দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sudipto Boulevardier (আলোচনা | অবদান)
Sudipto Boulevardier (আলোচনা | অবদান)
৩৯ নং লাইন:
কলকাতায় তিনি ব্রাহ্মনেতা [[কেশবচন্দ্র সেন|কেশবচন্দ্র সেনের]] দলে ছিলেন। কিন্তু যখন কেশবচন্দ্র সেন নিজের মেয়ে সুনীতির তাঁদের ধর্মের নিয়ম না মেনে কুচবিহার রাজবাড়িতে অল্প বয়সে বিবাহ দেন তখন দ্বারকানাথ [[সমালোচক (পত্রিকা)|সমালোচক]] পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে তার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এই ঘটনার ফলে কিছু ব্রাহ্মনেতা আলাদা হয়ে গিয়ে [[সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ]] গঠন করেছিলেন। দ্বারকানাথ ছিলেন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার একজন অগ্রণী ব্যক্তি। তিনি মেয়েদের উন্নতির জন্য অনেক কাজ করেছিলেন বলে তাঁকে ''অবলাবান্ধব'' বলা হত। <ref name=ss/>
 
নারীশিক্ষা ছাড়াও ভারতীয় কুলী আন্দোলনে দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে, বিশেষত ১৮৬৮ সালে সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরবর্তীকালে ব্রাহ্ম সমাজের বহু সদস্য ভারতবর্ষের বিভিন্ন চা বাগানে কর্মরত কুলীদের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করা আরম্ভ করেন। এর সূত্রপাত রামকুমার বিদ্যারত্নর সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের ধর্মপ্রচারক রূপে অসম যাত্রা থেকে। তার মাধ্যমেই আপামর বাঙালি তথা অন্যান্য ভারতীয় অসমের চা বাগানে কুলীদের প্রতি বাগান মালিকদের অমানবিক অত্যাচারের কথা প্রথম জানতে পারে। রামকুমার তাঁর অসমের অভিজ্ঞতার কথা নিয়মিত ভাবে লিখতেন সেই সময় সদ্য প্রকাশিত সঞ্জীবনী পত্রিকায়।<ref>কানাইলাল চট্টোপাধ্যায়, "আসামে চা কুলী আন্দোলনে ব্রাহ্ম সমাজ," দশদিশি পত্রিকা (এপ্রিল ২০১৪- সেপ্টেম্বর ২০১৪)ঃ ৩০৫- ৩০৬।</ref> পরে উদাসীন সত্যস্রবার অসম ভ্রমণ এবং কুলী কাহিনী নামক দুটি বইতেও রামকুমার নিজের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেন (যার মধ্যে কুলী কাহিনী বইটি তিনি দ্বারকানাথকে উৎসর্গ করেন)। রামকুমারের লেখায় অসমে কুলীদের শোষণ বৃত্তান্ত পড়ে দ্বারকানাথ ১৮৮৬ সালে ভারত সভার পক্ষ থেকে অসম উদ্দেশ্যে রওনা হন। রামকুমারের মতই দ্বারকানাথও সেখানে গিয়ে কুলী সমস্যার সরেজমিনে তদন্ত আরম্ভ করেন।
নারীশিক্ষা ছাড়াও ভারতীয় কুলী আন্দোলনে দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের অগ্রণী ভূমিকা ছিল।
 
== রাজনীতি ==