অলঙ্কার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
কিছু সম্পাসারণ, সম্পাদনা
২ নং লাইন:
''এই নিবন্ধটি "গহনা" বিষয়ক; ভাষার অলঙ্কার বিষয়ে দেখুন [[অলঙ্কার (ভাষা)]]''
[[চিত্র:Ornaments Wedding.jpg|right|thumb|200px|বিয়ের কনের জন্য তৈরি একপ্রস্থ সোনার গহনা। বাংলাদেশ, ২০১০]]
 
'''অলঙ্কার''' বলতে বোঝানো হয় ধাতু বা অন্য কোন উপকরনউপকরণ দ্বারা তৈরী কিছু সৃদৃশ্য সামগ্রী যা [[শরীর|শরীরের]] বিভিন্ন অঙ্গকে সুসজ্জিত ও আকর্ষণীয় করার উদ্দেশ্যে পরিধান করা হয়। অলঙ্কার তৈরীতে সাধারনতসাধারণত মূল্যবান ধাতু ব্যবহৃত হয়। অন্যভাবে এসকল উপাদানকে '''গহনা'''ও বলা হয়ে থাকে। অলঙ্কার [[সাজসজ্জা|সাজসজ্জার]] একটি মাধ্যম যা সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে বলে পৃথিবীর প্রায় সকল জাতিই বিশ্বাস পোষণ করেন।করে। আধুনিক সভ্যতায় সোনা ও রূপার অলংকার সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় লোহার তৈরী গহনাও গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবহৃত হতো। বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে প্লাটিনামের গহনা তৈরীও শুরু হয়।
 
হীরা সহ নানা ধরণের মণি-মুক্তা দিয়ে গহনার সৌন্দর্য বৃদ্দি করা হয়ে থাকে। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে '''কৃত্রিম গহনা''' বা '''''ইমিটেশান জুয়েলরীর''''' প্রচলন হয়।
 
শরীররের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য পৃথক পৃথক ধরনের গহনা ব্যবহার করা হয়। গহনা প্রধানত নারীর আভরণ হলেও পুরুষরাও কিছু কিছু গহনা ব্যবহার করে থাকে। যেমন আংটি নারী-বিশেষ নির্বিশেষে সমান জনপ্রিয়।
 
== বিভিন্ন ধরনের গহনা ==
=== আংটি ===
[[হাত]] বা [[পায়ের]] আঙ্গুলে পরিধেয় গোল, ধাতব অলংকারকে আংটি বলে। আংটির সাথে দামি [[পাথর]] খচিত থাকে, যা আঙ্গুলের উপরিভাগে দেখা যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে পায়ের আঙ্গুরেও আংটি পরার ওরওয়াজ আছে।
===কণ্ঠহার===
সারা পৃথিবীতে কণ্ঠহার বা নেইকলেস নারীর অন্যতম প্রধান অলংকার। '''জড়োয়া''' কণ্ঠহার ভারী হয়ে থাকে। অন্যদিকে শিকলি বা চেইন হালকা প্রজাতির কণ্ঠহার।
===কানের অলংকার===
কানের অলংকার নানা রকম যার মধ্যে প্রধান হলো '''কানের দুল'''। এছাড়া রয়েছে '''কান পাশা'''। কানের অলংকারের জন্য কানের লতিতে ফুটো করা হয়। মেয়েদের ন্যায় কোন কোন জাতির পুরুষেরাও কানে অলংকার পরে থাকে।
=== চুড়ি ===
[[চিত্র:Banglesinindia.jpg|right|200px|thumb|দোকানে সজ্জিত চুড়ির বাহার]]
চুড়ি একধরণের গোলাকৃতির গহনা যা সাধারণত মেয়েরা হাতের কব্জিতে পরেন। চুড়ি [[কাচ]], [[সোনা]], [[রূপা]] এমনকি [[মাটি]] দিয়েও তৈরি হয়ে থাকে। মোটা চুড়িকে '''বালা''' নামে অভিহিত করা হয়।
=== টিকলী ===
[[চিত্র:HinduBrideIndia.jpg|200px|left|thumb|বিয়ের কনের কপালে টিকলী]]
যে [[গহনা|অলংকার]] মেয়েদের চুলের সিঁথি বরাবর চিকন সোনা বা রূপার শিকলের সাহায্যে মাথার মাঝখান থেকে টেনে এনে কপালের উপর ঝোলানো হয় তাকে টিকলী বলে। ভারতীয় উপমহাদেশে টিকলী [[বিয়ে|বিয়ের]] [[বউ]] সাজানোর জন্য একটি আবশ্যকীয় গহনা হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।
 
=== আংটি ===
[[হাত]] বা [[পায়ের]] আঙ্গুলে পরিধেয় গোল, ধাতব অলংকারকে আংটি বলে। আংটির সাথে দামি [[পাথর]] খচিত থাকে, যা আঙ্গুলের উপরিভাগে দেখা যায়।
=== নথ ===
[[নাক|নাকের]] যেকোনো একপাশে ছিদ্র করে তাকে ঘিরে বৃত্তাকার যে অলঙ্কার পরা হয় তাকে '''নথ''' বলে।
=== নোলক ===
নারীদের পরিধেয়, নাকের নিম্নভাগে ছোট-আকৃতির গোল ধাতব গহনাকে '''নোলক''' বলে। নোলক পরতে হলে নাকের নিচে মাঝবরাবর ছিদ্র থাকা আবশ্যক।
=== নুপুর বিছা===
এটি নারীর অলংকার যা কোমড় পেঁচিয়ে পরতে হয়।
[[পা|পায়ের]] [[গোড়ালি|গোড়ালিকে]] ঘিরে যে ধাতব গহনা পরা হয় তাকে নুপুর বলে।
=== নূপুর ===
 
[[পা|পায়ের]] [[গোড়ালি|গোড়ালিকে]] ঘিরে যে ধাতব গহনা পরা হয় তাকে নুপুর'''নূপুর''' বলে।
==ব্যবহার==
অলংকার দুই ধরণের। এক প্রকার অলংকার দৈনিক ব্যবহার করা হয়। অন্য প্রকার অলংকার বিশেষ উৎসবে-উপলক্ষে ব্যবহার করা হয়। ভারতবর্ষে বিয়ে নারীর অলংকার ব্যবহারের প্রধান আঙ্গিক।
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}