আশরাফ সিদ্দিকী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান সংশোধন, বিষয়শ্রেণী, টেমপ্লেট
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
৪০ নং লাইন:
==প্রাথমিক জীবন==
===জন্ম===
আশরাফ সিদ্দিকী ১৯২৭ সালের ১ মার্চ তার নানাবাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবা আব্দুস সাত্তার সিদ্দিকী ছিলেন একজন শৌখিন হোমিও চিকিৎসক এবং ইউনিয়ন পঞ্চায়েত ও ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। আর মা সমীরণ নেসা ছিলেন স্বভাব কবি।<ref name="নববর্ষা"/>
===শিক্ষা জীবন===
আশরাফ সিদ্দিকী তার নানাবাড়ির পাঠশালায় শিক্ষাজীবন শুরু করেন। দ্বিতীয় থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন তার বাবার প্রতিষ্ঠিত রতনগঞ্জ মাইনর স্কুলে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন প্রথম কবিতা লিখেন, কবিতার নাম ''নববর্ষা''।<ref name="নববর্ষা">{{cite web|url=http://archive.samakal.net/2014/09/06/83961 |title=যে আছে মাটির কাছাকছি |date=৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ |publisher=[[দৈনিক সমকাল]] |location=ঢাকা, বাংলাদেশ|accessdate=২৮ মার্চ, ২০১৬}}</ref> সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে। মামা আবদুল হামিদ চৌধুরীর বাসায় থেকে পড়াশুনা করতেন আর পাশাপাশি কবিতা লিখতেন। সপ্তম শ্রেণিতে থাকাকালীন তার কবিতা স্বগত ও পূর্বাশা সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ সময় তিনি কিছু আঞ্চলিক বাংলা ধাঁধা সংগ্রহ করে [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]]কে পাঠান। রবীন্দ্রনাথ তার প্রশংসা করেন। এর কিছু দিন পর তিনি শান্তিনিকেতনে পড়ার জন্য ভারতে চলে যান। ১৯৪৭ সালে শান্তিনিকেতনে বাংলায় অনার্স পড়াকালীন দেশবিভাগ হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন।<ref name=Folklorist>{{cite web|url=http://www.observerbd.com/2015/03/04/75889.php |title=Dr. Ashraf Siddiqui: Poet or Folklorist? |author=তাসনিম সিদ্দিকী |date=৪ মার্চ, ২০১৫ |publisher=দ্য ডেইলি অবসারভার |location=ঢাকা, বাংলাদেশ|accessdate=২৮ মার্চ, ২০১৬}}</ref> তিনি ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ টাঙ্গাইলের করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজ থেকে অনার্স সম্পন্ন করেন। অনার্স কোর্সে বাংলা সাহিত্যে তিনি সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম হন। তিনি ১৯৫০ সালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫৮ সালে দ্বিতীয়বার এমএ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে লোকসাহিত্যে পিএইচডি করেন।<ref name="৮৭তম জন্মদিন"/>
 
==কর্মজীবন==
৫৫ নং লাইন:
দেশবিভাগের পর অভাবের তাড়নায় এক স্কুল শিক্ষক তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনা তাকে নাড়া দেয় এবং তার সাহিত্য রচনার প্রেরনা হয়ে দাড়ায়। তিনি লেখেন ''তালেব মাষ্টার'' নামে একটি কবিতা, যা ১৯৫০ সালে ''তালেব মাষ্টার ও অন্যান্য কবিতা'' কাব্যসংকলনে স্থান পায়। এরপর প্রকাশিত হয় তার কাব্যগ্রন্থ সাত ভাই চম্পা, বিষকন্যা, ও উত্তরের তারা। ১৯৬৫ সালে ''রাবেয়া আপা'' নামক গল্প দিয়ে গল্পকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু ''গলির ধারের ছেলেটি'' তাকে গল্পকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।<ref name="সাহিত্য ভাণ্ডার"/> এ গল্প অবলম্বনে প্রখ্যাত [[চলচ্চিত্র পরিচালক]] [[সুভাষ দত্ত]] পরিচালিত [[ডুমুরের ফুল]] চলচ্চিত্রটি একাধিক [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করে।<ref name=Folklorist/>
 
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক সাহিত্য বিষয়ে পড়াকালীন তিনি রচনা করেন শিশুতোষ সাহিত্য ''সিংহের মামা ভোম্‌বল দাস'' যা ১১ টি ভাষায় অণুদিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশের লোক সাহিত্য নিয়ে লিখেন ''লোক সাহিত্য প্রথম খন্ড''। এরই ধারাবিহিকতায় কিংবদন্তির বাংলা, শুভ নববর্ষ, লোকায়ত বাংলা, আবহমান বাংলা, বাংলার মুখ বইগুলো প্রকাশিত হয়। ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকে শুনা রূপকথার গল্প থেকে অণুপ্রাণিত হয়ে ১৯৯১ সালে লেখেন ''বাংলাদেশের রূপকথা'' নামক বইটি।<ref name="নববর্ষা"/>
 
==সাহিত্যকর্ম==
১১৫ নং লাইন:
* {{আইএমডিবি নাম |7864633|আশরাফ সিদ্দিকী}}
{{একুশে পদক}}
 
{{DEFAULTSORT:সিদ্দিকী, আশরাফ}}
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২৭-এ জন্ম]]