশমাংশ যোদ্ধা হালাকুর বাহিনীতে যোগ দেয়।<ref>Saunders 1971</ref> তিনি লুরদের পরাজিত করেন। [[আলামুত|আলামুতের]] হাসাসিনরা বিনাযুদ্ধে তার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল।
৫৯ নং লাইন:
এই অভিযানের ফলে আইয়ুবীয়রা ধ্বংস হয়ে যায়। শেষ আইয়ুবীয় সুলতান আন-নাসির ইউসুফকে হালাকু খান ১২৬০ সালে হত্যা করেন।<ref>Atlas des Croisades, p.108</ref> ফলে মুসলিম বিশ্বের ক্ষমতার কেন্দ্র কায়রোতে চলে যায়।
 
মামলুকদের সাথে লড়াই করার জন্য হালাকু খান ফিলিস্তিনের মধ্যে দিয়ে কায়রো যেতে মনস্থির করেন। তিনি মামলুক সুলতান কুতুজকে একটি চিঠি লিখে আত্মসমর্পণ করতে বলেন এবং না করলে বাগদাদের মত কায়রো ধ্বংস করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। তবে সেসময় মংকে খানের মৃত্যুর খবর পৌছার ফলে হালাকু খান নতুন প্রধান খানখাগান হিসেবে উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য মঙ্গোলিয়া ফিরে যান। এসময় তিনি কিতবুকার অধীনে প্রায় ২০,০০০ সৈনিক রেখে গিয়েছিলেন। সুলতান কুতুজ এরপর একটি বাহিনী নিয়ে ফিলিস্তিনের দিকে অগ্রসর হন। [[বাইবার্স]] এসময় তার সাথে যোগ দেন।
 
মঙ্গোলরা এসময় আক্কা কেন্দ্রিক ক্রুসেডার জেরুজালেম রাজ্যের অবশিষ্ট অংশের সাথে মিলে ফ্রাঙ্কিশ-মঙ্গোল জোট গঠন করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু পোপ চতুর্থ আলেক্সান্ডার এতে স্মমতি দেননি। এছাড়া সাইদার শাসক জুলিয়ানের কারণে কিতবুকার এক নাতির মৃত্যুর ফলে দুই পক্ষে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। রাগান্বিত হয়ে কিতবুকা সাইদা আক্রমণ করেন। আক্কার ব্যারনের সাথে মামলুক ও মঙ্গোল উভয় পক্ষ যোগাযোগ করে। মামলুকরা ফ্রাঙ্কদের পুরনো শত্রু হলেও ফ্রাঙ্করা মঙ্গোলদের সাথে হাত না মিলিয়ে মামলুকদেরকে ক্রুসেডার এলাকার মধ্য দিয়ে যাতায়াতের সুযোগ দেয়।
৭১ নং লাইন:
{{see also|বারকা–হালাকু যুদ্ধ}}
[[File:Hulagu coin.jpg|thumb|হালাকু খানের মুদ্রা]]
প্রধান খানখাগান হিসেবে [[কুবলাই খান|কুবলাই খানের]] ক্ষমতাপ্রাপ্তির পর ১২৬২ সালে হালাকু খান ফিরে আসেন। আইন জালুতের পরাজয়ের বদলা নেয়ার জন্য তিনি মনস্থির করেন। একই সময় তিনি [[বাতু খান|বাতু খানের]] ভাই [[বারকা খান|বারকা খানের]] সাথে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। বারকা খান ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং হালাকু খান বাগদাদ ধ্বংস করার কারণে তার উপর বিরূপ হন। বারকা খান মামলুকদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন। তিনি [[নোগাই খান|নোগাই খানকে]] হালাকুর অঞ্চলে অভিযানের জন্য প্রেরণ করেছিলেন। ১২৬৩ সালে ককেসাসের উত্তরে একটি অভিযানের সময় হালাকু খান পরাজিত হন। এটি ছিল মঙ্গোলদের মধ্যকার প্রথম উন্মুক্ত যুদ্ধ।
 
==ইউরোপের সাথে যোগাযোগ==