বিহার ধাপ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
৫০ নং লাইন:
বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক [[হিউয়েন সাং]] ৬৩৮-৬৪৫ খ্রি. এই সময়কালে বাংলার এই অঞ্চল ভ্রমণ করেন। তিনি মহাস্থানগড় থেকে ৬ কিঃমিঃ পশ্চিমে পো-সি-পো বিহার নামে এক বিহারের কথা উল্লেখ করেছিলেন। ধারণা করা এই বিহার ধাপই সেই পো-সি-পো বিহার।
এখানে ১৯৭৯-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে খনন কাজ চলে। এতে পশ্চিম অংশে পাশাপাশি দুইটি [[বৌদ্ধ বিহার]] এবং পূর্ব দিকে একটি মন্দিরের অবকাঠামো আংশিকভাবে উন্মোচিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৫-০৬ সালের দিকে পুনরায় খনন কাজ চালানো হয়। তখন পূর্বে আবিস্কৃত মন্দিরের পাশে আরও একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের কিয়দংশ উন্মোচিত হয়। দুইটি মন্দিরই উত্তরমুখী।<ref name="banglapedia.org"/>
 
বিভিন্ন সময়ে খননের ফলে এখানে এক হাজারেরও বেশি বিভিন্ন ধরণের প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ব্রোঞ্জ নির্মিত ধ্যানমগ্ন বুদ্ধমূর্তি, রৌপ্য মুদ্রা, কাঁচের পুঁতি, ৬০টি পোড়ামাটির ফলক চিত্র, পোড়া মাটির সীল মোহর, ধুপদানী, পিরিচ, মাটির পাত্র, ১০০টি নকশা অঙ্কিত ইট, লোহার পেরেক ইত্যাদি।
 
প্রথম নির্মাণ যুগের স্থাপত্যকাঠামো ও সংশ্লিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ যুগের কাল নির্ধারণ করা হয় চার অথবা পাঁচ শতক। ধারণা করা হয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় নির্মাণ যুগ ছয় থেকে দশ শতকের। চতুর্থ থেকে পঞ্চম নির্মাণ যুগের স্থাপত্যকর্মে অনেক ক্ষেত্রেই পুরানো ইটের পুনর্ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়েছে। আরও ধারণা করা হয় আনুমানিক এগারো থেকে বারো শতকের মধ্যে এই প্রত্নস্থলটির পতন ঘটে।
 
== চিত্রশালা ==