পুরস্কার (চলচ্চিত্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
== সি বি জামান : ==
সি বি জামান |: ১৯৪১ সাল, তৎকালীন উপমহাদেশের পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না। ব্রিটিশদের প্রতি অসন্তোষ তো রয়েছেই, তাঁর সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার কারণে যেকোন সময় জাপানীদের বম্বিং এর আশঙ্কা দন্ডায়মান! ঠিক এমনই একটা সময়ে আসাম গৌরীপুরের তৎকালীন পোস্টমাস্টার জেনারেল ইমদাদুর রহমান চৌধুরী নিজের গর্ভবতী স্ত্রী শরীফা খাতুন চৌধুরী সহ গৌরীপুরের তৎকালীন মহারাজা ও তাঁর পরম বন্ধু প্রভাত কুমার বড়ুয়া (ভারতীয় উপমহাদেশের আধুনিক চলচ্চিত্রের জনক প্রমথেশ বড়ুয়া'র বাবা) এর নিমন্ত্রণে গৌরীপুরের রাজপ্রাসাদে অবস্থান করছিলেন। এই রাজপ্রাসাদের 'অন্দর মহলে'ই আগস্ট মাসের ১৪ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন ইমদাদুর রহমান চৌধুরীর ২য় সন্তান চৌধুরী বদরুজ্জামান, যিনি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী সি. বি. জামান নামে সুপরিচিত। নিজের ক্যারিয়ারের শুরু তিনি করেন ১৯৬৬ সালে লাহোর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর হিসেবে। ১৯৭২ সাল হতে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সরাসরি চলচ্চিত্র পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ সময়ে তিনি নির্মাণ করেন একে একে ঝড়ের পাখি, উজান-ভাটি, পুরস্কার, শুভরাত্রি, হাসি, লাল গোলাপ ও কুসুম-কলি'র মতো কালজয়ী চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ব্যবসায়ীক সফলতার পাশাপাশি পুরস্কার ১৯৮৪ সালে ৫টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও শুভরাত্রি বাচসাস পুরস্কারে ভূষিত হয়। জাতীয় পুরস্কার পাবার পাশাপাশি পুরস্কার চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের 'গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল', 'দিল্লী ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল' ও রাশিয়ার 'তাশখান্দ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে' প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়। শুধু তাই না, সেইসাথে প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে জাপানের 'এনএইচ কে' টিভি পুরস্কারের কপিরাইট কিনে নিয়ে যায় এবং নিজেদের দেশে তা প্রদর্শিত করে। এছাড়াও তৎকালীন সময়ে তাঁর সহকারীদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজন পরবর্তীতে টেলিভিশন ও ফিল্মে সফলতার সাথে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেন যার মধ্যে হানিফ আকন দুলাল, সালাহ্‌উদ্দীন লাভলু, শিল্পী চক্রবর্তী ও জাকির হোসেন রাজু অন্যতম। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি স্বল্প-দৈর্ঘ্য ও প্রামান্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যার মধ্যে ডিএফপি'র 'নুরুর সমস্যা' প্রামান্যচিত্রটিতে প্রথমবারের মতো তিনি ক্যামেরার সামনে আনেন আজিজুল হাকিম ও সালাহ্‌উদ্দীন লাভলু'র মতো অভিনেতাদের। ন্ডাস্ট্রিতে তিনি হাতে গোণা কয়েকজন মানুষের অন্যতম যাদের অজাতশত্রু বলে ডাকা হয়। কাজ করেছেন অনেকের সাথেই কিন্তু তাঁদের মধ্যে খান আতাউর রহমান ছিলেন এমন একজন মানুষ যাকে তিনি নিজের গুরু ও সবচাইতে কাছের বন্ধু হিসেবে ভাবেন। 'নবাব সিরাজউদ্দৌলা' থেকে শুরু করে 'এখনো অনেক রাত' পর্যন্ত খান আতা'র প্রায় সব ছবিতেই তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। শুধু তাই না, তিনি ও খান আতাউর রহমান তাহের চৌধুরীকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন 'প্রমোদকার' চলচ্চিত্র গোষ্ঠী। এই প্রমোদকার নামেই তাঁরা একত্রে পরিচালনা করেন বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ৪ চলচ্চিত্র, 'ত্রিরত্ন', 'সুজন-সখী', 'দিন যায় কথা থাকে' ও 'হিসাব-নিকাশ'।
 
সি বি জামান |:== ১৯৪১ সাল, তৎকালীন উপমহাদেশের পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না। ব্রিটিশদের প্রতি অসন্তোষ তো রয়েছেই, তাঁর সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার কারণে যেকোন সময় জাপানীদের বম্বিং এর আশঙ্কা দন্ডায়মান! ঠিক এমনই একটা সময়ে আসাম গৌরীপুরের তৎকালীন পোস্টমাস্টার জেনারেল ইমদাদুর রহমান চৌধুরী নিজের গর্ভবতী স্ত্রী শরীফা খাতুন চৌধুরী সহ গৌরীপুরের তৎকালীন মহারাজা ও তাঁর পরম বন্ধু প্রভাত কুমার বড়ুয়া (ভারতীয় উপমহাদেশের আধুনিক চলচ্চিত্রের জনক প্রমথেশ বড়ুয়া'র বাবা) এর নিমন্ত্রণে গৌরীপুরের রাজপ্রাসাদে অবস্থান করছিলেন। এই রাজপ্রাসাদের 'অন্দর মহলে'ই আগস্ট মাসের ১৪ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন ইমদাদুর রহমান চৌধুরীর ২য় সন্তান চৌধুরী বদরুজ্জামান, যিনি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী সি. বি. জামান নামে সুপরিচিত। নিজের ক্যারিয়ারের শুরু তিনি করেন ১৯৬৬ সালে লাহোর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর হিসেবে। ১৯৭২ সাল হতে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সরাসরি চলচ্চিত্র পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ সময়ে তিনি নির্মাণ করেন একে একে ঝড়ের পাখি, উজান-ভাটি, পুরস্কার, শুভরাত্রি, হাসি, লাল গোলাপ ও কুসুম-কলি'র মতো কালজয়ী চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ব্যবসায়ীক সফলতার পাশাপাশি পুরস্কার ১৯৮৪ সালে ৫টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও শুভরাত্রি বাচসাস পুরস্কারে ভূষিত হয়। জাতীয় পুরস্কার পাবার পাশাপাশি পুরস্কার চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের 'গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল', 'দিল্লী ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল' ও রাশিয়ার 'তাশখান্দ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে' প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়। শুধু তাই না, সেইসাথে প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে জাপানের 'এনএইচ কে' টিভি পুরস্কারের কপিরাইট কিনে নিয়ে যায় এবং নিজেদের দেশে তা প্রদর্শিত করে। এছাড়াও তৎকালীন সময়ে তাঁর সহকারীদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজন পরবর্তীতে টেলিভিশন ও ফিল্মে সফলতার সাথে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেন যার মধ্যে হানিফ আকন দুলাল, সালাহ্‌উদ্দীন লাভলু, শিল্পী চক্রবর্তী ও জাকির হোসেন রাজু অন্যতম। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি স্বল্প-দৈর্ঘ্য ও প্রামান্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যার মধ্যে ডিএফপি'র 'নুরুর সমস্যা' প্রামান্যচিত্রটিতে প্রথমবারের মতো তিনি ক্যামেরার সামনে আনেন আজিজুল হাকিম ও সালাহ্‌উদ্দীন লাভলু'র মতো অভিনেতাদের। ন্ডাস্ট্রিতে তিনি হাতে গোণা কয়েকজন মানুষের অন্যতম যাদের অজাতশত্রু বলে ডাকা হয়। কাজ করেছেন অনেকের সাথেই কিন্তু তাঁদের মধ্যে খান আতাউর রহমান ছিলেন এমন একজন মানুষ যাকে তিনি নিজের গুরু ও সবচাইতে কাছের বন্ধু হিসেবে ভাবেন। 'নবাব সিরাজউদ্দৌলা' থেকে শুরু করে 'এখনো অনেক রাত' পর্যন্ত খান আতা'র প্রায় সব ছবিতেই তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। শুধু তাই না, তিনি ও খান আতাউর রহমান তাহের চৌধুরীকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন 'প্রমোদকার' চলচ্চিত্র গোষ্ঠী। এই প্রমোদকার নামেই তাঁরা একত্রে পরিচালনা করেন বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ৪ চলচ্চিত্র, 'ত্রিরত্ন', 'সুজন-সখী', 'দিন যায় কথা থাকে' ও 'হিসাব-নিকাশ'। ==
{{তথ্যছক চলচ্চিত্র
| name = পুরস্কার