পরশুরামের প্রাসাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
চিত্র
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪ নং লাইন:
|native_name =
|settlement_type =
|image_skyline = PalacePlace of Parshuramparshuram (6).jpg
|imagesize = 250px
|image_caption = পরশুরামের প্রাসাদ
২৪ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
১৯০৭, ১৯৬১ ও ১৯৯৫ সালে মোট তিন বার এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ পরিচালনা করে তিনটি নির্মাণ যুগের সন্ধান পাওয়া যায়।
১৯০৭, ১৯৬১ ও ১৯৯৫ সালে মোট তিন বার এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ পরিচালনা করে তিনটি নির্মাণ যুগের সন্ধান পাওয়া যায়। উপরের স্তরে অপেক্ষাকৃত আধুনিককালে নির্মিত একটি বিরাট আবাস বাটির সম্পূর্ন নকশা উন্মোচিত হয়েছে। অন্দর মহলে অবস্থিত ছোট একটি অঙ্গনের দিকে মুখ করে নির্মিত পৃথক পৃথক ৪টি মহল বা অংশের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মোহগুলোর প্রবেশ পথ সহ বেশ কিছু কক্ষ, সোপান শ্রেণী, সীমানা প্রাচীর এবং পুর্ব ও পশ্চিমে দুটি প্রবেশদ্বার আবিষ্কৃত হয়েছে। মুল প্রবেশদ্বার হচ্ছে পুর্ব পাশের প্রবেশদ্বার। যার দুই পাশে দুইটি প্রহরী কক্ষের নিদর্শন দেখা যায়। উপরিভাগে মোঘল ও ব্রিটিশ আমলে ব্যবহৃত ছোট আকারে ইট, চুন সুরকীর আস্তর, চুনকামের ব্যবহার, গঠনশৈলী ইত্যাদি দেখে অনুমান করা যায় যে, এই ইমারত অষ্টাদশ শতকের শেষদিকে নির্মিত হয়েছিল। এছাড়া এখানে কোম্পানি আমলের (১৮৩৫-১৮৫৩) দুইটি মুদ্রা পাওয়া গেছে।
 
১৯৬১ সালে উপরিভাগের ইমারত ভেদ করে দুইটি গভীর খাদ খননের ফলে আরও দুইটি নির্মান যুগের ইমারতের ভগ্নাবশেষসহ বহুসংখ্যক উজ্জ্বল মৃৎপাত্রের টুকরা পাওয়া যায়। যা সুলতানি আমলের মৃৎপাত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ন। অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মান কাল ১৫শ/১৬শ শতকের বা সুলতানী আমলের বলে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন। এছাড়া এখানে কোম্পানি আমলের (১৮৩৫-১৮৫৩) দুইটি মুদ্রা পাওয়া গেছে।
 
সুলতানী আমলের ইমারতের নিচে প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ইমারতের ভবনাবশেষসহ পোড়ামাটির চিত্রফলক, প্রস্তর নির্মিত বিষ্ণুপট্টের ভগ্নাংশ ও বহু কড়ি পাওয়া গেছে। প্রথম পর্যায়ে প্রাপ্ত স্থাপত্যের কাঠামো ও প্রত্নবস্তুর সাথে পাল আমলের কাঠামো ও প্রত্নবস্তুর সাদৃশ্য রয়েছে। অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে প্রাপ্ত এ সকল নিদর্শন থেকে ধারণা করা যায়, এখানে অষ্টক শতক বা পাল আমলের নির্মিত ইমারতের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
 
== অবকাঠামো ==
{{commonscat|Palace of Parshuram}}
১৯০৭, ১৯৬১ ও ১৯৯৫ সালে মোট তিন বার এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ পরিচালনা করে তিনটি নির্মাণ যুগের সন্ধান পাওয়া যায়। উপরের স্তরে অপেক্ষাকৃত আধুনিককালে নির্মিত একটি বিরাট আবাস বাটির সম্পূর্ন নকশা উন্মোচিত হয়েছে। অন্দর মহলে অবস্থিত ছোট একটি অঙ্গনের দিকে মুখ করে নির্মিত পৃথক পৃথক ৪টি মহল বা অংশের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মোহগুলোর প্রবেশ পথ সহ বেশ কিছু কক্ষ, সোপান শ্রেণী, সীমানা প্রাচীর এবং পুর্ব ও পশ্চিমে দুটি প্রবেশদ্বার আবিষ্কৃত হয়েছে। মুল প্রবেশদ্বার হচ্ছে পুর্ব পাশের প্রবেশদ্বার। যার দুই পাশে দুইটি প্রহরী কক্ষের নিদর্শন দেখা যায়। উপরিভাগে মোঘল ও ব্রিটিশ আমলে ব্যবহৃত ছোট আকারে ইট, চুন সুরকীর আস্তর, চুনকামের ব্যবহার, গঠনশৈলী ইত্যাদি দেখে অনুমান করা যায় যে, এই ইমারত অষ্টাদশ শতকের শেষদিকে নির্মিত হয়েছিল। এছাড়া এখানে কোম্পানি আমলের (১৮৩৫-১৮৫৩) দুইটি মুদ্রা পাওয়া গেছে।
 
 
{{commonscat|Palace of Parshuram}}
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|2}}