খাজা গোলাম ফরিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৯ নং লাইন:
 
'''খাজা গোলাম ফরিদ''' ([[উর্দু]]: {{Nastaliq|خواجہ غُلام فرید}}) বা '''খোয়াজা ফরিদ''' (১৮৪৫-১৯০১) ঊনিশ শতকের একজন ভারতীয় [[সুফিবাদ|সুফিবাদী]] কবি ছিলেন।<ref>{{cite web|url=https://books.google.com/books?id=cI1_AgAAQBAJ|title=Muslim Saints of South Asia: The Eleventh to Fifteenth Centuries|first=Anna|last=Suvorova|date=22 July 2004|publisher=Routledge|via=Google Books}}</ref> তিনি একাধারে ভাষাবিদ, পন্ডিত এবং লেখক ছিলেন। তিনি [[চিশতিয়া ত্বরিকা|চিশতি নেজামী]] [[সুফি ত্বরিকা]]র অনুসারী ছিলেন। তিনি ছাচরানে জন্মগ্রহণ এবং মৃত্যুবরণ করেন। তাকে মিথানকোটে সমাহিত করা হয়।
== প্রারাথমিক জীবন==
তার বয়স যখন পাঁচ বছর তখন তার মা মৃত্যুবরণ করেন এবং বার বছর বয়সে তার পিতা খাজা খোদা বক্স মারা গেলে তিনি এতিম হয়ে যান। এরপর তার বড় ভাই ফখর জাহান উহদি তার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেন এবং তিনু ধীরে ধীরে পণ্ডিত এবং লেখক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেন। তিনি [[আরবি ভাষা]], [[ফার্সি ভাষা]], [[পাঞ্জাবী ভাষা]], [[সারাইকি ভাষা]], [[সিন্ধি ভাষা]] ও [[ব্রজ ভাষা]]সহ অনেক ভাষায় পান্ডিত্য অর্জন করেন এবং [[আরবি ভাষা]], [[ফার্সি ভাষা]], [[পাঞ্জাবী ভাষা]], [[সারাইকি ভাষা]], [[সিন্ধি ভাষা]] ও [[ব্রজ ভাষা]] গুলোতে কাব্য রচনাও করেছেন।
গোলান ফরিদ ১৮৪৫ সালে ছাচরনে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স যখন পাঁচ বছর তখন তার মা মৃত্যুবরণ করেন এবং বার বছর বয়সে তার পিতা খাজা খোদা বক্স মারা গেলে তিনি এতিম হয়ে যান। এরপর তার বড় ভাই ফখর জাহান উহদি তার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেন এবং তিনু ধীরে ধীরে পণ্ডিত এবং লেখক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেন।
==সাহিত্য রচনা==
 
তারবড় বয়সভাইয়ের যখনসান্নিধ্যে পাঁচ বছর তখন তার মা মৃত্যুবরণ করেন এবং বার বছর বয়সে তার পিতা খাজা খোদা বক্স মারা গেলেথেকে তিনি এতিম হয়ে যান। এরপর তার বড় ভাই ফখর জাহান উহদি তার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেন এবং তিনু ধীরে ধীরে পণ্ডিতসাহিতে্যর এবংবিভিন্ন লেখকশাখায় হিসেবেপান্ডিত্য নিজেকেঅর্জন গড়েকরেন। তুলেন। তিনি [[আরবি ভাষা]], [[ফার্সি ভাষা]], [[পাঞ্জাবী ভাষা]], [[সারাইকি ভাষা]], [[সিন্ধি ভাষা]] ও [[ব্রজ ভাষা]]সহ অনেক ভাষায় পান্ডিত্য অর্জন করেন এবং [[আরবি ভাষা]], [[ফার্সি ভাষা]], [[পাঞ্জাবী ভাষা]], [[সারাইকি ভাষা]], [[সিন্ধি ভাষা]] ও [[ব্রজ ভাষা]] গুলোতে কাব্য রচনাও করেছেন।
 
তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো হলো
* দিওয়ানে ফরিদ (১৮৮২ সালে সারাইকি ভাষায়, ১৮৮৩ সালে পাঞ্জাবী ভাষায় এবং ১৮৮৪ সালে উর্দু ভাষায় প্রকাশিত কবিতার গ্রন্থ)
* মানাকাবে মমেহবুবাই (ফার্সি ভাষায় রচিত গদ্য গ্রন্থ)
তিনি প্রায় সময় মুরুভূমিকে প্রতীকি হিসেবে ব্যবহার করতেন। জীবনের কিছু সময় তিনি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ভাওয়ালপুরে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করেন।
==মৃত্যু ==
 
খাজা ফরিদ ১৯০১ সালে ছাচরানে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে মিথানকোটে সমাহিত করা হয়।
বিংশ শতাব্দীতে খাজা গোলাম ফরিদের জীবন, কর্ম, সাধনার উপর সাহিতয রচনা হচ্ছে, যা বর্তমানে ''ফরিদিয়্যাত'' নামে খ্যাতি লাভ করেছে। বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের অনেক এলাকায় গোলাম ফরিদের নাম অনুসারে অনেক ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেমন: পাকিস্তানের রাহিম্যারে অবস্থিত [[সরকারি খাজা গোলাম ফরিদ কলেজ]]।
 
==সম্মানন প্ররবর্তন==
পাকিস্তান সরকার সাহিত্যে তার নাম অনুসারে একটি সম্মাননা যার নাম ''খাজা গোলাম ফরিদ সম্মাননা''র প্রবর্তন করে যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য গুণীজনদের প্রদান করা হয়। এই সম্মাননা গ্রহণকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগণ হলেন ইসমাইল আহমেদানি, নশী গিলানি এবং অন্যান্য। ২০০১ সালে গোলাম ফরিদের জন্ম শত বার্ষিক পালিত হয়। এই উপলক্ষে পাকিস্তান ডাক বিভাগ একটি বিশেষ স্ট্যাম্প প্রকাশ করে।