গ্রাবরেখা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bangali ind (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
Bangali ind-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Shariful iea-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
১ নং লাইন:
[[File:Moraines Surlej.jpg|thumb|গ্রাবরেখা]]
গ্রাবরেখা বা অধঃক্ষিপ্ত হিমবাহ হল হিমবাহের অবক্ষেপণ বা সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ। হিমবাহ অগ্রসর হওয়ার সময় এর সাথে যেসব পাথরখণ্ড, বালি, কাদা প্রভৃতি বাহিত হয়, হিমবাহ গলতে শুরু করলে সেগুলি হিমবাহের প্রবাহপথের আশেপাশে সঞ্চিত হতে থাকে। এই অসংবদ্ধ মিশ্র পদার্থের সঞ্চয়কে '''''গ্রাবরেখা বা অধঃক্ষিপ্ত হিমবাহ''''' বলে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=ভূগোল ও পরিবেশ|last=|first=|publisher=ছায়া প্রকাশনী|year=জানুয়ারি ২০১৬|isbn=|location=১ বিধান সরণি, কলকাতা- ৭০০০৭৩|pages=১২}}</ref>
 
== প্রকারভেদ ==
অবস্থান ও প্রস্তুতি অনুযায়ী গ্রাবরেখাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
* '''''পার্শ্ব গ্রাবরেখাঃ''''' হিমবাহের দুইপাশে সরু দৈর্ঘ্য আকারে যে সরু গ্রাবরেখা সঞ্চিত হয়, তাকে পার্শ্ব গ্রাবরেখা বলে।
* '''''পার্শ্ব গ্রাবরেখাঃ''''' হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গ্রাবরেখা [Moraine] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে। এই সব বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ডের কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে ও তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । সঞ্চিত এইসব শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের দু’পাশে স্তূপাকারে প্রাচীরের মতো সঞ্চিত হলে তাকে পার্শ্ব-গ্রাবরেখা [Lateral Moraine] বলে।
* '''''ভূমি গ্রাবরেখাঃ''''' হিমবাহের নীচে যে গ্রাবরেখা সঞ্চিত হয়, তাকে ভূমি গ্রাবরেখা বলে।
* '''''ভূমি গ্রাবরেখাঃ''''' হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গ্রাবরেখা [Moraine] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে। এই সব বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ডের কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে ও তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । সঞ্চিত এইসব শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের তলায় স্তূপাকারে সঞ্চিত হলে তাকে ভূমি-গ্রাবরেখা বা তলদেশ-গ্রাবরেখা [Ground Moraine] বলে।
* '''''প্রান্ত গ্রাবরেখাঃ''''' হিমবাহ যেখানে এসে মিলিত হয় অর্থাৎ হিমবাহের সামনে সঞ্চিত গ্রাবরেখাকে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে।
* '''''প্রান্ত গ্রাবরেখাঃ''''' হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গ্রাবরেখা [Moraine] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে । এই সব বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ডের কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে ও তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । সঞ্চিত এইসব শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সামনে স্তূপাকারে সঞ্চিত হলে তাকে প্রান্ত-গ্রাবরেখা [Terminal Moraine] বলে।
* '''''মধ্য গ্রাবরেখাঃ''''' দু'দিক থেকে এগিয়ে আসা দুটি হিমবাহ যেখানে মিলিত হয় সেখানে উভয়ের গ্রাবরেখা দ্বারা সৃষ্ট গ্রাবরেখাকে মধ্য গ্রাবরেখা বলে।
* '''''মধ্য গ্রাবরেখাঃ''''' হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গ্রাবরেখা [Moraine] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে। এই সব বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ডের কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে ও তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । সঞ্চিত এইসব শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের দু’পাশে স্তূপাকারে প্রাচীরের মতো সঞ্চিত হলে তাকে পার্শ্ব-গ্রাবরেখা বলে। যখন দুটি হিমবাহ, দুদিক থেকে এসে একসঙ্গে মিলিত হলে উভয়ের পরস্পর সন্নিহিত পার্শ্ব-গ্রাবরেখা দুইটি মিশে গেলে তাকে মধ্য-গ্রাবরেখা [Medival Moraine] বলে।
* '''''হিমাবদ্ধ গ্রাবরেখাঃ''''' অনেক সময় নানা আকৃতির পাথরের টুকরো হিমবাহের ফাটলের মধ্যে ঢুকে হিমবাহের মধ্যে আবদ্ধ হয়। এই ধরণের গ্রাবরেখা হিমাবদ্ধ গ্রাবরেখা নামে পরিচিত।
* '''''হিমাবদ্ধ গ্রাবরেখাঃ''''' হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গ্রাবরেখা [Moraine] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে। এই সব বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ডের কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে ও তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । সঞ্চিত এইসব শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের মধ্যে আটকে পড়ে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয়ে হিমাবদ্ধ গ্রাবরেখার সৃষ্টি করে।
 
উদাহরণ: তিস্তা নদীর উচ্চ অববাহিকায় লাচুং ও লাচেন অঞ্চলে নানা ধরনের গ্রাবরেখা দেখা যায়।
উপরিউক্ত গ্রাবরেখাগুলি ছাড়াও ভূপৃষ্ঠ-এ যে বিশেষ ধরণের কিছু গ্রাবরেখা দেখা যায় সেগুলি হল-
* '''''অবিন্যস্ত গ্রাবরেখাঃ'''''