জাপানি সাহিত্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪০ নং লাইন:
=== যুদ্ধোত্তর সাহিত্য (১৯৪৫ এর পর) ===
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয় জাপানি সাহিত্যে গভীর প্রভাব ফেলে। অনেক লেখক স্বপ্নভঙ্গ, উদ্দেশ্যহীনতা ও পরাজয়ের গ্লানির সাথে বোঝাপড়া করার কথা লেখায় প্রতিফলিত করেন। হারুও উমেযাকির উপন্যাস ''সাকুরাজিমা'' এক সংশয়ী নৌ আধিকারিকের বিষয়ে জানায় যিনি যুদ্ধের সময় কিউশু দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে সাকুরাজিমা আগ্নেয় দ্বীপের এক নৌঘাঁটিতে কর্মরত। ওসামু দাযাইয়ের উপন্যাস ''অস্ত্যমান সূর্য'' মাঞ্চুকুও থেকে প্রত্যাবর্তনরত এক সৈনিকের কথা বলে। শোওহেই ওওকা তাঁর উপন্যাস ''সমতলে অগ্নিকাণ্ড''-এর জন্য য়োমিউরি পুরস্কার লাভ করেন। এই উপন্যাসে ফিলিপাইন্সের জঙ্গলে এক দলত্যাগী জাপানির উন্মাদ হয়ে যাওয়ার বর্ণনা আছে। বিখ্যাত ও বিতর্কিত লেখক য়ুকিও মিশিমা যুদ্ধোত্তর পর্বে লেখালেখি শুরু করেন। নোবুও কোজিমার ছোটগল্প 'মার্কিন স্কুল'-এ কয়েকজন জাপানি ইংরেজি শিক্ষকের কথা পাওয়া যায় যাঁরা যুদ্ধের অব্যবহিত পরে অধিগৃহীত জাপানের পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন।
 
১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকের লেখকেরা বিভিন্নভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বাড়াতে সচেষ্ট হন। এঁদের একজন কেন্‌যাবুরো ওওয়ে ১৯৬৪ খ্রিঃ তাঁর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ''ব্যক্তিগত ব্যাপার'' (個人的な体験, ''কোজিন্‌তেকিনা তাইকেন'') প্রকাশ করেন এবং এই কাজের জন্য তিনি দ্বিতীয় জাপানি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
 
মিৎসুহারু ইনোওয়ে ([[Ja:井上光晴|জা]].) পরমাণু বোমা সম্পর্কে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত পারমাণবিক যুগের নানা সংকট নিয়ে সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন। শুসাকো এন্দো সামন্ততান্ত্রিক জাপানের গুপ্ত খ্রিস্টান সম্প্রদায় কাকুরে কিরিশিতান-দের ধর্মসংকটকে ভিত্তি করে বৃহত্তর আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনার দিকে মনোযোগ দেন। ইয়াসুশি ইনোওয়ে ছিলেন আরও একজন অতীতচারী সাহিত্যিক যিনি এশিয়া ও প্রাচীন জাপানের বর্ণনার মধ্য দিয়ে বর্তমান মানবসমাজের নিয়তির মর্ম উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
 
আঁভা-গার্দ সাহিত্যিকদের মধ্যে আছেন কোওবো আবে-র মত লেখক, যিনি ''বালিয়াড়ির মহিলা'' (砂の女, ''সুনা নো ওন্‌না'', ১৯৬০ খ্রিঃ) ইত্যাদি উপন্যাসে আধুনিক জপানি অভিজ্ঞতার কথা আন্তর্জাতিক প্রভাব ছাড়াই অভিব্যক্ত করতে চেষ্টা করেন। য়োশিকিচি ফুরুই, শিৎযুকো তোওদোও ([[Ja:藤堂志津子|জা]].) প্রমুখ সাহিত্যিকদের রচনায় আধুনিক নগরবাসীদের জীবনযাত্রার ঘাত প্রতিঘাতের বিবরণ পাওয়া যায়।
 
[[হারুকি মুরাকামি]] আধুনিক জাপানি সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তাঁর পরাবাস্তব, রম্যরসাত্মক ও ধারা-বহির্ভূত রচনা আদৌ উচ্চমার্গীয় সাহিত্য নাকি সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োনোর কৌশল, তা নিয়ে জাপানে বিতর্ক আছে। বানানা য়োশিমোতো-র মাঙ্গাসুলভ রচনা প্রাথমিকভাবে (১৯৮০ এর শেষভাগে) বিতর্কের জন্ম দিলেও বর্তমানে তাঁকে স্বতন্ত্র প্রতিভার অধিকারী হিসেবে গণ্য করা হয়।
 
১৯৮০ এর দশকে জাপানে জনপ্রিয় কল্পসাহিত্য, বাস্তবানুগ সাহিত্য ও শিশুসাহিত্যের বিকাশ লক্ষ্য করা যায়। জনপ্রিয় সাহিত্যের অনেক উদাহরণই "প্রকৃত সাহিত্য" ও "জঞ্জালের" মাঝামাঝি অবস্থান করে। এর মধ্যে আছে ঐতিহাসিক ধারাবাহিক, তথ্যবহুল তথ্যচিত্র, কল্পবিজ্ঞান, রহস্য, গোয়েন্দা গল্প, বাণিজ্যকাহিনী, যুদ্ধের গল্প ও প্রাণীজগৎ-কেন্দ্রিক গল্প।
 
[[মাঙ্গা]] এখন জাপানের সর্বস্তরের পাঠকের কাছে পৌঁছেছে। জাপানের ইতিহাস থেকে শুরু করে অর্থনীতি ও পর্ণোগ্রাফি সমেত প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রের উপরেই মাঙ্গা সাহিত্য প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৮০ এর দশকেই জাপানের মোট বই বিক্রির ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ছিল মাঙ্গা।
 
একবিংশ শতাব্দীর আরম্ভে সেলফোন উপন্যাস অনলাইন ও মুদ্রিত দুই আকারেই জাপানে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ২০০৭ এর শেষে কল্পসাহিত্যের সেরা পাঁচটি বেস্টসেলারের চারটিই ছিল সেলফোন উপন্যাস।
 
==তথ্যসূত্র==
৪৫ ⟶ ৫৯ নং লাইন:
 
{{দেশের নিবন্ধ|জাপানের}}
[[বিষয়শ্রেণী:নিবন্ধটি জাপানি ভাষা টেক্সট ধারণকারী]]