ফালতু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৬ নং লাইন:
| director = [[অঞ্জন দাস]]
| writer =[[সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ]]
| starring = [[সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়]] <br /> [[নির্মলকুমার]] <br /> [[ইন্দ্রাণী হালদার]] <br /> [[যশ পণ্ডিত]] <br /> [[মঞ্জরীমঞ্জরি ফাঢ়নিসফড়ণীস]]
| producer = [[অরিন্দম চৌধুরী]]
| distributor = প্ল্যানম্যান মোশন পিকচার্স
২৫ নং লাইন:
}}
 
'''''ফালতু''''' [[ভারতীয়]] [[বাঙালি]] চিত্র পরিচালক [[অঞ্জন দাস]] পরিচালিত একটি [[বাংলা চলচ্চিত্র]]। [[সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ]] রচিত উপন্যাস '''''[[রাণীরঘাটের বৃত্তান্ত]]''''' অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটির মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করেছেন [[সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়]], [[নির্মলকুমার]], [[ইন্দ্রাণী হালদার]], [[যশ পণ্ডিত]], [[মঞ্জরীমঞ্জরি ফাঢ়নিসফড়ণীস]], [[বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়]], [[মাসুদ আখতার]] প্রমুখ।<ref>{{cite news |first= |last= |authorlink= |coauthors= |title=Simple tale of a complex search |url=http://www.telegraphindia.com/1060210/asp/calcutta/story_5828983.asp |work= |publisher= |date=February 10, 2006 |accessdate=2008-10-22 }}</ref> স্পেন চলচ্চিত্র উৎসবে [[ভারত]] থেকে প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছিল এই ছবিটি।<ref>{{cite news |first= |last= |authorlink= |coauthors= |title=Planman's Faltu invited for Spain fest |url=http://businessofcinema.com/news.php?newsid=3880 |work= |publisher= |date=12/06/07 |accessdate=2008-10-22 }}</ref> বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উচ্চ প্রশংসিত ''ফালতু'' শ্রেষ্ঠ সমাজকল্যাণমূলক ছবি হিসেবে [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)|ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করে।
 
== কাহিনি-সারাংশ ==
৩১ নং লাইন:
''ফালতু''-র মূল কাহিনি কেন্দ্রীভূত হয়েছে [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[মুর্শিদাবাদ জেলা|মুর্শিদাবাদ জেলার]] রাণীরঘাটে। সময়কাল ১৯৫০-এর দশকের প্রথম পাদ। এই কাহিনি একটি কুড়ি বছরের সদ্যযুবকের ভালবাসা ও শিকড় অন্বেষণের কাহিনি। তারই সঙ্গে সঙ্গে গল্পে ঘনীভূত হয়েছে একটি গ্রাম ও সেই গ্রামের মানুষদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অসংখ্য মুহূর্ত ও নাটকীয় ঘাতপ্রতিঘাত।
 
রাণীরঘাট একটি পশ্চাদপদ গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দারা মূলত [[পূর্ব পাকিস্তান]] (অধুনা [[বাংলাদেশ]]) থেকে আগত শরণার্থী। ফালতু সেই গ্রামেরই ছেলে। সে বাস চালাত আর যাত্রীদের নদীপারাপার করাতো। আদমসুমারির সময় এক জনগণনা আধিকারিক গ্রামবাসীদের ফালতুর ([[যশ পণ্ডিত]]) বাপের কথা জিজ্ঞাসা করলে তাদের জীবনযাত্রা নতুন দিকে মোড় নেয়। ফালতু যে সুরি খেপির ([[ইন্দ্রাণী হালদার]] অভিনীত একটি পাগলি চরিত্র) সন্তান সে কথা সকলেরই জানা, কিন্তু তার বাপ কে ছিল তা জানত না কেউই। ফালতুও জানত না, কখনও জানার চেষ্টাও করত না। সে তার কাজ আর প্রেমিকা টুকটুকিকে ([[মঞ্জরীমঞ্জরি ফাঢ়নিসফড়ণীস]]) নিয়েই খুশি ছিল। কিন্তু সেই জনগণনা আধিকারিকের প্রশ্ন প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দিল। ক্রমে প্রকাশিত হল গ্রামের প্রায় সকল পুরুষ বাসিন্দাই সুরি খেপির মানসিক ভারসাম্যহীনতার সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছিল। এমনকি যে ইসমাইল ([[বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়]]) ফালতুকে বড় করে তাকে বাস চালানো শিখিয়েছিল, সেই জড়িত ছিল এই পাশবিক কাজের সঙ্গে। অবস্থায় দাঁড়িয়েছিল এমন জায়গায় যে সকলেই জানত, ফালতু তাদেরই কারো একজনের সন্তান। কিন্তু নিশ্চিত করে কেউই কিছু বলতে পারত না।
 
এই সময় একটি সরকারি অধ্যাদেশ গ্রামবাসীদের কাছে দুঃসংবাদ বহন করে আনে। উন্নয়ন পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে সরকার নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং সেই জন্য গ্রামবাসীদের বলে গ্রাম খালি করে দিতে। গ্রামবাসীদের রাজি হতে হয়। তবে চলে যাওয়ার আগে তারা ফালতু ও টুকটুকির বিয়ে দিতে চায় ফালতুর প্রতি কৃত তাদের অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে। কিন্তু কাহিনি এখানে একটি নাটকীয় মোড় নেয়। ঘটনাচক্রে টুকটুকি আত্মহত্যা করে এবং ফালতুও তার পরিচিত সমাজের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নেয়। সমগ্র কাহিনিটি মানবিক সম্পর্কের একটি দলিল যার উপজীব্য বিষয় কিভাবে অপরাধবোধ একটি গোটা গ্রামের জীবনকে তাড়া করে ফেরে। তারা তাদের পাপের স্খলন করতে গিয়েছিল, কিন্তু শেষমেশ একটি প্রেমের কালান্তকে রূপান্তরিত হল।
৩৯ নং লাইন:
* [[নির্মলকুমার]] – পুরোহিত
* [[যশ পণ্ডিত]] – ফালতু
* [[মঞ্জরীমঞ্জরি ফাঢ়নিসফড়ণীস]] – টুকটুকি
* [[ইন্দ্রাণী হালদার]] – সুরি খেপি
* [[প্রদীপ মুখোপাধ্যায়]]